আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
308 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমার স্বামী বিয়ে করার পরে তালাক নিয়ে ভিডিও দেখে এরপর থেকে তার বিতরে এইসব এর চিন্তা আসে  খালি একদিন রেগে গিয়ে কষ্ট পেয়ে নিচের  কথাগুলো উনার বন্ধুর সাথে এসএমএস এর মাধ্যমে বলে

১.আর হারাম কত থাকবো।তাই বিয়ে করে নিছি ভাবছি হালাল থাকলে বরকত থাকবো।আর আমি বিয়ে করছি বিয়েতে এই ঐ কোন বরকত নাই।আমি লাইফের সবচেয়ে বড় ভুল করছি বিয়ে কইরা।

২.আমি তালাকের মাসালা দেখছিলাম তারপর তালাক নিয়ে মাসালা পড়তে পড়তে আমি শেষ। এই তালাক তালাক করতে করতে আমার রোগ হয়ে গেছে। আমি যা করি আমার মাথায় তালাকের চিন্তা আসে। আমার মনে হয় আমি কি জানি বইলা ফেলছি। আমার মুখ দিয়ে যদি বের হয়ে যায় কিছু।
৩.আর যদি কেউ রাগে এমন বলে তোমাকে ছাড়া দিলাম,তোমাকে লাগবে না,তুমি চলে যাও, তোমার দরকার নেই,  এইসব হচ্ছে কেনায়া তালাক।এখানে যদি তিন তালাকের নিয়ত কইরা বলা হয় তাহলে তিনটা পতিত হইয়া যাইবো।এসব অনেক ডেঞ্জারাস শব্দ।
৪ দুই দিলে দুইটা পতিত হইবো তারপর তিন ইদ্দতের ভিতরে গ্রহণ করলে হইয়া যাইবো নিউ করে বিয়ে করতে হইব না। কিন্তু তিনটা তালাক হয়ে গেলে শেষ আর বিয়ে করতে পারব না,অন্য কেউরে বিয়ে করতে  হয় তারপর কোন কারনে যদি ওদের তালাক হয় তখন আবার আগের জামাই বিয়ে করতে পারে

৫.আর তালাক এমন একটা জিনিস নিয়ত হোক আর না হোক মুখ দিয়া কইলেই শেষ। আমি একটা দিলে একটা পতিত হইবো। যাই বা গেলাম এইডি দিয়া যদি তালাক বোঝায় তাইলে শেষ।

৬.এর উপরে এক তালাক পইড়া আছে, তারপর সব ঠিক করছে, এইটা এমন  একটা জিনিস যেটা উঠানো যাইবো না, তালাক হইল এমন কইছোস পইড়া গেছে শেষ।

৭.আমি একটা তালাকের রোগী আমারে বলে তালাকের মাসালা আনতাম, আমার মাথায় খালি এইসব ঘুরে, একদিন তো ঘুমের মধ্যেও এসব কইছি আমি, আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে, ধর তরে নরমালি কইলাম আমি যাই, এখন যাই কোন নিয়তে কইলাম? তালাকের নিয়তে কইলাম না তো এই সন্দেহ খালি মনে ঘুরে।
৮.আমি মইরা গেলেও আমার দাম নাই, আমার শান্তি কেউ সহ্য হয় না, আমি যামো গা, কেউ আর  কি থাকার দরকার আছে, আমি যে এত কথা বললাম *কে জানে  রিলেশন আছে কি নাই *

৯. আমি মরলে কাবিনের পাঁচ লাখ   তার হক এইটা আমার ঘর থেকে আদায় কইরা দিস।
এই সকল কথা উনি তার বন্ধুর সাথে এসএমএস এর মাধ্যমে বলে, উনি আমার উপর খুব রাগ হয়ে এই কথাগুলো বলে, কারণ আমি মাসালা জানতে চাইছিলাম একটা, উপরে ৩.৪.৫. এইগুলার মধ্যে উনি উনার ফ্রেন্ডকে তালাকের কিছু নিয়ম বুঝায়,
প্রশ্ন হচ্ছে এগুলো দ্বারা কোন সমস্যা হবে না তো?উনি যে এতবার এই কথাগুলো মনে মনে উচ্চারণ করেছে বা এসএমএসে লিখেছে,  উনি নিজেও সন্দেহে ভুগছে, ভুল কিছু হয়ে যায় নাই তো।তারপর এইটাও বলছে যে এত কিছু যে বললাম রিলেশনটা আছে কি নাই? আর কেনায়া যে বাক্যগুলা বা শব্দগুলা রয়েছে তা ধারা কি পতিত হয়ে যায় নিয়ত থাকুক আর না থাকুক ?এইসব থেকে ফিরে আসার সমাধান কি? আমাদের করণীয় কি? আমরা এই সব কিছু থেকে অনেক দূরে থাকতে চাই ভালো থাকতে চাই।উনি রাগে আমাকে একবার এমন কিছু বাক্য বলে যা ধারা এক তালাক পতিত হয়েছিল।ওই সব কিছু কি বাদ দেওয়া যাবে না? এক তালাক কি কোনভাবে বাদ দেওয়া যাবে না? এমন কি কোন উপায় আছে নতুন বিয়ে করলে যেমন ১ ২ তালাকের কিছু আমাদের উপরে নাই? আমাদের উপায় বলেন দয়া করে আমরা এসব কিছু বাদ দিতে চাই। উনি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে এসব কিছুর মধ্য দিয়ে।
শায়েখ আমি অনেক পেরাশানিতে আছি। আশা করছি আপনি এর সঠিক সমাধান দিবেন।
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

1 Answer

0 votes
by (565,920 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ-

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১.২.৩.৪.৫.৬.৭.৮.৯)
উপরোক্ত প্রশ্নের কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

আপনি টেনশন মুক্ত থাকুন। 
এগুলো বিষয় মাথাতেই আসতে দিবেননা।
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
কোনো সমস্যা নেই।
,
পরামর্শ থাকবে, আপনি তালাকের কোনো মাসয়ালা পড়বেননা,তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...