জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
গোসল করার পদ্ধতি হচ্ছে–
গড়গড়াইয়া কুলি ও নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছানো।
গোটা দেহে পানি ঢালা।
আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন:
وان كنتم جنبا فطهروا
“যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
★হাদীস শরীফে ফরজ গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لَا يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ
মায়মূনাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জানাবাতের গোসলের জন্য পানি রাখলাম। তিনি পানির পাত্র কাত করে ডান হাতে পানি ঢেলে তা দু’বার বা তিনবার ধুলেন। এরপর লজ্জাস্থানে পানি ঢেলে তা বাম হাতে ধুলেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষে ধুয়ে নিলেন, কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, মুখমন্ডল ও দু’হাত ধুলেন। তারপর মাথায় এবং সমগ্র শরীরে পানি ঢাললেন। তারপর ঐ স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে উভয় পা ধুলেন। আমি (শরীর মোছার জন্য) তাঁকে রুমাল দিলাম। তিনি তা গ্রহণ করলেন না বরং শরীর থেকে পানি ঝেড়ে ফেলতে লাগলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বিষয়টি ইবরাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ সাহাবীগণ গামছা ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা (গামছা ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা অপছন্দ করতেন।
{বুখারী (অধ্যায়ঃ গোসল, অনুঃ একবার গোসল করা, হাঃ ২৫৭), মুসলিম (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ জানাবাতের গোসলের নিয়ম) উভয়ে আ‘মাশ সূত্রে। আবু দাউদ ২৪৫)}
ইমাম নববী রহ. বলেন,
المضمضة والاستنشاق واجبتان في الغسل دون الوضوء ، وهو قول أبي حنيفة وأصحاب
গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব; ওযুর ক্ষেত্রে নয়। (কেননা, ওযুর ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত।) এটি ইমাম আবু হানিফা রহ. ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত। (আল-মাজমু ১/৪০০)
আরো জানুনঃ
গোসলের মাঝে গরগরা করা ও নাকের গভীর পর্যন্ত পানি পৌঁছানো ফরজ নয়। বরং সুন্নত। এই জন্যই তো রোযা রাখা অবস্থায় যেহেতু গড়গড়া করে কুলি করলে এবং নাকের গভীরের নরম স্থানে পানি পৌছানোতে ভিতরে পানি প্রবেশ করার সম্ভাবনা থাকে, তাই গড়গড়া ও নাকের নরম স্থানে পানি পৌছানোর বিধান নেই।
স্বাভাবিকভাবে কুলি ও নাকে পানি দিতে হয়।
,
★সুতরাং কেহ যদি কুলি করে,তবে গড়গড়া না করে,অথবা নাকে পানি দেয়,তব নাকের নরম স্থানে পানি না পৌছায়,তাহলেও গোসলের ফরজ আদায় হয়ে যাবে।
সেই গোসলে নামাজ হয়ে যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
قوله: “غسل الفم والأنف” أي بدون مبالغة فيهما فإنها سنة فيه على المعتمد (طحطاوى على مراقى الفلاح، كتاب الطهارة، فصل بيان فرائض الغسل–102
কুলি এবং নাকে পান দেওয়ার ক্ষেত্রে মুবালাগা করা নির্ভরযোগ্য মতানুসারে সুন্নাত।
,
তবে এটি ওয়াজিব নাকি সুন্নাত,এই ব্যপারে যেহেতু মতবিরোধ রয়েছে, তাই সতর্কতামূলক পরে মনে আসলে সেটি আদায় করে নিতে হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু মনে পড়ার পর আবার আদায় করে নেওয়া হয়েছে,তাই কোনো সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ
.
(০২)
كان سلمان الفارسيّ -رضي الله عنه- من أفضل الصّحابة وأكثرهم فهماً، فكان لبيباً حاذِقاً حازماً نبيلاً عابداً، وكان من أعقل الرّجال في تلك الفترة، وقد خدم الإسلام وأهله، وصَحِب النبيّ -صلّى الله عليه وسلّم- فترةً لا بأس بها، وعاش حتّى خلافة عثمان بن عفّان رضي الله عنه، فعاصر خلافة أبي بكر وعمر رضي الله عنهما، وتوفّي قبل وفاة عثمان بن عفّان -رضي الله عنه- وفي خلافته، وكانت وفاته عام 36هـ، وقيل: بل في سنة 37هـ؛ حيث توفّي في المدائن، وقيل: توفّي سنة 33هـ
সারমর্মঃ হযরত সালমান ফারসী রাঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ এর বিশিষ্ট একজন ছাহাবী ছিলেন।
কঠিন মেধা শক্তির অধিকারী ছিলেন।
উসমান রাঃ তায়ালার খেলাফতের যামানায় তার ইন্তেকাল হয়।
কেহ বলেছেন ৩৬ হিজরিতে ইন্তেকাল করেছেন।
কেহ বলেছেন ৩৭ হিজরিতে ইন্তেকাল করেছেন।
কেহ বলেছেন ৩৩ হিজরিতে ইন্তেকাল করেছেন।
وتُرجّح الروايات أنّ عُمر سلمان الفارسيّ حين وفاته قد بلغ حدود الثمانين من العُمُر، وقيل: عمره بضع وسبعون سنةً، وقد وردت رواية غريبة تشير إلى أنّه عاش 350 سنةً، أو 250 سنةً، وهي رواية ضعيفة، وقد ذكر الإمام الذهبيّ ما يُفنِّد تلك الروايات ويُرجِّح أنّه مات في الثمانين أو ما حولها.
কেহ বলেছেন হযরত সালমান ফারসী রাঃ এর বয়স ৮০ বছর হয়েছিলো।
কেহ বলেছেন যে ৭০ থেকে একটু বেশি ছিলো।
,
২৫০ বছর,৩৫০ বছর বয়স নিয়ে যেই রেওয়ায়াত গুলো আছে,তার সবই জয়ীফ তথা দূর্বল রেওয়ায়াত।