ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি বিশেষকরে উপরের লিংকে বর্ণিত লিখাটি পড়বেন।
(১) সহীহ আকিদার কোনো আলেম বা তথাকথিত পীরের কাছে বায়াত গ্রহণ করা জরুরী।পীরের আদেশকে মান্য করা চিকিৎকের বিধিনিষেধের মত। পীর হলেন, আত্মার চিকিৎক।এবং ডাক্তার হলেন,শরীরের চিকিৎক। পীর যদি কোনো মুস্তাহাব কাজের আদেশ করেন,তাহলে তখন সেটা জরুরী হিসেবে মান্য করাই উচিৎ।তবে শরয়ীভাবে সেটা ওয়াজিব হবে না। ইচ্ছা করেই তার নফল কাজের আদেশ মতো না চললে গুনাহ হবে না।
(২) একই সময় একাধিক পীরের কাছে মুরিদ হওয়া যাবে।যেভাবে কোনো রোগের চিকিৎসার জন্য একাধিক চাকিৎসকের কাছে যাওয়া জায়েয হয়ে থাকে। কোনো পীর সাহেবের নিকট মুরিদ হওয়ার পর আত্মার চিকিৎসার কোনো উন্নতি না হলে, অন্য পীরের কাছে মুরিদ হওয়া যাবে।