আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by

আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
আমার  খুবই ওয়াসওয়াসা, হুজুর আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে আমি   চিন্তা মুক্ত হতে চাই। Plz হুজুর উত্তর গুলো সব দিবেন।
১. হুজুর আমার স্ত্রী তার বান্ধবী র ওপর  রেগে  আমাকে বলছে , "আমি যদি আমার বান্ধবী কে এই কথা না বলেছি তো আমার নাম কেটে অন্য নাম রাখবো",  হুজুর আমার স্ত্রী তার বান্ধবীর ওপর রেগে এমন কথা বলছে এর জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
২. হুজুর আমার মনে নানা রকমের প্রশ্ন হয়ে জাই, আমার অনিচ্ছাকৃত,
যেমন মনে মনে এমন হচ্ছে, আমি যদি এবার থুতু গিলে ফেলি তাহলে হিন্দু  হয়ে যাবো, আস্তাগিরুল্লাহ ।  নাউজবিল্লা, হুজুর তার পর থেকে ভয় এ থুতু গিলতে পারছিনা, । মুখ শুকিয়ে যাচ্ছিলো থুতু গিলে ফেলেছি তাহলে কি আমি হিন্দু হয়ে যাবো? হুজুর এই কথা আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আল্লাহ কসম , এমনি এমনি মনে গিয়েছে।  

২.২ হুজুর আমি ট্রেন এ সফর করছি দিয়ে ট্রেন ২০ ঘণ্টা লেট করেছে। যখন অবশেষে ট্রেন আমার গন্তব্য স্থলে পৌঁছালো আমি আলহামদুিল্লাহ বললাম। দিয়ে সামনে একটা হিন্দু মেয়ে হাসলো , তাই আমিও একটু হাসলাম যে ট্রেন পৌঁছালো তাহলে তাই আলহামদুলিল্লাহ বললাম । দিয়ে ওই মেয়েটা হাসলো আমিও তাকে দেখে একটু হাসলাম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি কোনো কুটুক্তি করিনি, বা মজা করিনি। এমনি হাসলাম তাই এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৩. হুজুর তার পর থেকে শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে হচ্ছে এটা করলে, ওটা, করলে, এটা দেখলে, ওটা দেখলে, এটা বললে,  ওটা বললে , এটা হলে, ওটা হলে,   হিন্দু হয়ে যাব, আস্তাগিরুল্লাহ , হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন মনে মনে হচ্ছে , মুখে উচ্চরণ করিনি। হুজুর আমার প্রয়োজনে যদি সেই কাজ করি , বা দেখি বা বলি বা  মনে মনে যা ভাবছি তা  যদি হয় ,   তাহলে কি আমি হিন্দু হয়ে যাবো??  খুব ভয় হচ্ছে হুজুর, আমার মনে মনে এমন হয়েছে আমি মুখে উচ্চরণ করিনি।
৩.১ মনে মনে এমন হচ্ছে স্ত্রী যদি এটা বলে বা ওটা বলে, এটা করে বা ওটা করে তাহলে তালাক মনে মনে এই রকম হচ্ছে, আবার আমার মনে মনে হচ্ছে আমি যদি এটা করি, ওটা করি, এটা বলি ওটা বলি তাহলে তালাক এই রকম মনে হচ্ছে  । মুখে উচ্চরণ করছিনা ,  স্ত্রী যদি কোনো কিছু বলে বা করে বা আমি করি বা বলি তাহলে এর জন্য কি তালাক হবে?
৩.২ এই খানে তালাক কথা টা লিখতে গিয়ে ভয় হচ্চে মনে মনে ও কেমন হচ্ছে মনে মনে এমন ভাবনা হচ্ছে হয়ত তালাক লিখছি স্ত্রীকে আল্লাহ কসম শয়তানের  ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি ,  তালাক কথা টা লেখা র জন্য আবার তালাক হবে না তো?  হুজুর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন হচ্ছে আমি তো মন থেকে এই সব করছি না , হুজুর যখন এই কথা টা লিখছি তখন শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে মনে হচ্ছে মন থেকে লিখছি।আল্লাহ কসম  সমস্ত কিছু শয়তানের ওয়াসওয়াসা। এর জন্য হুজুর কোনো তালাক হবে না তো?
**হুজুর ওয়াসওয়াসা র জন্য বার বার এই কথা মনে হচ্ছে , আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মন কথা বলছে , নিজের মন কে কন্ট্রোল করতে পারছিনা। মনে মনে এমন হচ্ছে যা বলছি যা করছি মন থেকে করছি এই রকম মনে হচ্ছে ওয়াসওয়াসা র জন্য । এর জন্য কি কোনো হবে??
৩.৩. মনে মনে এমন হচ্ছে আপনাদের কে বোঝানোর ক্ষেত্রে যদি তালাক শব্দ টা লিখতে হয় তাহলে মনে মনে এমন হচ্ছে তাহলে তালাক। হুজুর মনে মনে হচ্ছে তার পর যদি প্রয়োজন এ যদি লিখতে হয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? খুবই ভয় হচ্ছে।

