আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আমার মাসিক শেষ হয়েছে আজ ১৩ দিন। কিন্তু গত ২ দিন ধরে মানে মাসিক শেষ হওয়ার ১১ তম দিন থেকে আমি রক্ত দেখতে পাই।হায়েজের মতো অত বেশি না হলেও লাল এবং মেটে কালার মিশ্রিত। উল্লেখ্য আমি ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ রাখছি, কারন আমি উমরাহতে এসেছি। এর জন্য আগের মাসিকটাও নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুদিন পর হয়, এবং ভালোভাবে রক্ত যায় নি। এখনো ওষুধ খাচ্ছি। এই সন্দেহতে পড়ে আমি দুই ওয়াক্ত নামাজ বাদ দিয়েছি।

আমি শুনেছিলাম যদি হায়েজ শেষ হওয়ার ১৪ দিনের ভিতর আবার রক্ত দেখা যায়, সেটা হায়েজ বলে গন্য হবে না। এ ক্ষেত্রে আমার এটি হায়েজ হবে না। কিন্তু আর একদিন পরও যদি দেখতে পাই তাহলে কি তখন শুধু সেই দিন থেকে হায়েজ বলে গন্য হবে?  নাকি এই পুরো সময়টাই হায়েজ হবে?
১.এখন এটা কি আমার হায়েজ বলে গন্য হবে?
২. গন্য না হলে বাদ দেয়া নামায কি কাজা করে নিতে হবে?

৩.রোজার বিধান আমার জন্য কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (645,180 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
মাসিক শেষ হওয়ার পর দিন থেকে নিয়ে ১৫ দিনের মাঝে যে রক্তই দেখা যায়,সেটি ইস্তেহাজা।
এ সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।

মাসিক শেষ হওয়ার ১৬ তম দিনেও যদি এই রক্ত আসতেই থাকে,সেক্ষেত্রে সর্বনিম্ব ৩ দিন তিন রাত ধরে এই রক্ত আসলে ১৬ তম দিন থেকে হায়েজ ধরতে হবে।

 ৩ দিন তিন রাতের কম হলে সেটি হায়েজ নয়,এটিও ইস্তেহাজা।

(০২)
বাদ দেয়া নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

(০৩)
ইস্তেহাজা চলাকালীন সময়ে রোযা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 227 views
0 votes
1 answer 234 views
0 votes
1 answer 658 views
0 votes
1 answer 727 views
...