আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته.
আমার হায়েজ সাধারণত ০৭ দিনে শেষের দিকে সারে।
এবার ৬ষ্ঠ রমজানে দুপুরের দিকে হায়েজ শুরু হয় আর ১১ রমজানের শেষ দিকে চলে গেছে মনে হওয়ায় এবং সতর্কতা হিসেবে আমি গোসল করি সাহরি খাই। কিন্তু ১২ তম রমজানে দিনের বেলায় টিস্যু দিয়ে চেক করলে লাল লাল দেখা যায়। তাই পানি খেয়ে ফেলি। সন্ধ্যার দিকেও সরিষা দানা পরিমাণ লাল দেখা যাচ্ছিল টিস্যু দিয়ে চেক করলে। পরে আমি ঘুমিয়ে পরি। একেবারে সাহরিতে উঠে গোসল করি আর সাহরি খাই।

মানে ১৩ তম রোযা থেকে আজ ২৭ তম রোযা পর্যন্ত আমি রোযা কন্টিনিউ করছি।

কিন্তু এর মাঝে আবার ১৪ রোযার দিন একটা সমস্যা হয়। সেটা হলো ইস্তেঞ্জায় গেলে মলদ্বার টিস্যু দ্বারা পরিষ্কার করার সময় পরিস্কার টিস্যুতে দুই ফোটা তাজা রক্ত দেখতে পাই। বুঝতে পারছিলাম না এই রক্ত কোথা থেকে এল। তবে লজ্জাস্থান থেকে আসেনি এটা অনেকটা শিওর ছিলাম। পাজামাতে ও হালকা লালচে স্রাব দেখেছিলাম কিন্তু এরপর গোসল শেষে আর দেখিনি।  অথচ ১২ রোযার পর হায়েজ সেরে যাওয়ায় আমি ১৩নং রোযা রেখেছিলাম।

এরপর আমি যথারীতি ২৬ রোযা পর্যন্ত সব রোযা রাখি। ২৭ রোযায় আসরের আগ দিয়ে গোসল করতে গিয়ে দেখি পাজামাতে কালচে লাল দেখা যাচ্ছে। কালচে লাল স্রাব যাচ্ছে। আমার জানামতে দুই হায়েজের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৫  দিন পবিত্রতা থাকে। এটা কি হায়েজ নাকি ইস্তিহাজা সেটা বুঝতে পারছিলাম না। উল্লেখ্য ঠিক কোন সময়ে এই স্রাব নির্গত শুরু হয়েছে তা বলতে পারছিনা, কারণ হায়েজ শুরু হলে আমি সাথে সাথে সেভাবে টের পাইনা। আর সেদিন সাহরির পর সারাদিনে ওয়াশরুমে যাওয়া হয়নি। তো একটা গ্রুপে আলেমা আপুকে বলার পর উনি বলেন যে এটা ইস্তিহাযা ছিল। আমি ২৭ রোযা পূর্ণ করেছিলাম। আমার হিসেবে ২৭ রোযায় ১৫ তম দিন ছিল। তাই কনফিউশনে পরে যাই যে ২৮তম রোযা রাখব নাকি যেহেতু সেটা ১৬ তম দিন। তাও কনফিউশন অবস্থাতেই রাখব ; ভাঙব এমন করে ঐ রোযাটাও রাখি। এরপর ২৯ রোযাতেও সেম ঘটনা। এটাও কনফিউশনে পরে রেখেছি। আমার প্রচন্ড ওসিডির সমস্যা আছে। তাই সহজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। আর হায়েজ ইস্তিহাযার মাসয়ালা তো আরো জটিল লাগে। ২৯ রোযা অর্থাৎ আজকে আমার স্রাব লালচে যাওয়া বন্ধ হয়; সাদা রঙ আসে, দুপুরের প্রথম দিকে। আসরের পর গোসল করি ইফতারের আগে ( ফরয গোসল নয় )।এরপর মাগরিবেও অন্য রঙের পাইনি। তাই মাগরিবের সালাত আদায় করি।

১)রমাযানে আমার প্রথম হায়েজের পবিত্রতা কততম রোযা থেকে ধরব তাহলে?

২) ২৭ রোযা থেকে যে রক্তস্রাবটা গেল সেটার ডিউরেশন আজকের হিসেবে দুদিনের কিছু বেশি কিন্তু তিনদিন নয়। এটা কি হায়েজ ছিল না ইস্তিহাযা?

৩) ২৭ রোযার আসর থেকে নামাযগুলো কি কাযা আদায় করতে হবে?

৪) আমাকে কি এখন ফরয গোসল করতে হবে? আমি যে মাগরিব পরলাম ফরয গোসল না করে এতে কি গুনাহ হবে?

৫) উপরে উল্লিখিত তথ‍্য অনুযায়ী  আমার কোন কোন রোযা হয়নি? কয়টি রোযার কাযা আদায় করতে হবে?

৬) পবিত্রতার ১৫ তম দিনে রক্তস্রাব শুরু হয়ে তা যদি ১৬ তম দিন অতিক্রম করে ১৭ তম দিনে শেষ হয় তাহলে কি সেটা হায়েজ বলে গণ্য হবে না ইস্তিহাযা? আর যদি ১৭ তম দিনেও শেষ না হয় তাহলে কি হিসেবে গণ্য হবে?

৭) যদি শরীরের সর্বত্র পানি পৌছিয়ে গোসল করা হয় এবং গোসল শেষে বের হয়ে ততক্ষণাৎ বেসিন থেকে কুলি ও নাকে পানি দেওয়া হয় তাহলে কি ফরয গোসল হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার যেহেতু ৭ দিনের আদত বা অভ্যাস ছিলো, এখন আপনি ১০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১০ পর্যন্ত যদি হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ১০ দিনই হায়েয।আর যদি ১০ দিন অতিক্রম করে যায়,তাহলে ৭ দিন হায়েয এবং ৭ দিনের অতিরিক্ত দিনসমূহ ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 180 views
0 votes
1 answer 200 views
0 votes
1 answer 137 views
...