আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।একটা মেয়ে আর একটা ছেলের যদি সম্পর্ক থাকে।সেই অবস্থায় ছেলের কোন রিলেটিভ এর সামনে ইজাব কবুল করে(এমন টা ঘটছে তা সিওর না কিন্তু অনেক ওয়াস ওয়াসা আসতেছে যে ঘটছেই নাকি))) কিন্তু মেয়ের কোন অভিভাবক যদি তা না জানে তাইলে কি সেই বিয়ে হবে।সে সময় মেয়ে মাঝহাব কি জানত না।শুধু সুন্নি আর রফাদানি বুজত।তাও তাদের মাসালা যে ভিন্ন হই তাও জানত না।ছেলে মেয়ে উভয় হানাফি মাঝহাব পরিবারের।মেয়ে কয়েক বছর যেসব আমল করছে তা পরে জানতে পারে এসব আহলে হাদিস অনুসারীদের।তখন সে জানতে পারে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল। তাই এসব চিন্তা  করে দেখে নাই।পরে সবার সম্মতিতে অন্য  জাইগায় বিয়ে করে।এখন তার ওয়াস ওয়াসা আসতেছে তার বরতমান বিয়ে কি বৈধ হইছে।আগের জনের কাছ থেকে তালাক নেওয়া হই নাই।কারন সহ বইলেন।

২।ইযাব কবুল করছিল কিনা তা মেয়ে আর ছেলের কার ও মনে নাই।মেয়ের শুধু সন্দেহ হচ্ছে।তারে তার হাসবেন্ড আগের অই ছেলের সাথে কথা বলতে নিশেধ করছে।তাই সে তার এক বান্দুবির মাধ্যমে তার কাছে জিজ্ঞেস  করতে বলছে এরকম কিছু হইছে কিনা।সেই ছেলে বলছে আমার কিছু মনে নাই।আমি সব ভুইলা গেসি।মেয়ের সন্দেহ দূর করার জন্য সে তার বান্দবিকে বলে সেই ছেলেকে বলতে যে অই মেয়েকে যেন তালাক দিয়া দেয়।কিন্তু সে ছেলে কিছুতেই রাজি হচ্ছে না তালাক বলতে।পরে মেয়ে এভাবে লেখে পাঠায় (((তুমি যেহেতু তালাক দিবা না তাইলে আমি নিজেই নিজেরে তালাক দিব যখন ইচ্ছা হবে।আমি ই ছাইড়া দিলাম) এইটা বান্দুবিরে লেইখা পাঠাইছে বান্ধুবি শেই মেসেজ ফরওয়ার্ড করে সেই ছেলেকে পাঠাইছে।কিন্তু অনুমতি দেওয়ার মত কিছু বলে নাই।

ক।উপরের বরননা অনুযায়ী এতে কি মেয়ের হাসবেন্ড এর দেওয়া শর্তভংগ হবে?যেহেতু কথা বলতে নিশেধ করেছিল।কিন্তু মেয়ে ত সরাসরি সেই ছেলের সাথে কথা বলে নাই।বান্ধুবি মেসেজ ফরওয়ার্ড করছে।আর ছেলে বান্দুবির সাথে এসএমএস করছে।সেই এসএমএস বান্ধুবি মেয়েকে screenshot দিয়া দিছে।

খ।ছেলের কাছ থেকে কি তালাক নিতেই হবে?ছেলে ত এখন এসব দিতে রাজি হচ্ছে না।অনেক খারাপ সে।আর ও মেয়ের দুরবলতা মনে করে।এখন তালাক নেওয়া জরুরি হইলেও কিভাবে নিবে বুজতে পারছে না।

গ।বান্ধুবি কে অইভাবে তালাকের মেসেজ লিখে ছেলেকে পাঠাইছে তালাকের অইসব কথা বলাই কি বরতমান সামি র কথা মনে হইলে কি তাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে।মেয়ে ত সেই ছেলের উদ্দেশ্য এসব বলছে।

ঘ।অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল। এই হাদিস হিসেবে যদি কেও আগের অভিভাবক ছাড়া বিয়ে কে বাতিল ধরে পুনরায় অন্য জন কে অভিভাবক নিয়ে বিয়ে করে তাইলে কি তার পরের বিয়ে সহিহ হবে।যদি আগের টার থেকে তালাক না নেয়।

