আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। শায়েখ আমার সব গুলো কথা কষ্ট করে পড়ার অণুরোধ রইলো।


১.আমি বিয়ে করেছি বেশি দিন হই নি।এখন ও অনুষ্ঠান করি নি তাই অনেকে এখনো যানে না যে আমি বিয়ে করেছি। তোএকদিন আমার দূর সম্পর্কের এক বোনের বিয়ে ঠিক হই। সে আমার ছোট্ট।সেও যানে না যে আমি বিয়ে করেছি।  তখন আমিবলি আমি তর বড়ো  হয়ে বিয়ে করতে পারি নাই,আমি তর বড়ো হয়েও আমার বিয়ে হই নাই,আমার স্ত্রী নাই। আর তর বিয়েহয়ে যাইতাছে তুই তো আরেক ঘরে চলে যাবি ,এমন কথা বলি আমি। এখন আমি যে এইসব কথা বললাম তাতে কি  কোনোসমস্যা হবে? কারণ আমি তো বিয়ে করেছি আর আমার স্ত্রী ও আছে।এমন অবস্থায় কোনো সমস্যা হবে কি?


২.আমি আজকে সপ্নে ফা ইন্না মা’আল ‘উসরি ইউসরান, এই আয়াত টা দেখি অনেক বার দেখি। এরপর ঘুম থেকে উঠে যায়তখন ও এই আয়াত টা আমি মুখে উচ্চারণ করতে থাকি। তখন আমি সজাক চিলাম যখন মুখে উচ্চারণ করতে চিলাম। আমারমনে হইতেছে আমি এই আয়াত টা উচ্চারণ করেছি কিন্তু সন্দেহ হইতেছে যে অন্য কিছু উচ্চারণ করি নাই তো।কারণ তখন তোঘুম থেকে উঠে গেসি তখন দেখি মুখে উচ্চারণ করতেছি। এমন অবস্থায় যদি তালাক এর কথা উচ্চারণ করে ফেলি তাহলে কিতালাক পতিত হবে?
৩.আবার সপ্নে দেখি কোনো পীর সাহেব এর নাম দেখতেসি। আবার ঘুম থেকে উঠে যায়। তখন দেখি আমি কি যেনো বলতেছি।তখন পীরের নাম উচ্চারণ করতেছি নাকি অন্য কিছু উচ্চারণ করতেছি সন্দেহ হইতেছে। আমি তালাক এর কথা উচ্চারণ করেছিএইটাও মনে হইতাসে আবার পীরের নাম উচ্চারণ করেছি এইটাও মনে হইতাসে। আমি যানি ঘুমের মধ্যে কিছু  উচ্চারণ করলেকিছু হই না। কিন্তু আমি মুখে যখন উচ্চারণ করেছি তখন আমি সজাক ছিলাম মানে আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি এইসববলতেছি এখন ঘুমের মধ্যে এইসব বলেছি কিনা যানি না কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি এইসব কি যানি বলতেছি। এখন যদি তালাকএর কথা উচ্চারণ করে ফেলি তাহলে কি তালাক পতিত হবে। আমার ভয় হইতেছে কিছু হয়ে গেলো নাতো। কারণ আমি ঘুমথেকে উঠে দেখি এইসব বলতেছি। তাতে কি কোনো সমস্যা হবে?
৪.আবার সপ্নে দেখি কি বিষয় নিয়ে যানি আমি আজব তো, হারাম তো,তালাক তো এইসব বলি। আবার আগের মতো এইটা ওঘুম থেকে উঠে দেখি এইসব বলতেছি। এখন আমি আজব তো, হারাম তো,তালাক তো,এই কথা টা কি আমার স্ত্রী কে বললামনাকি এইটা ভাবতেছি। মনে হইতাসে স্ত্রীকে বলেছি। ঘুম থেকে উঠে সজাগ যখন হই তখন বুঝি আমি এইটা বলতেছি সজাগহওয়ার পরেও এইটা বলতে থাকি এরপর বুঝি কি বলতেছি আমি। এখন আমি আজব তো, হারাম তো,তালাক তো,এই কথাগুলো যে বলেছি তাতে কি তালাক পতিত হবে?
শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট আলাদা ভাবে উত্তর দেওয়ার অণুরোধ রইলো।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
كَمَا  لَوْ أَقَرَّ بِالطَّلَاقِ هَازِلًا  أَوْ كَاذِبًا فَقَالَ فِي الْبَحْرِ، وَإِنَّ مُرَادَهُ لِعَدَمِ الْوُقُوعِ فِي الْمُشَبَّهِ بِهِ عَدَمُهُ دِيَانَةً، ثُمَّ نَقَلَ عَنْ الْبَزَّازِيَّةِ وَالْقُنْيَةِ لَوْ أَرَادَ بِهِ الْخَبَرَ عَنْ الْمَاضِي كَذِبًا لَا يَقَعُ دِيَانَةً، وَإِنْ أَشْهَدَ قَبْلَ ذَلِكَ لَا يَقَعُ قَضَاءً أَيْضًا. اهـ. 
অনুরুপ ভাবে যদি স্বামী মিথ্যা বা তামাশা মূলক তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়,তাহলে বাহরুর রায়েক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে এটি দিয়ানাতান তথা আল্লাহর নিকট তালাক বলে গন্য হবে না।
,
অতঃপর বাযযাযিয়া ও ক্বুনয়া কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, যদি এই মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা অতীতের তালাকের খবর স্বামী দেয়,তাহলে দিয়ানাতান (আল্লাহর নিকট) তালাক হবে না। 
(কাযা'আন তালাক হবে।)

কিন্তু যদি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির পূর্বে স্বামী এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখে, তাহলে  কাযা'আনও (তথা কাযী সাহেবের নিকট তালাক নিয়ে স্বামী স্ত্রীর ঝগড়ার মূহুর্তেও) তালাক হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৩৬)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো বিবাহিত ব্যক্তি যদি কোনো বাচ্চার সাথে মজা করে এমন বলে যে আমিতো বিয়েই করি নাই, আমার বিয়ের বয়সী হয় নাই। এমন বলার দ্বারা তালাক হবে না।

আপনি যে তাকে বলেছেন,
"আমি তর বড়ো হয়েও আমার বিয়ে হই নাই, আমার স্ত্রী নাই। আর তর বিয়ে হয়ে যাইতাছে তুই তো আরেক ঘরে চলে যাবি"
এই কথা বলার কারণে আপনার তালাক পতিত হবে না।

(২)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক পতিত হবে না।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক পতিত হবে না।

(৪)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...