আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
১)কোনো ব্যক্তি অনেকক্ষণ নাপাক থাকতে থাকতে এক পর্যায়ে তার সম্পূর্ন শরীর নাপাক হয়ে গেল।এখন সে কিভাবে গোসল করলে পাক হবে?

শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ কি আলাদা আলাদা করে ধুতে হবে নাকি মাথা থেকে পানি ঢেলে দিবে এক্ষেত্রে তো শুম্পূর্ন শরীর দিয়েই পানি যায়।ফরয গোসলের মত গোসল করে যদি সম্পূর্ন শরীরে পানি পৌঁছায় তাহলে কি পাক হয়ে যাবে? এক্ষেত্রে কয়বার পানি দিতে হবে।অনেকসময় মাথায় পানি ঢালতেই থাকে ঢালতেই থাকে তাও তার মনে হয় পাক হয় নাই

২)মুখের ভিতরে নাপাকী গেলে করনীয় কি। এক্ষেত্রে তিনবার গড়গড় করে কুলি করলেই কি পাক হবে?কুলি করলে তো প্রতিবার পানি ফেলার সময় ঠোঁটে লাগে আবার হাত দিয়ে মুখে পানি নেওয়ার সময় হাতে লাগে। এক্ষেত্রে কি তিনবারের প্রত্যেকবার কুলি করার আগে হাত ও ঠোঁট আলাদা করে ধুতে হবে নাকি একসাথেই হাত ঠোঁট পাক হয়ে যাবে?

৩) নাকের ভিতর পানি গেলে করণীয় কি?তিনবার নাকের নরম অংস পর্যন্ত পানি নিয়ে নাক ঝারলেই কি পাক হবে? এক্ষেত্রে কি প্রতিবার আলাদা করে হাত ধুতে হবে?

৪)কানের ভিতর নাপাক গেলে করণীয় কি?কান তো স্পর্শকাতর জায়গা।এখানে পানি নিতে গেলে অনেক সময় ভিতরে গিয়ে আরো ক্ষতি হতে পারে।হাতে করে হালকা পানি কানের ভিতর তিনবার দিয়ে ফেলে দিলে কি পাক হবে? এক্ষেত্রে কি প্রতিবার হাত ধুতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে রাসুল সাঃ এর গোসলের পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।     

حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ، فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِيَدِهِ، ثُمَّ دَلَكَ بِهَا الْحَائِطَ ثُمَّ غَسَلَهَا، ثُمَّ تَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ غُسْلِهِ غَسَلَ رِجْلَيْهِ.

মাইমূনাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপবিত্রতার গোসল করলেন। তিনি নিজের লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর হাত দেয়ালে ঘষলেন এবং তা ধুলেন। তারপর সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। গোসল শেষ করে তিনি তাঁর দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৬০২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮)
,
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَتْ مَيْمُونَةُ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاءً لِلْغُسْلِ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، ثُمَّ أَفْرَغَ عَلَى شِمَالِهِ فَغَسَلَ مَذَاكِيرَهُ، ثُمَّ مَسَحَ يَدَهُ بِالأَرْضِ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَفَاضَ عَلَى جَسَدِهِ، ثُمَّ تَحَوَّلَ مِنْ مَكَانِهِ فَغَسَلَ قَدَمَيْهِ

ইবনু ‘আববাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাইমূনাহ্ (রাযি.) বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তিনি তাঁর হাত দু’বার বা তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে তাঁর বাম হাতে পানি নিয়ে তাঁর লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেললেন। তারপর মাটিতে হাত ঘষলেন। তারপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন, তাঁর চেহারা ও দু’হাত ধুয়ে নিলেন। অতঃপর তাঁর সারা দেহে পানি ঢাললেন। তারপর একটু সরে গিয়ে দু’পা ধুয়ে নিলেন। (বুখারী ২৫৭,২৪৯ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিবেন।
এরপর অযু করে নিবেন,তারপর লজ্জাস্থানে নাপাকি লেগে থাকলে সেই স্থান ভালোভাবে পাক করে নিবেন।

তারপর পুরো শরীরে পানি ঢেলে পুরো শরীর ভিজে নিয়ে হাত দিয়ে পুরো শরীর ডলে নিবেন।
তারপর আবারো ভালোভাবে কয়েকবার পানি ঢেলে দিবেন।

এভাবে শরীর হতে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে আপনার শরীর পা হয়ে যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে তিনবার ভালোভাবে কুলি করলেই পাক হবে। প্রত্যেকবার কুলি করার আগে হাত ও ঠোঁট আলাদা করে ধুতে হবেবা। বরং একসাথেই হাত ঠোঁট পাক হয়ে যাবে।

(০৩)
তিনবার নাকের নরম অংশ পর্যন্ত পানি নিয়ে নাক ঝাড়লেই পাক হবে। এক্ষেত্রে প্রতিবার আলাদাভাবে হাতে পানি নেয়ার সময় হাত ধোয়া হয়েই যাবে, সুতরাং এতে সমস্যা নেই।

(০৪)
হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে নিয়ে কানের ভিতরে তিনবার মুছে দিবেন। প্রত্যেবার আলাদা ভাবে নতুন পানি দিয়ে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
...