আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
প্রশ্ন ১)আবারো একই প্রশ্ন করার জন্য দু:খিত। প্রশ্নের বিবরন টা একটু গুছিয়ে লিখেছি যতটুকু সম্ভব

আমি কি কখনো ছেড়ে দেবো বলেছি নাকি ছেড়ে দিলাম বলেছি এইটা নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতাম। আমি স্ত্রীকে অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি সেও অনিশ্চিত এই সম্পর্কে যে কি বলেছি। তার ধারনা আমি ছেড়ে দেবো ই বলেছি কিন্তু বেচারি সিউর করে বলতে পারছেনা । তারপর আমি একা একা নিজে এই সব চিন্তা করতাম অনেক সময় উচ্চারণ করে আলোচনা করতাম অতীতে কি বলেছি যেমন- "

আমার স্ত্রী আমাকে এই কথা বলতো , তারপর আমি এইটা বলতাম , তারপর স্ত্রী হয়তো এইটা বলতো , তারপর আমি ছেরে দিসি বলেছিলাম নাকি ছেড়ে দিবো বলেছিলাম? ছেরে দিসিই বলেছিলাম  ,,, না না ছেড়ে দিবোই বলেছি মনে হয়  "।হয়তো পুরো বাক্য উচ্চারণ না করে কিছুটা উচ্চারণ করে কিছুটা মনে মনে এইভাবে আলোচনা করতাম মনে হয় ।সঠিক মনে নেই। ঠিক কিভাবে আলোচনা করতাম মনে নেই ।উচ্চারন ও মনে মনে চিন্তা স্ত্রীক জিজ্ঞাসা এই আলোচনাট প্রায় ৮/৯ মাস আগের কথা  কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতাম ( ছেড়ে দেবো বলেছি নাকি ছেড়ে দিলাম বলেছি সেটা ২/৩ বছর আগের কথা )।
কিন্ত পুরো ব্যাপারটা অতীত নিয়েই আলোচনা করতাম। আলোচনার মূল কারন ছিল সত্যটা যাচাই করে সেই অনুযায়ী ফতুয়া গ্রহন করা।আমি যদি সত্যটা না যাচাই করি তাহলে প্রশ্ন করবো কিভাবে আর উত্তরই পাবো কিভাবে। কয়েকজন মুফতি বলেছেন( চারজন থেকে উত্তর নিয়েছিলাম ) কোন সমস্যা নেই অতীত নিয়ে এরকম আলোচনার জন্য কোন সমস্যা হবে না । আমার সন্দেহ হচ্ছে তারা আমার প্রশ্নের বিবরন ঠিকমত বুঝতে পেরেছিলো কিনা? আমি ওয়াসওয়াসার রোগী শুধু সন্দেহ হয়

আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার অতীত নিয়ে যে চিন্তা করতাম আলোচনা করতাম জানার জন্যে  একা একা এই আলোচনার জন্য বিবাহিত জীবনে কোন সমস্যা হবে কিনা ?

আগে একবার উত্তর দেওয়া হয়েছে লিংকের ১ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর http://ifatwa.info/58604/

২) ইউটিউব দেখে দেখে মাসায়েল জানার চেষ্টা করতাম। একজন বক্তা কে দেখলাম উনি বলছেন ছেড়ে দিলাম শব্দটা কেনায়া শব্দ অন্তরে নিয়ত থাকা লাগবে। অবশ্য এটা নিয়ে অনেক দ্বিমত আছে কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমার প্রশ্ন না আমার প্রশ্ন নিচে লিখেছি ।তখন সেই ইউটিউব এর মাসায়েল দেখে যেখানে বলা হয়েছে শব্দটি কেনায়া শব্দ অন্তরে নিয়ত শর্ত সেটা আমি বিশ্বাস করে স্ত্রীকে বলেছিলাম যদি ছেড়ে দেবো বলে থাকি তাহলে কোন সমস্যা নেই। আর ছেড়ে দিলাম যদি বলেও থাকি তাহলে অন্তরে নিয়ত থাকা লাগবে । আমার মনে হয়না আমি কখনো এরকম কথা বলেছি যদি বলেও থাকি তখন নিয়ত ছিলো না।

এখানে আমার প্রশ্নটা  হচ্ছে এরুপ মাসলা মাসায়েল নিয়ে আলোচনা স্ত্রীর সাথে করার কারনে কোন সমস্যা হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
তালাক শব্দ। এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০২)
এরুপ মাসয়ালা মাসায়েল নিয়ে আলোচনা স্ত্রীর সাথে করার কারনে কোন সমস্যা হবেনা।

তবে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, এরুপ মাসয়ালা নিয়ে স্ত্রীর সাথে আলোচনা না করার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...