আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
248 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম । শায়েখ নিচের ঘটনাটি কয়েক জায়গায় পড়েছি কিন্তু কোনো রেফারেন্স দেয়া ছিল না। তাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি। ঘটনাটি সহীহ কিনা জানতে চাই। যদি সহীহ হয় একটু রেফারেন্সের মাধ্যমে জানাবেন শায়েখ ইন শা আল্লাহ।
তিনদিন হলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনাতে নেই।কেউজানেনা নবীজি কোথায়। ওমর ফারুক (রাযিঃ) মুক্ত

তরবারিহাতে ঘোষণা দিলেন, “যদি নবীজির কোন কিছু হয় তবে আমি ওমর বলছি মক্কার একটা মুনাফিকও আস্ত
শরীরে থাকবে না।“ এদিকে আবু বকর (রাযিঃ)বললেন,
থাম ভাই চল নবীজির তালাস করি। দুই জনে মদিনাথেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। মরুভূমি পেরিয়ে পাহাড়ের এলাকাতে আসলেন। একটু দূরে

দেখলেন এক রাখাল দাড়িয়ে আছে। আবু বকর (রাযিঃ)

ওমর ফারুক (রাযিঃ) রাখালকে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কি মুহাম্মদ (সা.) কে দেখেছ? রাখাল উত্তরে
বলল
আমি মুহাম্মদ (সা.) কে চিনি না এবং আপনাদেরও চিনি না।
তবে ঐ পাহাড়ের উপরে একজন লোক ইয়া উম্মাতি,
ইয়া
উম্মাতি বলে কাঁদছেন।
আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ)
বুঝতে বাকি ছিলনা ঐ লোক আর কেউ না দয়াল
নবীজি
হযরত মুহাম্মদ (সা.)। রাখাল আবার বলল লোকটির
সাথে
সাথে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলোও কাঁদতেছে
আর খাওয়া
বন্ধ করে দিছে। আপনারা উনাকে নিয়ে যান তা না
হলে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলো কাঁদতে কাঁদতে
মরে
যাবে। আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) পাহাড়ে
গিয়ে দেখলেন দয়াল নবীজি সেজদা-রত
অবস্থায় ইয়া
উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন। নবীজির কষ্টে
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি আবু বকর
ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে যত আমল করেছি
সব আপনার উম্মাতকে দিয়ে দিলাম, আপনি দয়া করে
মাথা উঠান।
নবীজি মাথা উঠায় না। এবার ওমর ফারুক (রাযিঃ)
বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি ওমর যে আপনার মাথা
নিতে
গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে দিয়েছি সে আপনার
উম্মাতের জন্য সব আমল দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা
উঠায় না। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ওমর কাজ হবে না
রসুলুল্লাহকে একমাত্র ফাতিমা শান্ত করতে পারবে।
তারা দুই জনে মদিনা দিকে ছুটছেন, পথে হযরত
আলী
(রাযিঃ) এর সাথে দেখা। আবু বকর ও ওমর (রাযিঃ)
বললেন সামনে গিয়ে লাভ নেই, রসুলুল্লাহকে
শান্ত
করতে ফাতিমাকে লাগবে। এবার তিন জনে ফাতিমার
বাড়ির সামনে আসলেন আলী (রাযিঃ) ফাতিমাকে ডাক
দিলেন, ফাতিমা বাইরে আসে স্বামীর চেহারা
দেখে
বললেন, আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, তবে
কি মক্কার
মুনাফিকরা আমার আব্বাজানকে মেরে ফেলছে?
আলী
(রাযিঃ) বললেন তুমি তাড়াতাড়ি চলো নবীজি ইয়া
উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন, মাথা উঠাচ্ছেন
না। ফাতিমা দৌরে গেলেন। নবীজির কাছে গিয়ে
বলছেন আব্বাজান আপনি সফরে যাবার আগে এবং
সফর
থেকে ফিরে প্রথমে আমাকে দেখতেন,
আমার সাথে
কথা বলতেন। কিন্তু আজ তিন দিন হল আপনার কোন
খোঁজ নেই, আপনি কি আমাকে ভুলে গেছেন?
নবীজি
তাও মাথা উঠায় না। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন
আব্বাজান আমি আপনার ফাতিমার সব নেকী আপনার
উম্মাতকে দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না।
নবীজির দুই পাশে হাসান, হুছাইন দাড়িয়ে
বলতেছেন
নানাজান উঠেন, নানাজান উঠেন। নবীজি মাথা উঠায়
না। হঠাৎ ফাতিমা (রাযিঃ) বলে উঠলেন
“আব্বাজান আপনি উঠেন আমি আপনার উম্মাতির জন্য
আমি হাসান, হুছাইনকে কুরবানি করে দিলাম।“
আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার।
এবার নবীজি মাথা উঠালেন আর বললেন ফাতিমা তুমি
কি দোয়া করলা আমার আল্লাহ্ তোমার দোয়া কবুল
করে ফেলছেন।
by (18 points)
কপি করে পেস্ট করেছি। তাই মাঝখানে কিছু উলোটপালোট ইংরেজি শব্দ চলে এসেছে। আফওয়ান।            

