আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
211 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম,
প্রশ্ন-১ঃ বর্তমানে জেনারেল শিক্ষার কোচিং গুলোতে পড়ানোর জন্য ছেলেদের আলাদা ব্যাচ পাওয়াই যায় না। সব কোচিং এই ছেলে-মেয়ে একসাথে কম্বাইন্ড ব্যাচ করে পড়ানো হয়। শিক্ষক হিসেবে সেই সকল কোচিং এ পড়িয়ে উপার্জন কি হালাল হবে

প্রশ্ন-২ঃ একজন ভার্সিটি ছাত্র হিসেবে হালালভাবে উপার্জন করা যায় এমন কতিপয় উপার্জন উৎসের সন্ধান বললে উপকার হয়।

প্রশ্ন-৩ঃ রাস্তায় হাটতে হাটতে কুরআনের মুখস্ত সূরা পড়তে পড়তে সিজদাহর আয়াত এসে পড়লে সিজদাহ কোথায় দিতে হবে। নাকি ঐ আয়াত পরে সিজদাহ দেওয়ার মত কোনো জায়গায় গিয়ে পড়ে তারপর সিজদাহ দিতে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (665,220 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
https://www.ifatwa.info/8757/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো গায়রে মাহরাম বালেগাহ মহিলার দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে  দৃষ্টিপাত করা নাজায়েজ। 
অনিচ্ছায় একবার দৃষ্টি চলে গেলে সাথে সাথেই চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে,২য় বার আর  দৃষ্টিপাত করা যাবেনা।
কারন এতে ইচ্ছাকৃতভাবেই হয়ে যায়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছেলে-মেয়ে একসাথে ক্লাস হয় এমন কলেজে শিক্ষকতা করলে যেহেতু বালেগাহ মহিলাদের দিকে দৃষ্টিপাত করতেই হয়, 
তাই তাকওয়ার খাতিরে তাদেরকে না পড়ানোই উত্তম।
কারন তাদের সামনেও পর্দা ফরজ।
তাদের দিকেও দৃষ্টিপাত নাজায়েজ।      

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ؛ فَإِنَّمَا  لَكَ الْأُولَى وَلَيْسَتْ لَكَ الْآخِرَةُ “

হযরত বুরাইদা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ  হযরত আলী রাঃ কে বলেন, হে আলী! [সহসা] একবার দেখার পর পুনরায় [কোন বেগানা নারীকে] দেখো না। কারণ, তোমার জন্য প্রথমবারে অনুমতি রয়েছে [যখন তা অনিচ্ছায় হয়ে যাবে], কিন্তু দ্বিতীয়বারের অনুমতি নেই।
 {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২৯৭৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৭৫১, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৪৯, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৭৭৭}

عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَنْظُرُ إِلَى مَحَاسِنِ امْرَأَةٍ أَوَّلَ مَرَّةٍ، ثُمَّ يَغُضُّ بَصَرَهُ إِلَّا أَحْدَثَ اللهُ لَهُ عِبَادَةً يَجِدُ حَلَاوَتَهَا “

হযরত আবু উমামা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যে কোন মুসলমান কোন নারীর সৌন্দর্যের প্রতি হঠাৎ দৃষ্টি পড়ে যায়, অতঃপর সে নিজ চক্ষু নিচু করে নেয়, তবে আল্লাহ তাআলা তার জন্য এক ইবাদতের সুযোগ সৃষ্টি করেন, যাতে সে তার স্বাদ পায়। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২২৭৮}

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এখন প্রায় সব কোচিং এই ছেলে-মেয়ে একসাথে কম্বাইন্ড ব্যাচ করে পড়ানো হয়। শিক্ষক হিসেবে সেই সকল কোচিং এ পড়িয়ে উপার্জন  হালাল হবে

এক্ষেত্রে ছাত্রীদের কেহ বালেগাহ হয়ে থাকলে তাকওয়ার খাতিরে তাদেরকে না পড়ানোই উত্তম।  
,
বিশেষ প্রয়োজনে আপনি সকলকে হাত পা,চেহারা সহ পরিপূর্ণ পর্দা করার আদেশ করবেন, প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের নিয়ম আকারে বানিয়ে নিতে পারেন।   
নিজের নজর হেফাজত করতে হবে।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বেতন নেওয়া হালাল হবে।

আরো জানুনঃ 

সহ শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

(০২)
ছেলেদের টিউশনি করিয়ে উপার্জন করা যাবে,পার্ট টাইম জব করতে পারবে,বৈধ  
পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সিং ইত্যাদির মাধ্যমে উপার্জন করা যাবে।

(০৩)
পরে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে সেজদাহ দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (665,220 points)
شریعت میں تنخواہ کے جائز یا ناجائز ہونے کا مدار ، ملازمت کا بنیادی کام جائز یا ناجائز ہونا ہے، یعنی: اگر ملازمت کا بنیادی کام جائز ہو تو تنخواہ جائز ہوتی ہے اور اگر ملازمت کا بنیادی کام ناجائز ہو تو تنخواہ بھی ناجائز ہوتی ہے۔ اور ضمنی یا خارجی چیزوں کی وجہ سے اصل کام کی تنخواہ ناجائز نہیں ہوتی؛ لہٰذا آپ کی والدہ اگر کسی کالج یا یونیورسٹی میں لیکچرر ہوکر جائز مضامین پڑھاتی ہیں اور وقت اور نصاب کی پابندی کے ساتھ پڑھاتی ہیں تو اُن کی تنخواہ جائز ہے (فتاوی دار العلوم دیوبند، ۱۷: ۳۵۳، ۳۵۴، سوال: ۱۷۶۲، مطبوعہ: مکتبہ دار العلوم دیوبند)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...