৩।তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মেয়ে যদি তার হাসবেন্ড কে বলে তুমি কোন মেয়ের সাথে কথা বললে মানে নেগেটিভ কথা বা সম্পর্ক করলে আমি তুমার কাছে থাকব না।তখন যদি হাসবেন্ড অইসব করে তাইলে কি কোন  সমস্যা হবে।তখন বও যদি বলে আমি যাব গা থাকব না সংসার করব না।তখন হাসবেন্ড যদি তালাকের নিয়ত ছাড়া বলে জাও গা ।বউ যখন বলছে তুমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই তখন হাসবেন্ড কিছু বলে নাই।।যত টুকু মনে হই হাসবেন্ড কে ছাইড়া দিসি বা দিব বুজাইছি। তার সাথে সম্পর্ক নাই মানেই ত আমি তার থেকে আলাদা।কিন্তু আমি সিওর মেয়েদের যেভাবে  নিজের উপর নিতে হই সে ভাবে বা সে নিয়তে বলি নাই।তাইলে কি শর্ত ভংগের তালাক হবে।

৪।বউ যদি সাময়িক তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হই সেই মজলিস এ জদি শর্তযুক্ত তালাক দেয় তাইলে হাসবেন্ড কে কি সেই মজলিস এই শর্ত ভংগ করতে হবে নাকি মজলিসের বাইরেও শর্ত ভংগ করলে তালাক হবে।বউ জদি বাইরে দেওয়াও বুজাই।বউ কি মজলিসের বাইরে শর্তযুক্ত তালাক দিতে পারবে?

৫ ও ৬ নাম্বার মনে সন্দেহ থেকে জিগ্যেস করতেছি।এরকম কথা বলছে তা মনে আস্তেছে না।মানে সন্দেহ হচ্ছে।তা দূর করার জন্য বললাম।

৫।বউ যদি বলে অমুক কাজ করলে তুমার সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না।এটা দিয়ে সে হাসবেন্ড কে ভয় দেখানো যাতে সে অই কাজ না করে এমন টা বুজাই আর  অই কাজ করলে হাসবেন্ড এর কাছে থাকবে না। তারে ছাইড়া আইসা পরবে বা তাদের ছারাছারি হবে।কিন্তু মেয়েদের যে ভাবে মেয়েদের নিজের উপর নিতে হই সে ভাবে নিয়তে বলে নাই।মানে নিজের উপ্র পতিত করে নাই।তাইলে কি তালাক হবে।
৬।হাসবেন্ড যদি বলে উমুক কাজ করলে তুমার সাথে কোন সম্পর্ক থাকবে না। এর দারা যদি বউ তালাক হয়ে যাবে এই নিয়তে না বলে শুধু ভয় দেখানোর জন্য বলে তাইলে অই কাজ করলে কি তালাক হবে?।বাা যদি ভবিষ্যৎ নিয়ত বুজাই যেমন ছাইরা দিব তাহলে ত হবে না কারন ভবিষ্যত বাচক দারা তালাক হই না

৭।আপনাদের এভাবে সন্দেহ থেকে লেখে মাসালা জিজ্ঞেস করাই কি কোন সমস্যা হবে।লেখার কারনে কি শর্ত দেওয়া হবে।

৮।কোন বিষয় নিয়ে যদি নেগেটিভ পজিটিভ উভয় সন্দেহ হই। তাহলে কোনটা ধরে নিবে।এর ক্ষেত্রে শরঈয়াতের বিধান কি?হাসবেন্ড ও যদি সিওর দিয়া বলতে না পারে।একেক সময় একেক ভাবে বলে।তাহলে কি করনিয়।
৯।ওয়াস ওয়াসা অবস্থায় মাসালা নেওয়া ঠিক নয়।কিন্তু ওয়াস ওয়াসা কবে না কবে ভালহবে।ভাল হওয়ার পর যদি ভুলে জাই। ভুলে যাওয়া লোকের উপর শরীয়তের কি বিধান।আগে সমস্যা হয়ে থাকলেও ভুলে যাওয়ার কারনে বা সন্দেহ হওয়ার পর যদি কেও সংসার করে তাহলে কি সে জেনাকারি হবে।

১০।তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি হাসবেন্ড কে বলে তুমি ধরলে পাপ হবে আমি তুমার জন্য হারাম হয়ে গেছি।এটা দিয়া জদি সে বুজাই যে তার হাসবেন যে মেয়েদের সাথে কথা বলে এই জন্য সে হারাম হয়ে গেসে তার হাসবেন্ড কে সে ছাইড়া দিসে এইটা বুইঝা বলছে।তাইলে কি সমস্যা হবে যেহেতু নিজের উপর বলে নাই।

