আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
96 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
ভার্সিটিতে এগ্রিকালচার সাবজেক্ট এ বিভিন্ন সেমিস্টার এ এলবাম করতে হয়,,।

৪র্থ সেমিস্টারে এবার ইনসেক্ট যেমন: মাছি, মৌমাছি, প্রজাপতি, ঘাসফড়িং, মথ ইত্যাদি (যেগুলো ফসল বা গাছের ক্ষতি করে, বা না করে) এলবাম করতে হবে। ইনসেক্ট গুলোর দেহ ক্ষতিগ্রস্ত না করে পলিথিনে বা বক্সে রেখে মারতে হবে। যার ফলে অক্সিজেন এর অভাবে অনেক আস্তে আস্তে কষ্ট পেয়ে মারা যাবে। তারপর সেগুলোকে এলবামের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এই এলবাম না করলে সেই সাবজেক্ট এ ফেল করতে হবে। এগুলো সব শিক্ষার্থীকেই ইনডিভিজুয়ালি করতে হবে৷ প্রতি সেমিস্টারে ৩৫০/৪০০ স্টুডেন্ট এতগুলো পোকাকে কষ্ট দিয়ে মারতে হয়।
এভাবে শিক্ষার জন্য পোকামাকড় কষ্ট দিয়ে মারা কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (716,760 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
উসূলে ফেকাহবিদ গণ নিম্নোক্ত একটি মূলনীতি উল্লেখ করে তার আলোকে প্রয়োজনীয় অনেক নিষিদ্ধ বিধানকে সিদ্ধ করা প্রয়াস করে থাকেন।
তারা বলেনঃ
 
(১) ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।যেমনঃ-কোরআন থেকে.....সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯ থেকে এ মূলনীতি চয়ন করা হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে.......(তাফসীরে মা'রিফুল কুরআন-দ্রষ্টব্য)

সুতরাং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য চিকিৎসার সার্থে পরিক্ষা-নিরীক্ষামূলক প্রাণীকে কাটা-ছেড়ে করা জায়েয।তবে এক্ষেত্রে দু'টি জিনিষ লক্ষণীয়।

(১)কোনো প্রাণীকে যথাসম্ভব কষ্ট দিয়ে হত্যা করা যাবে না।নবীজী সাঃ বলেনঃ
ﺇﻥّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥَ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﺘَﻠْﺘُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴِﻨُﻮﺍ ﺍﻟﻘِﺘْﻠَﺔَ ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺫَﺑَﺤْﺘُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴِﻨُﻮﺍ ﺍﻟﺬّﺑْﺢَ ، ﻭَﻟْﻴُﺤِﺪَّ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺷَﻔْﺮَﺗَﻪ ، ﻓَﻠْﻴُﺮِﺡْ ﺫَﺑِﻴْﺤَﺘَﻪ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যক জিনিষের জন্য উত্তম আচরনের কথা লিখে দিয়েছেন।সুতরাং যখন তোমরা হত্যা করবে তখন তোমরা উত্তমভাবে হত্যা করো।আর যখন তোমরা জবেহ করবে তখন উত্তমভাবে যবেহ করো।তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যেন প্রথমে তার চুরিকে খোব দ্বার দেয়/তেজ করে তারপর সে উক্ত জন্তুর উপর চুরি প্রয়োগ করে জবেহ করার চেষ্টা করে।(সহীহ মুসলিম-১৯৫৫)
 
(২)উক্ত জিনিষ মৃত, সুতরাং তা নাপাকও।তাই পাক-পবিত্রতার দিকে নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/376


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (716,760 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...