৩.৪ হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে , যদি এটা হয় মানে স্ত্রী যদি ফোন ধরে বা আমি করি  তাহলে তালাক , দিয়ে যদি সেইটা হয় মানে স্ত্রী যদি ফোন ধরে বা আমি করি  তাহলে কি তালাক হবে? এইটা সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে । মুখে উচ্চরণ করিনি এর জন্য কি কোনো তালাক হবে?

৩.৫ হুজুর আপনাদের কে এখন বললাম , এর পর যদি স্ত্রী কে ফোন করি দিয়ে স্ত্রী ফোন ধরে বা আমি করি  তাহলে কি তালাক হবে?

৩.৬ হুজুর মনে মনে ই সব কথা হচ্ছে , এমনি আমি ঠোঁটে ঠোঁট কামড়াচ্ছি , বা জিহ্ববা দিয়ে ঠোঁট চুষছি, এমন সময় এই সব ভাবনা হচ্ছে , কিন্তু মুখে উচ্চরণ করছিনা, ঠোঁট চুষছি তাই হয়তো জিহ্ববা নড়ছে । তখন মনে মনে অনেক শর্ত তালাক এর কথা মনে হচ্ছে, সত্যিই মনেমনে হচ্ছে, এর জন্য কি শর্ত তালাক হবে?


৪. হুজুর তার পর মনে মনে এমন হচ্ছে আমি যদি অমুক কাজ করি তাহলে কাফের হয়ে যাবো এই রকম মনে মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা হচ্ছে, প্রয়োজনে বা এমনি যদি সেই কাজ করি তাহলে কি কাফের হয়ে যাবো ? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি, যা হয়েছে সব মনে মনে।
৫. হুজুর আমার ঈমান ঠিক থাকবে তো?
৬. আপনাদেরকে এইসব বলা হয়ে গেলো, তাহলে কি এর পর যদি সেইসব কাজ করি তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে? মানে হিন্দু বা কাফের হয়ে যাবো না তো?
৭. হুজুর আমি ট্রেন এ  সফর করছি, হুজুর আমার ট্রেন এ প্রস্রাব পেয়েছে, আমি বাথরুমে গিয়ে প্রস্রাব করছি দাড়িয়ে দাড়িয়ে কারণ আমার প্যান্টে প্রস্রাব পড়বে বলে, তখন সঙ্গে সঙ্গে শয়তানের ওয়াসওয়াসা চলে এসেছে যে দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রস্রাব করলে হয় তো ঈমান চলে যাবে তাই মনে হলো, আমি মনের ভাবনা কে পাত্তা না দিয়ে প্রস্রাব করলাম দাড়িয়ে। এখন মনে হচ্ছে ঈমান চলে যাবে না তো ? হুজুর খুবই ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে না তো?

