ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কেউ মালকে এজন্য সংরক্ষণ করল যে,সে এখান থেকে প্রয়োজনানুরূপ খরছ করবে।ইতিমধ্যে একটি বৎসর চলে যায়।এবং সেই সংরক্ষিত মালে নেসাব পরিমাণ মাল অবশিষ্ট থাকে।তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দিতে হবে।যদিও ভবিষ্যতে সেই মালকে খরছ করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু বৎসর পূর্ণ হওয়ার সময়ে তো এই টাকা কাজে লাগেনি বরং এখনও নেসাব পরিমাণ মাল রয়েছে ।সেজন্যই তাতে যাকাত আসবে।
তবে যদি কোনো সম্পত্তিতে এক বৎসর অতিবাহিত হয়,এবং সেই মালে অন্যকারো হক্ব নির্ধারিত হয়ে যায়।যদিও সেই মালকে এখন পর্যন্ত অন্য মাল(অর্থাৎ যে মালে বৎসর অতিবাহিত হয়ে যাকাত ওয়াজিব হয়ে গেছে)থেকে পৃথক করা হয়নি তার পরও তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে না।(কেননা তাতে অন্যর হক্ব নির্ধারিত হয়ে গেছে)
কেননা নিজের যিম্মা থেকে ওয়াজিব আদায় করার সবাই মুখাপেক্ষী। যেমন কাফফারা, মান্নত,হজ্ব ইত্যাদি।সুতরাং এগুলো খরছ না করলেও শরীয়ত তাকে খরছের মতই মনে করে। (রদ্দুল মুহতার-2/262)
প্রিয় পোশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাদাকাহর উদ্দেশ্যে যেই টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, বৎসর পূর্ণ হলে সেই টাকার যাকাত অবশ্যই দিতে হবে।