আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। শাইখ  তালাকের নোটিশে যদি নিচের ভুলগুলো হয় তাহলেও কি তালাক পতিত হবে? হলে কয় তালাক হবে? তালাকের নোটিশে সুস্পষ্টভাবে কয় তালাক লেখা নেই। স্ত্রীর খালওয়াতে সহীহা নেই এবং সহবাস হয়নি তাই এটা কি শরীয়া অনুযায়ী এক বায়েন তালাক হবে? উপরে লেখা তালাকের নোটিশ। Under Secton 7 (1) of the Muslim Family Laws Ordinance -1961.  নোটিশ স্বামী নিজে তৈরি করতে পারেন অথবা কাউকে দিয়ে করাতে পারেন তবে নিজে সাইন করে স্ত্রীর ঠিকানায় নিজে পাঠান। নোটিশে লেখা আছে প্রতিপক্ষকে রেজিস্ট্রিকৃত তালাকের রেজাই গ্রহণ করিলাম।

পাশাপাশি নোটিশে নিচের ভুলগুলো রয়েছেঃ

১। নোটিশে স্ত্রীর নামের বানানে ভুল। যেমন আমিনা বেগমের জায়গায় যদি আমিনা খাতুন হয় এমন। স্বামীর নামের বানানে যদি শরিফুল না হয়ে ভুলে সরিফুল হয়। এছাড়া বাবা মার নাম ঠিকানা সব ঠিক আছে।

২। নোটিশের নিচে তালাক দাতার স্বাক্ষরের জায়গায় স্বামী সাইনের ঘরের ঠিক নিচে তারিখের ঘর বরাবর স্বাক্ষর করেন। নোটিশে কোনো সাক্ষীর স্বাক্ষর নেই। সাক্ষীর জন্য আলাদা কোনো ঘর বা অপশন ছিলো না।

৩। নোটিশে আরও লেখা ছিলো পারস্পরিক অবর্গতা দূর করার সব রকম চেষ্টায় ব্যর্থ হইয়া সম্পর্ক ছিন্ন করার মনস্থ করিয়াছি। বিবাহের সময় নিকাহনামায় সম্পাদিত কাবিনের শর্তসমূহ ভঙ্গ করায় ( স্ত্রী যদিও কাবিনের শর্ত ভঙ্গ করেননি বা কিভাবে ওনার দ্বারা কাবিনের শর্ত ভঙ্গ হয়েছে বুঝতে পারছেন না। কারণ কাবিনের শর্ত বলতে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় ছিলো যা লঙ্ঘিত হলে স্ত্রী স্বামীকে তালাক প্রদান করতে পারবেন। কিন্তু স্বামীর দ্বারা এরূপ কোনো বিষয় লঙ্ঘিত হয়নি। আর স্ত্রী তালাক চেয়ে আসছিলেন কন্টিনিউ করতে চান নি কিন্তু স্বামীকে উনি তালাক প্রদান করেননি )।  নানা কারণ ও গভীর চিন্তা বশত পরিত্রাণের তাগিদে বাধ্য হইয়া আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী..... এই তারিখ হইতে প্রতিপক্ষকে রেজিস্ট্রকৃত তালাকের রেজাই গ্রহণ করিলাম।

উস্তায আমাদের দেশে সাধারণত তালাকের রেজিস্ট্রি হয়তো তিন তালাকের হতে পারে আমি সঠিক জানিনা । এক্ষেত্রে স্বামী নোটিশে উল্লেখ করেছে প্রতিপক্ষকে রেজিস্ট্রিকৃত তালাকের রেজাই গ্রহণ করিলাম।
সাইন করার সময় স্বামীর যদি তিন তালাকের নিয়ত থাকে কিন্তু মুখে উচ্চারণ না করে তাহলে কি তিন তালাক হবে? স্বামীর মনে তিন তালাকের অভিপ্রায় ছিলো কিন্তু উচ্চারণ করেননি এমনটার সম্ভাবনাই বেশি হতে পারে।
আর যদি তিন তালাকের নিয়ত অথবা তালাকের নিয়ত না থাকে স্ত্রীকে ভয় দেখানোর বা শুধরানোর উদ্দেশ্যে তালাকের নোটিশ করেন আর নিজে সাইন করে স্ত্রীকে পাঠান তাহলেও কি তালাক হবে? হলে কয় তালাক হবে?

এই নোটিশের পর স্ত্রী স্বামীর কাছে ইমেইলে জানতে চান নোটিশ প্রত্যাহার করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে। স্বামী ইমেইলের রিপ্লাই এ স্ত্রীকে জানান উনি ৩ তালাক দিয়েছেন। পরবর্তীতে স্ত্রী জানতে পারেন এই ৩ তালাক স্বামী মুখে উচ্চারণ করেছেন নোটিশ পাঠানোর কিছুদিন পর।
by (590,550 points)
reshown by
আপনার সাথে ফোনে কথা হয়েছে।বিষয়টা বিস্তারিত ফোনে আপনাকে বলেছি। যাইহোক আবার যখন প্রশ্ন করে ফেলছেন, তাই ইনশা'আল্লাহ জবাব পাবেন।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
 ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...