আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
128 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
১/ যদি দাড়ি রাখার কারণে বা ইসলামিক বিধান কঠোর পালনের কারণে  কেও ঠাট্টা করে যে, "কিরে জনংগি হয়ে গেলি, বা জামাত হয়ে গেলি" কিংবা কঠোর কিছু বলে যাতে পালনকারী ব্যক্তি আঘাত প্রাপ্ত হয়, তবে কি ইমান চলে যায়?

২/ ইসলামিক বিধিবিধান পালন করেন এমন অনেক মানুষ কে দেখি তারা ফ্রি মিক্সিং এর বিষয়ে শিথিল, পর্দার ব্যপারে শিথিল,  নিজ জরুরতে অনেক কিছু মানা যাবে এমন টা ভাবে,  ফরয ইলম এ অনাগ্রহী ভাবে যা জানি তা মানি, সবার মতামতের গুরিত্ব আছে, ইসলাম এত কঠিন না, ইসলাম হচ্ছে বুঝার ধর্ম(এই দাবি করে যা বুঝে তাই করে), আগে বিভিন্ন এমন বিষয়কে হালাল বলে যা উলামায়ে কেরামগণ স্পষ্ট নিশেধ করেন। সালাফি-হানাফি  দুই পক্ষ এর বিজ্ঞ আলেমগণ নিশেধ করেছেন সেসব বিষয়ো তারা হালাল ভাবেন এমনকি তাদের কে সর্বোচ্চ সঠিক ভেবে নিজেদের পক্ষে বলেন। আবার তাদের বোঝাতে গেলে তারা বলেন আমরা কট্টর, আমরা জানি না, আমরা বুঝি কম বলি বেশি, দুনিয়া তেও তো টিকতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার এই ব্যপারে কয়েকটা প্রশ্ন আছে।

ক) মাঝে মাঝে আমার ঈ মনে হয় আমি নিজে ঠিক কি না কারণ আমার কাছের বা দূরের প্রতিটা আত্মীয় ই এরকম, তারা এটলিস্ট যদি মৌখিক ভাবে স্বীকার করত যে তারা যা করে তা পুরোপুরি ঠিক নয় তা ও হত, অথচ তারা অনেক ইবাদত ও করে। আমি কিভাবে বুঝব যে আমি ই ঠিক বা আমার চিন্তা চেতনাই ঠিক?

খ) এরূপ মানুষ দের প্রতি আমার করণীয় ও বর্জনীয় কি হওয়া উচিত?

গ) উপরে যাদের কথা বললাম তারা আবার এমন ও বলে যে তাদের মতামত এর পক্ষে স্কলার আছে। এক এক আলেম এর এক এক রকম মতামত দেন, সেক্ষেত্রে তাদের কি সঠিক বিবেচনা করা যাবে?

ঘ) তাদের কিছু বলতে গেলে তারা বলে ইসলাম এত কঠিন না আর ইসলাম শক্ত ভাবে পালন করার বিষয়ে বললে বলে যে আমাদের জন্য নাকি ইসলাম থেকে মানুষ দূরে সরে আমাদের জম্য ইসলাম এর অসম্মান হয়। এক্ষেত্রে করণিয় কি?

ঙ) আবার অনেকেই আলেম দের ব্যপারে নানামুখি ধারণ রাখে যার ফলে তারা আলেম দের কাছেও অনেক সময় যেতে চায় না, ইউটিউব থেকে জ্ঞান, মাসালা মাসায়েল নেয় কিংবা কারো কথা নিজেদের যুক্তিতে পছন্দ না হলে নানা কিছু বলে, তাদের ক্ষেত্রে কি করব দাওয়াত দেওয়াও মুশকিল উলটা নিজের উপর ঈ সন্দেহ আসে।
৩/ শেইখ দাওয়াত দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ন নাকি নিজের আত্মশুদ্ধি? যদি নিজে গুনাহগার হই(কবীরাহ) নিজের উপর সন্তুষ্টি না থাকে (আমল এর ব্যপারে) তাহলে দাওয়াহ প্রদান থেকে কি বিরত থাকতে হবে? ইসলামের জন্যবকিছু করার চিন্তা রাখা যাবে?

৪/ আত্মশুদ্ধি এর স্তর আছে কি? কোনোভাবে বুঝা যায় কি যে আত্মশুদ্ধি এসেছে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যদি দাড়ি রাখার কারণে বা ইসলামিক বিধান কঠোর পালনের কারণে  কেউ ঠাট্টা করে যে, "কিরে জনংগি হয়ে গেলি, বা জামাত হয়ে গেলি" কিংবা কঠোর কিছু বলে যাতে পালনকারী ব্যক্তি আঘাত প্রাপ্ত হয়। যদি তার অন্তরে ইসলাম ও মুসলমানকে কষ্ট দেয়ার নিয়ত থাকে, ইসলামের বিধানকে নিয়ে ঠাট্টা করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। নতুবা সে গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে, তবে কাফির হবে না।

(২) 
(ক) আপনি যদি যে কোনো একটি মাযহাবকে ফলো করে থাকেন এবং সেই মাযহাবের যে কোনো একটি দারুল ইফতার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলেন, তাহলে আপনি-ই সঠিক। এক্ষেত্রে দারুল উলূম দেওবন্দকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন যদি আপনি হানাফি ফিকহকে অনুসরণ করে থাকেন।।


(খ) ওদের সাথে বিতর্কে জড়াবেন না।কেননা তারা অজ্ঞ ও জাহিল।

(গ) ওদের কোনো কথা সায় দিবেন না।ওদের ঘাড়ে শয়তান চেপে বসে আছে।

(ঘ) ওদের সাথে কোনো বিতর্কে জাড়াবেন না। শুধুমাত্র তাদের হেদায়তের দু'আ করবেন।

(ঙ) তাদের জন্য হেদায়তের দু'আ করুন।

(৩) নিজের আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি তাদেরকে হেকমতের সাথে দাওয়াত দিবেন।

(৪)আত্মশুদ্ধি এর স্তর আছে। আপনি কোন স্থরে আছেন, সেটা আপনি তখনই বুঝবেন, যখন আপনি কোনো দ্বীনদার ব্যক্তির সাথে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...