১. আমার বিবাহের দিনে কাজী সাহেব, এজাব কবুলের সময় আমাকে কাবিনের এমাউন্ট বলেন কিন্তু আমার বউকে তা বা বলেই অমুকর ছেলে অমুবক বাড়ি অমুক এভাবল বিয়ে পড়িয়ে নেন, বউকে যাখন বলেন নি এবং আমাকে কবুল পড়ানের সময় আমি বলি এমাউন্ট তো বলছেন না, তখন তিনি বললেন এটা তো নিজেরা আলোচনা করেন নি? তখন বউ আমার সামনেই ছিলো তার সামনে কবুল পড়ানোর সময় আমাকে এমাউন্ট বলেছে। এবং খুতবা বসে দেম। এটা নিয়ে তখন কিছু সন্দেহ হয় যে বিয়ে পড়ানো ঠিক হলো কি না। পরে বিভিন্ন ঝামেলায় তা মন থেকে চলে যায় এবং বিবাহ সঠিক হয়েছে ভেবেই দিন চলছইলো,পরে রাতে সন্দেহ গাঢ় হওয়ায় সব বিষয় একজন মুফতিকে বলি উনি বলেন এভাবে বিয়ে হবে সমস্যা না।
আমার এই সন্দেহের ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?
২. এরা ছাড়াও বিভিন্ন সময় আমার বিয়ে নিয়ে সন্দেহ হতো যে কাজি যেভাবে বলেছেন এভাবে পরলে বিয়ে হবে কি না, কুফু ঠিক আছে কি না, এইসব পরে তা আলেমদের জিগ্যাস করার পরে তারা বলতেন সমস্যা না।এভাবে সন্দেহ হলে জেনে জেনে চলছে,এসব সন্দেহের ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?
৩. একবার একটা মাসআলায় একজন শায়েখ বলেন আমাদের বিবাহ নষ্ট হয়ে গেছে। পরে আমি তো কিছু সময় তা ই বিশ্বাস করেছিলাম, বউ এর থেকে দূরে ছিলাম, পরে অন্য মুফতির কাছে জানকে উনি বলেন সমস্যা হয় নি, পরেও প্রথম মুফতিও নিজের মত থেকে রজু করেন। এই ক্ষনিকের বিশ্বাস করলাম যে বিবাহ নষ্টের এর ফলে কি বিবাহ নষ্ট হবে?
৪. একদিন আমার বউ বললো সে বিবাহের ইজাব কবুলের সময় কাজির জবাবে বিসমিল্লাহ বলেছে।আমি বললাম নাহ আলহামদুলিল্লাহ বলেছো, তখন মনে পরছিলো আলহামদুলিল্লাহই বলেছে। তাও নিশ্চিত এর জন্য এক সাক্ষিকে জিগ্যেস করি সেও বলে নাহ, সে আলহামদুলিল্লাহ ই বলেছে।
বউ এর এমন সন্দেহের ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?
৫. এছাড়াও মাঝে মাঝে সন্দেহ হতো বিবাহ নষ্ট হলো কি না, বিচেদের ভয় হতো। মাঝে মাঝে সন্দেহ হতো। এসবের ফলে কি বিবাহ নষ্ট হতে পারে? না কি আমার বিবাহ ঠিক আছে আমার দুই বছরের বিবাহিত জীবনে সমস্যা হয় নি তো?
৬. বৈবাহিক সম্পর্কের কিছু ফতোয়া জেনেছিলাম আপনার থেকে, যেঝানে বিস্তারিত জেনে বলেছিলেন সংসারে সমস্যা হবে না। তাও মাঝে মাঝে এগুলো মনে হয় আর ফতোয়া গুলো খুজে আবার দেখি তারপর শান্তি লাগে, কিন্তু কিছু ফতোয়া হাইড করেছিলাম তো সেগুলো আর খুজে পাচ্ছি আপডেট থেকে সরে গেছে,অন্য নোটিফিকেশনের কারণে,এখন এগুলোর কথা মনে পরে, আর দেখতে মন চায়, কিন্তু তা তো পাওয়া যাচ্ছে না এখন, আমার মনে আছে আপনি বলেছিলেন সমস্যা হবে না এক্ষেত্রে কি করনীয়?
৭. একটি মেছে আমার এক হিন্দু বন্ধু খাবার খাচ্ছিলো আমি তার প্লেটের মাছ দেখে বললাম, তাইলে তো আমাদের হোস্টেলের খবার ভালো( হোস্টেলেট ললর হিন্দুদের ডায়নিং এর খাবারের মান উদ্দেশ্য) পরে ভাবলাম এরা তো বলি দিয়ে খায়, বাট এটা হারাম জানি আর এটা খাওয়া ভালো বলার প্রশ্নই আসে না, তা ও খাবারের মান(মাছের সাইজ, তরবরির মান) এসব বিবেচনায় আবার বলি, এই খানের খাবার থেকে হোস্টেল এর ডায়নিং এর খাবার ই ভালো। এতে কি আমার কুফর হবে?
৮. একটা গজলের গানের লাইনে কি বলে তা জানা ছিলো না, এটা না অস্পষ্ট শুনে এমন মনে হয়েছিলো লাইন টা " বহুদিন পরে পেয়ারা নবী আসলেন দুনিয়ায়" এই লাইন অনেক বার বলেছিলাম,কিন্তু একদিন মনে হলো যে এটা কি কথা, বহুত দিন পরে মানে তো আগে একবার এসেছেন পরে আবর আসলেন এমন বুঝায়। কিন্তু আগে এটা বলার সময় এই চিন্তা মাথায় ছিলো কিনা বলতে পারছি না পরিষ্কার করে, এর ফলে কি কুফর হবে?
৯. " মোয়াবিয়া (রা:) ইখতেলালাফ করেছেন যে এখন জিহাদ করা দরকার, আর আলী(রা:) ইখতেলাফ করেছেন যে মুয়াবিয়া (রা) কে থামানো দরকার, দুজনেই ইখতেলাফ করেন এখান থেকেই সিফ্ফিনের যু্দ্ধ" এখানে মোয়াবিয়া(রা:) এর ইখতেলাফকে জিহাদ বললে কি কুনো সমস্যা আছে? আমার ক্লিয়ার মনে হচ্ছে না হয়তো আমি এভাবে একবার বলেছিলাম, বা হয়তো আলী(রা:) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা দরকার এভাবে বলেছিলাম, এভাবে ফলে কি আমার কোনো ইমানে সমস্যা হবে?