৭.১ দাড়িয়ে প্রস্রাব করলে কি ঈমান চলে যাবে?
৮.https://ifatwa.info/74769/ এই লিংকে ৬ নম্বর প্রশ্ন " একটি গানে একটা লাইন আছে " উপরে আল্লাহ নিচে পৃথিবী " এই গান কেও গাইলে কি কুফর হবে?
এই প্রশ্ন টা দেখার পর শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে মনে মনে আমার বলা হয়ে যাচ্ছে , আপনাদের উত্তরে দেখলাম কুফুর হবে না, তবে ঈমান বিধ্বংসী কথা।
হুজুর আমি মুখে উচ্চরণ করছিনা মনে মনে এমন হয়ে যাচ্ছে , এর জন্য কি আমার ঈমান চলে যাবে? বা আমার আল্লাহর ওপর যে বিশ্বাস আছে টা নষ্ট হবে? বা আমল নষ্ট হয়ে যাবে?  আমি মুখে উচ্চরণ করিনি ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হয়েছে।
৯. হুজুর একটা মেয়ের সাতে আমার সম্পর্ক ছিল , তার সাতে যেনা তে লিপ্ত হয়েছি, এর জন্য আমি তওবা করে  ফিরে এসেছি ।হুজুর  মেয়েটা অন্য একটা ছেলে কে বিয়ে করেছে। হুজুর যখন মেয়েটার  সঙ্গে দেখা হতো তাকে মাঝে মাঝে  আমি বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার মতো করে বলতাম দিয়ে সে এবং আমি কবুল বলেছি। কিন্তু কোনো সাক্ষী ছিল না। নরমালি মজা করে বলেছি । কিন্তু কোনো সাক্ষী ছিল এক্ষেত্রে কি বিবাহ হবে? চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি ।
১০. আমি পরবর্তী তে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি । আগের ঘটনার জন্য কি আমার বিবাহে কোনো সমস্যা হবে? আমি যে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি  আমার বিয়ে শুদ্ধ তো?
১১. মনে মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা মনে মনে হয়েছে আল্লাহ নেই সঙ্গে সঙ্গে আস্তাগিরুল্লাহ পড়েছি। আল্লাহ কসম শয়তানের ওয়াসওয়াসা তে এমন হয়েছে, আমি মুখে উচ্চরণ করিনি, মনে মনে হয়েছে, হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?
১২. হুজুর আমি না জেনে বুঝে একটা  হিন্দু কাকু কে হিন্দিতে মাজে মাঝে মজা করে  নমস্তে ( নমস্কার) বলতাম। বা কাকু বলতো দিয়ে আমরা ও প্রতি উত্তর এ নমেস্তে বলতাম।   হুজুর সেই ভাবে কখনো ভেবে দেখিনি এই কথা টা বলা যাবে না সেইটা। আল্লাহ কসম না জেনে না বুঝে ভুল করে বলেছি , এই রকম ভেবেছি নমস্তে বললে হয়তো কোনো প্রবলেম হবে না , এই রকম মনে হতো। কিন্তু আল্লাহ কসম না জেনে না বুঝে এই রকম হয়েছে। যে দিন থেকে জেনেছি আর কাউকে কখনো নমস্তে বলিনি । হুজুর না জেনে না বুঝে ভুল হয়েছে । এর জন্য ঈমান চলে যাবে না তো হুজুর?

১৩. এমনি মনে হচ্ছে , যে যদি এই কাজ টা না করি, বা এই কথা না বলি তাহলে কাফের হয়ে যাবো ,এই রকম মনে হচ্ছে , সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে, হুজুর আমি যদি সেই কাজ না করি বা কথা না বলি তাহলে কি কাফের হয়ে যাবো? আমি মুখে উচ্চরণ করিনি মনে মনে হয়েছে। 

১৪. হুজুর আমি ট্রেন এ শুয়ে ছিলাম, পাশে হিন্দু দের একটা গান বাজছিল , আমি খেয়াল করিনি হটাৎ আমি পা দুলাছিলাম দিয়ে ভয় হয়ে গেলো ঈমান নিয়ে। হুজুর ঈমান চলে যাবে নাকি এর জন্য ?

১৫. হুজুর কিছু খাচ্ছি বা চিবোচ্ছি তখন মনে মনে শর্ত তালাক এর কথা মনে হচ্ছে, হুজুর যখন খাচ্ছি তখন ত জিহ্ববা নড়বে , কিন্তু মনে মনে হচ্ছে মুখে উচ্চরণ করিনি, খেতে গিয়ে জিহ্ববা নড়ছে, তখন  জন্য যদি মনে মনে শর্ত তালাকের কথা মনে হয় তাহলে কি তালাক হবে? যা হয়েছে মনে মনে।

১৬. হুজুর মনে মনে এমন হচ্ছে যদি এটা হয় বা ওটা হয় তাহলে তালাক এমন মনে হচ্ছে, দিয়ে যদি সেইটা হয় তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে ? যা হয়েছে মনে মনে মুখে উচ্চরণ করিনি।

১৭. হুজুর কেউ যদি শর্ত তালাক দেয় , কিন্তু তার মনে নেই , দিয়ে সেইটা হলো বা স্ত্রী করলো, তাহলে কি তালাক হবে? তার কিন্তু মনেই নেই সে কি বলেছিল । তাহলে কি শর্ত তালাক হবে? 

