বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কেউ যদি অজু করে মসজিদে সালাত আদায়ের লক্ষ্যে যায়,এবং রাস্তায় কোনো নাপাকি শরীরে বা কাপড়ে লাগে, যেমন কুকুরের প্রস্রাব/পায়খানা তাহলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে,তবে অজু চলে যাবে না।অজু বা পবিত্রতা বহালই থাকবে।
নাজাসত দুই প্রকার
(ক)নাজাসাতে গালিজাহ
(খ)নাজাসাতে খাফিফাহ
প্রথম প্রকারঃ
নাজাসতে গালিজাহ।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ
নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।
নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি সময়-সুযোগ থাকে।
দ্বিতীয় প্রকারঃ
নাজাসতে খাফিফাহ
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে
(والثاني المخففة) وعفي منها ما دون ربع الثوب. كذا في أكثر المتون اختلفوا في كيفية اعتبار الربع قيل المعتبر ربع طرف أصابته النجاسة كالذيل والكم والدخريص إن كان المصاب ثوبا وربع العضو المصاب كاليد والرجل إن كان بدنا وصححه صاحب التحفة والمحيط والبدائع والمجتبى والسراج الوهاج.
وفي الحقائق وعليه الفتوى. كذا في البحر الرائق وبول ما يؤكل لحمه والفرس وخرء طير لا يؤكل مخفف هكذا في الكنز.
ভাবার্থঃনাজাসতে খাফিফাহ, যা এক চতুর্থাংশের কম হলে ক্ষমাযোগ্য।চতুর্থাংশ কিসের?সেটা নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।কেউ কেউ বলেন,কাপড় বা শরীরের যে অংশে নাজাসত লাগবে তার চতুর্থাংশ উদ্দেশ্য যেমন,আস্তিন,হাতা,এবং হাত পাঁ ইত্যাদি।
এটাই বিশুদ্ধ মত।ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব যেগুলোর গোস্ত ভক্ষণ করা হালাল,এবং ঐ সমস্ত পাখীর বিষ্টা যেগুলোর গোসত ভক্ষণ করা হারাম।এগুলা হল নাজাসতে খাফিফাহ।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)
নাজাসতে খাফিফাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে এক চতু্র্থাংশ পর্যন্ত মাফ।তথা ঐ কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়লে নামায বিশুদ্ধ হবে।যদিও তা ধৌত করা জরুরী যদি হাতে সময়-সুযোগ থাকে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১১৮