আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।প্রশ্ন (১) যদি কোন বেক্তি কার কাছ থেকে শুনেছে বলে মনে হয়  টুপি পরলে মাথার গরম তাপ আঁটকে যায় এবং মাথা বাথা করে ও চুল নাকি উঠে যায় কিন্তু সে এই কথায় নিশ্চিত না।আর এই কথা ভেবে সেই বেক্তি যদি মনে মনে ভাবে "টুপি পড়লে ক্ষতি হয় তাহলে রাসুল কেন টুপি পরতেন" এবং যদি মনে মনে ভাবে "যে হাদিস গুলো মানুশের জন্য কল্যাণ সেগুলো মানুশ প্রচার করে কিন্তু যে হাদিসগুলো মানুশের জন্য ক্ষতি অর্থাৎ টুপি পরার সুন্নত এর হাদিস সেগুলো মানুশ কেন প্রচার  করে না কেন?" যদি  এই কথাগুলো ভাবার সময় অই বেক্তির যদি শরনে একেবারে ভুলে যায় যে, এগুলো রাসুলের বিরোধী কথা ও কুফরি কথা। এবং টুপি পরলে ক্ষতি হয় কি না নিশ্চিত হউয়ার জন্য পরে গুগুলে সারস করে   জানতে পারে এগুল সত্য কথা না বরং টুপি পরলে অনেক উপকারিতা আচে।তাহলে কি তবুও ওই বেক্তি মুরতাদ কিংবা কাফের হয়ে গিয়েছে কি? সে যদি বিবাহিত হয়ে থাকে তাহলে কি তাকে আবার বিএ করতে হবে? যদি মুরতাদ বা কাফের না হয় তাহলে তার কারণটা দয়া করে জানাবেন।

প্রশ্ন (২) একটা গানের কলি সেটা হল "তমার ভালবাশার ডাকে আমি প্রান  পেয়েছি ।এই কথা শুনে একজন বেক্তি যদি ভাবে ভালবাশা পেলে অন্তর যেমন আনন্দে পুলকিত হয় উজ্জিবিত হয় সেই অর্থে যদি গানটির কলি উচ্চারন না করে শুধু গুন গুন করে তাহলে কি তার শিরকের গুনাহ হবে কি?কারন প্রান তো শুধু আল্লাহর দান।


প্রশ্ন(৩) যদি কেউ কোন শিরকের চিন্তা মনে মনে বিশাস করে কিন্তু ভাবার শময় যদি না বুঝে যে ,এটা শিরকের চিন্তা পরে যদি বুঝে যে, এটা শিরক এবং সাথে সাথে ক্ষমা চায় তবুও কি ক্ষমা চাউয়ার আগে সে কি মুরতাদ বা কাফের হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা।
এখানে তিনি টুপি নিয়ে হাসি ঠাট্রা করেননি।

(০২)
তাহলে তার শিরকের গুনাহ হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে সে কাফের.মুরতাদ হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...