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
তিনদিন হলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনাতে নেই।কেউজানেনা নবীজি কোথায়। ওমর ফারুক (রাযিঃ) মুক্ত

তরবারিহাতে ঘোষণা দিলেন, “যদি নবীজির কোন কিছু হয় তবে আমি ওমর বলছি মক্কার একটা মুনাফিকও আস্ত
শরীরে থাকবে না।“ এদিকে আবু বকর (রাযিঃ)বললেন,
থাম ভাই চল নবীজির তালাস করি। দুই জনে মদিনাথেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। মরুভূমি পেরিয়ে পাহাড়ের এলাকাতে আসলেন। একটু দূরে

দেখলেন এক রাখাল দাড়িয়ে আছে। আবু বকর (রাযিঃ)
ওমর ফারুক (রাযিঃ) রাখালকে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কি মুহাম্মদ (সা.) কে দেখেছ? রাখাল উত্তরে
বলল
আমি মুহাম্মদ (সা.) কে চিনি না এবং আপনাদেরও চিনি না।
তবে ঐ পাহাড়ের উপরে একজন লোক ইয়া উম্মাতি,
ইয়া
উম্মাতি বলে কাঁদছেন।
আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ)
বুঝতে বাকি ছিলনা ঐ লোক আর কেউ না দয়াল
নবীজি
হযরত মুহাম্মদ (সা.)। রাখাল আবার বলল লোকটির
সাথে
সাথে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলোও কাঁদতেছে
আর খাওয়া
বন্ধ করে দিছে। আপনারা উনাকে নিয়ে যান তা না
হলে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলো কাঁদতে কাঁদতে
মরে
যাবে। আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) পাহাড়ে
গিয়ে দেখলেন দয়াল নবীজি সেজদা-রত
অবস্থায় ইয়া
উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন। নবীজির কষ্টে
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি আবু বকর
ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে যত আমল করেছি
সব আপনার উম্মাতকে দিয়ে দিলাম, আপনি দয়া করে
মাথা উঠান।
নবীজি মাথা উঠায় না। এবার ওমর ফারুক (রাযিঃ)
বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি ওমর যে আপনার মাথা
নিতে
গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে দিয়েছি সে আপনার
উম্মাতের জন্য সব আমল দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা
উঠায় না। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ওমর কাজ হবে না
রসুলুল্লাহকে একমাত্র ফাতিমা শান্ত করতে পারবে।
তারা দুই জনে মদিনা দিকে ছুটছেন, পথে হযরত
আলী
(রাযিঃ) এর সাথে দেখা। আবু বকর ও ওমর (রাযিঃ)
বললেন সামনে গিয়ে লাভ নেই, রসুলুল্লাহকে
শান্ত
করতে ফাতিমাকে লাগবে। এবার তিন জনে ফাতিমার
বাড়ির সামনে আসলেন আলী (রাযিঃ) ফাতিমাকে ডাক
দিলেন, ফাতিমা বাইরে আসে স্বামীর চেহারা
দেখে
বললেন, আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, তবে
কি মক্কার
মুনাফিকরা আমার আব্বাজানকে মেরে ফেলছে?
আলী
(রাযিঃ) বললেন তুমি তাড়াতাড়ি চলো নবীজি ইয়া
উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন, মাথা উঠাচ্ছেন
না। ফাতিমা দৌরে গেলেন। নবীজির কাছে গিয়ে
বলছেন আব্বাজান আপনি সফরে যাবার আগে এবং
সফর
থেকে ফিরে প্রথমে আমাকে দেখতেন,
আমার সাথে
কথা বলতেন। কিন্তু আজ তিন দিন হল আপনার কোন
খোঁজ নেই, আপনি কি আমাকে ভুলে গেছেন?
নবীজি
তাও মাথা উঠায় না। ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন
আব্বাজান আমি আপনার ফাতিমার সব নেকী আপনার
উম্মাতকে দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না।
নবীজির দুই পাশে হাসান, হুছাইন দাড়িয়ে
বলতেছেন
নানাজান উঠেন, নানাজান উঠেন। নবীজি মাথা উঠায়
না। হঠাৎ ফাতিমা (রাযিঃ) বলে উঠলেন
“আব্বাজান আপনি উঠেন আমি আপনার উম্মাতির জন্য
আমি হাসান, হুছাইনকে কুরবানি করে দিলাম।“
আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার।
এবার নবীজি মাথা উঠালেন আর বললেন ফাতিমা তুমি
কি দোয়া করলা আমার আল্লাহ্ তোমার দোয়া কবুল
করে ফেলছেন।


প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
আপনার উল্লিখিত ঘটনা ইতিহাস ও হাদীসের কিতাব সমূহ খুজে এর কোন বাস্তবতা পাইনি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খাইরান শায়েখ  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...