তুমি কার সাথে কথা বললে হারাম হয়ে যাব এর দারা জদি সে বুজাই অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে বউ হারাম হবে।সে ভাবছে বউ থাকা কালীন অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করলে তালাক হয়ে জাই।তাইলে কি কিছু হবে।

ক।।।।বউ  যদি বলে তুমিি অমুক কাজ করলে আমি অটোমেটিক... ছাড়া হয়ে যাব।সে যদি হাসবেন্ড এর দিক থেকে ছাড়া বুজাই..নিজের উপর পতিত করার নিয়তে না বলে কারন সে জাানেই না মেয়েদের এভাবে বলতে হয়।সাথে ভয় দেখানো উদ্দেশ্য ছিল। হাসবেন্ড যদি তা করে তাইলে কি তালাক হবে।

বউ কোন শর্ত এ বলসিল তা নিয়ে যদি সন্দেহ থাকে বা সে কি সাময়িক তালাকের অধিকার.. পাইছে সে মজলিস এ উক্ত  কথা বলসেে নাকি মজলিসের বাইরে বলছে তা সিওর না।মজলিসের বাইরে যেহেতু অধিকার থাকে না তাহলে ত উক্ত কথা বললে ত শর্ত দেওয়া হবে না।আসলে সব বিষয় এ সন্দেহ হওয়ার কারন হল হাসবেন্ড বউ কেও এসব মাসালাা জানত না।তাই সিওর মনে নাই।
খ।তালাক হইছে নাকি হই নাই।কইটা হইছে।এসব নিয়া  যদি সিওর না হতে পারে কোন মতে তাহলে কি করনিয়। এই অবস্থায় সংসার করবে নাকি ভেংগে দিবে।সংসার করলে কি গুনাহ হবে।

১ ১ । মেয়েরা জত জাই বুলুক নিজের উপর পতিত না করলে ত কিছু হবে না হুজুর। আর সন্দেহ থেকে কেও মাসালা নিলে সেই অনুযায়ী যদি তালাকের মাসালা আসে কিন্তু সত্যি সেটা ঘটে নাই।শুধু মনের সন্দেহ দূর করার জন্য জিজ্ঞেস করলে কি তালাক হবে

১২।কোন মেয়ে যদি হানাফি পরিবারের থাকে কিন্তু সে মাঝহাব সম্পর্কে না জানে। এবং অনেক আমল আহলে হাদিস অনুসারে করে।তার যদি আহলে হাদিসের প্রতি জুক থাকে সে যদি আহলে হাদিস হয়ে যাই তাহলে কি সে গুনাহগার হবে? অই মেয়ের যদি কোনো হানাফি ছেলের সাথে বিয়ে হই তাহলে মেয়ে ত আহলে হাদিস অনুসারে জানে যে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল।তাহলে কি হানাফি ছেলের সাথে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করলে পরে তার থেকে তালাক না নিয়ে আরেক হানাফি ছেলেকে বিয়ে করলে কি তা বৈধ হবে।মেয়ের পরিবার হানাফি কিন্তু মেয়ে যে হাদিস সঠিক মনে হই তাই মানে

1 Answer

0 votes
by (595,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছেলের কোন রিলেটিভ এর সামনে ইজাব কবুল বলার সন্দেহ দ্বারা বিবাহ হইবে না।যদি বাস্তবেই দুইজন পুরুষ সাক্ষী বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়, তাহলে সেই বিবাহ হয়ে যাবে।

প্রশ্নে যেহেতু বিয়ের সন্দেহ,তাই এ সন্দেহের কারণে বিয়ে হবে না।  আপনার ১২ টি প্রশ্নই ওয়াসওয়াসা নিয়ে।ওয়াসওয়াসার বিধান হল, সেটা ওয়াসওয়াসা রোগীর বেলায় কার্যকর হবে না। অর্থাৎ ওয়াসওয়াসা রোগীর ঈমানেও কোনো সমস্যা হবে না এবং তালাকেও কোনো সমস্যা হবে না।বিয়ে নিয়ে ওয়াসওয়াসা হলে সেই বিয়ে কার্যকর হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (595,290 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...