আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
173 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। শায়েখ আমার সব গুলো পয়েন্ট কষ্ট করে পড়ার অণুরোধ রইলো।
১.আমার স্ত্রীকে নিয়ে কোনো একটা বিষয়ে মনের ভেতর চিন্তা আসে যে তুমি আমার মায়ের মতো। মনে মধ্যে চিন্তা আসে কিন্তুমুখে উচ্চারণ করি নাই। মনে মনে চিন্তা আসার কারণে মনে মনে বলি তুমি আমার মায়ের মতো কিন্তু মুখে উচ্চারণ করি নাই।পারে আমার খেয়াল আসে যে আমি মনে মনে কি বলেছি তাতে জিহার হয়ে গেলো নাতো।তখন আবার চিন্তা করি যদি জিহারহয়ে যায় তাহলে তো কাফফারা দিতে হবে। এরপর আবার চিন্তা করি এতো সন্দেহের দরকার নেই কাফফারা দিয়ে দিব তাহলেচলবে। আবার চিন্তা করি জিহার না হলে কাফফারা দিব কেনো। এমন অবস্থায় কি জিহার হয়ে যাবে?  আমাকে কি কাফফারাদিতে হবে?
২.আবার কোনো একটা বিষয় নিয়ে আমি আমার স্ত্রী কে রাগে বলি আররে বোন এইটা এমন এইটা এমন এখানে আররে বোনএই কথাটা যে আমি বললাম তাতে কি জিহার হয়ে যাবে?
৩.আজকে আমি আমার স্ত্রীর কাছে যায় তখন জিহার যে বিষয় গুলা দিয়ে হই সেসব বিষয় মনে পরে যায় তখন আমার কাছেকেমন যেনো একটা অনুবতি কাজ করে মনে হইতেছে জিহার হয়ে গেছে।মনে হইতেছে স্ত্রী হইতো হারাম হয়ে গেছে এমন চিন্তামাথায় আসে কিন্তু আমি মুখে কিছু বলি নাই। তাতে কি জিহার হয়ে যাবে?
৪.আমি বাহিরে আমার বন্ধুদের সাথে কথা বলি তখন আমি বলি আমার তো স্ত্রী নাই এমনটা বলতে যায় তখনই স্ত্রী নাই নাবলে কথা কাটিয়ে স্ত্রী বাড়িতে নাই এমনটি বলি।স্ত্রী নাই বা স্ত্রী বাড়িতে নাই এমন বললে কি কোনো সমস্যা হবে?
৫.আমার মাথায়  খালি ওল্টা পাল্টা চিন্তা আসে।কেনো আসে আমি বুঝতে পারি না আমি এইসব চিন্তা করতে চাই  না এরপরও এইসব চিন্তা আসে। আমার এইসব চিন্তা আসে তাই আমি মানুষের সাথে কথা কম বলি এবং চুপচাপ থাকি এরপর ও এইসবচিন্তা থেকে বের হতে পারি না। নামাজ পড়ার সময় ও এইসব চিন্তা আসে আমি সুরা পরি ঠিকই কিন্তু আমার মাথায় এইসব চিন্তাঘুরে। আমি খাইতে গেলে ও এইসব চিন্তা আসে আমি খাইতেছি কিন্তু মাথায় এইসব চিন্তা ঘুরতেছে জিহারের চিন্তা আসে তালাকএর চিন্তা আসে আমি কি করবো বুঝতে পারছি না এইসব চিন্তা করতে করতে যদি মুখে কিছু উচ্চারণ হয়ে যাই তখন কি তাকার্যকর  বা পতিত হয়ে যাবে? এইসব চিন্তা থেকে বের হবার উপায় কি?
শায়েখ অনেক অনেক অনেক পেরাশানিতে আছি। আমি আমার স্ত্রীকে অনেক মহাব্বাত করি অনেক বেশি ভালোবাসি।আমারসব গুলো পয়েন্ট এর উত্তর আলাদা দিলে আমি অনেক খুশি হবো।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এমতাবস্থায় যিহার হবেনা।
আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

(০২)
স্ত্রীকে বোন ডাকা উচিৎ নয়। হাদিসে রাসূল (সা.) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন।
তবে এর দরুন যিহার সাব্যস্ত হয়না।

হাদিস শরিফে এসেছে,

عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِامْرَأَتِهِ: يَا أُخَيَّةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أُخْتُكَ هِيَ؟، فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ

‘আবু তামীমাহ আল হুজাইমী (রা.) সূত্রে বর্ণিত। এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বললো, হে আমার বোন? রাসূল (সা.) বললেন, সে কি তোমার বোন? তিনি তার এরূপ সম্বোধনকে অপছন্দ করলেন এবং এরূপ করতে নিষেধ করলেন।’ [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ২২১০]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
এতে যিহার হয়ে যাবেনা।

(০৩)
তাতে যিহার হয়ে যাবেনা।

(০৪)
স্ত্রী নাই বা স্ত্রী বাড়িতে নাই এমন বললে তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৫)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই উচ্চারণ হয়ে গেলেও তালাক কার্যকর হবেনা।

★পরামর্শ থাকবে, 
এসব চিন্তা মাথায় আসলে সেটিকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজে মনোযোগী হয়ে যাবেন,তালাক যিহার জাতীয় কোনো মাসয়ালা পড়বেননা, এ জাতীয় কোনো প্রশ্ন করবেননা।
এ জাতীয় কাহারো সাথে কোনো আলোচনা করবেননা।

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...