১৮. কেউ যদি ঘুমের মধ্যে হালকা ঘুম ভেঙেছে ,  দিয়ে বুঝতে না পেরে শর্ত তালাক দিয়ে ফেলে সেটা কি শর্ত তালাক হবে? বুঝতে না পেরে হালকা ঘুম এর মধ্যে  এমন হলে কি শর্ত তালাক হবে?

১৯. কেউ যদি  ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শর্ত তালাক দেয় তাহলে কি সেটা শর্ত তালাক হবে?

২০. হুজুর আমি একবার আমার স্ত্রীর পাছাতে লিঙ্গ ঢুকিয়ে ছিলাম , ( anal sex)এর জন্য কি বিবাহ ভেঙে যাবে? তার পর থেকে আর কোনো দিন করিনি। হুজুর বিবাহ কি ভেঙে যাবে?

২১.মনে মনে এই রকম হচ্ছে , এটা হলে, বা এমন হলে তালাক, দিয়ে হুজুর যদি ওইটা হয়, বা এমন হয় তাহলে কি তালাক হবে?

22. হুজুর রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি হটাৎ মনে মনে এমন হলো আমার ধর্ম হিন্দু, আস্তাগিরুল্লাহ। এমন মনে মনে হলো শয়তানের ওয়াসওয়াসা এর জন্য। হুজুর আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। মনে মনে হয়েছে। মুখে উচ্চরণ করিনি। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

আপনাদের কে লিখতে হয়েছে কথা টা তার জন্য কি ঈমানের কোনো সমস্যা হবে?

** হুজুর আমার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

** হুজুর আমাকে এমন কিছু বলেন আমি এইসব চিন্তা থেকে বেরোতে চায়। আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? আমাকে আর চিন্তা করার দরকার নেই তো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ   

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এর জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।

(২.৩)
এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা। আপনি মুসলিমই থাকবেন।

৩.১
৩.২
৩.৩
৩.৪
৩.৫
৩.৬
উপরোক্ত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
শর্তযুক্ত তালাকও হবেনা।

(৪.৫.৬.৭)
প্রশ্নগুলোর বিবরণ অনুপাতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

৭.১ দাড়িয়ে প্রস্রাব করলে ঈমান চলে যাবেনা।
তবে বিনা ওযরে এমনটি করলে গুনাহ হবে। 

(০৮)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান আমল কোনোটিই নষ্ট হয়ে যায়নি।
সবই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 

(০৯)
এক্ষেত্রে বিবাহ হবেনা।

(১০)
আপনার বিয়ে শুদ্ধ। সমস্যা নেই।

(১১,১২,১৩,১৪)
প্রশ্নগুলোর বিবরণ অনুপাতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
আপনার ঈমান বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 

(১৫,১৬,১৭,১৮)
প্রশ্নগুলোর বিবরণ অনুপাতে তালাক হবেনা।
শর্তযুক্ত তালাকও হবেনা।

(১৯)
কেউ যদি  ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শর্তযুক্ত তালাক দেয়, তাহলে সেটা শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(২০)
এর জন্য আপনার বিবাহ ভেঙ্গে যাবেনা।

(২১)
তাহলে তালাক হবেনা।

(২২)

এর জন্য ঈমান চলে যাবেনা।

আমাদেরকে লিখতে হয়েছে কথা টা, তার জন্য ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

*আপনার ঈমান ও বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

★আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে। আপনাকে আর চিন্তা করার দরকার নেই।

★পরামর্শ থাকবে,এসব বিষয় নিয়ে আর ভাববেননা।
এগুল সবই শয়তানী ওয়াসওয়াসা,তাই বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

এসব বিষয় মাথায় আসলেই অন্য কাজে মনোযোগী হয়ে যাবেন।
এ সংক্রান্ত কোনো মাসয়ালা পড়বেননা,এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসাও করবেননা।

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...