আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)

আসসালামু আলাইকুম।

আমি আগের প্রশ্নে শশ্বরবাড়ির নন মাহরামদের সামনে পরিপূর্ন পর্দার হুকুম জেনে নিয়েছি যেখানে আমাকে মুখ ঢেকে সমস্ত শরীর ঢেকে পূর্ণ পর্দার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এখন,  আমার স্বামী আমাকে এভাবে পর্দা করতে দিতে কোনোভাবে রাজি হচ্ছেনা। সে আমাকে মুখ ঢেকে রাখতেও মানা করছে। সে হুকুমের স্বরে বলছে আমার এভাবে চলার জন্য তাকে যেনো কোনো সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয়। আমার জন্য মানুষের কথা শুনতে না হয়। আমি তাকে বুঝিয়েছি। তিনি সন্তুষ্ট চিত্তে আমাকে এভাবে পর্দা করার অনুমতি দিচ্ছেন না৷ বলছেন এমনি একটা হিজাব পরে যাবা,মুখ ঢাকবানা, নন মাহরাম কেউ আসলে তুমি পেছন ফিরে কাজ করবে৷ ব্যস, এতেই পর্দা হয়ে যাবে।এসব লম্বা খিমার পরার দরকার নেই।

আমি আবার বুঝাতে চাইলে বিরক্ত হচ্ছেন। এরপর আমি দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়ে দেখেছি যে, যত যাই হোক, যে যাই বলুক, আমি পর্দা করবই৷ তিনি ও তাতেও অনঢ়।


এখন আমার করণীয় কি? আমি আমার স্বামীর কথাতে কান না দিয়ে দৃঢ়ভাবে এই পর্দা করা চালিয়ে যাব? এতে আমাদের সম্পর্কের বিশাল অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমি কিভাবে কি করব আমাকে দিকনির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করুন।


আমি আল্লাহর ফরয বিধান পর্দা পালন করা থেকে পিছলে পড়তে চাইনা।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


গুনাহের কাজে স্বামীর আদেশ মানা জায়েজ নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর চেহারা খোলা রেখে পর্দার আদেশ কোনোভাবেই মানবেননা।
তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়ার পাশাপাশি ধৈর্য ধারন করুন।
কথার জবাব দেয়ার দরকার নেই।

আল্লাহ তায়ালাই উত্তম ফায়সালা কারী।

হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহঃ লিখেন,

ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا

গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ তথা বৈধ কাজে
মাতা পিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব নয়।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...