আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

আই ফতোয়া থেকে জানতে পারলাম, মানুষের ঋণ দুই ধরনের হয় প্রয়োজনীয় ঋন দ্বিতীয় হচ্ছে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ঋণ।আমার ভাইয়ের দ্বিতীয় প্রকার ঋণ আছে। আমি যতটুকু জানি আমার ভাইয়ের  যাকাত ফরজ নয়।এই ঋণ শোধের জন্য আমি কি যাকাতের টাকা না জানিয়ে দিতে পারব?
আমি আগে জানতাম শুধুমাত্র সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ হলেই যাকাত ফরজ হয়। এইবার জানতে পারলাম যে রুপা সোনা মিলিয়ে রুপার নেসাব হলেই যাকাত দিতে হয়। আমার কাছে আট বছর ধরে সোনা রুপা আছে। আমি ৮ বছরের যাকাত কিভাবে হিসাব করবো? এই যাকাত কি আস্তে আস্তে দিতে পারব?
গরিব আত্মীয়-স্বজন, সোনার কানের দুল চায়।যাকাতের টাকা দিয়ে এটা বানিয়ে দিলে, যাকাত আদায় হবে?
(আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক )

1 Answer

0 votes
by (575,070 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারর ভাইয়ের কাছে যদি এই মুহুর্তে নেসাব পরিমান সম্পদ না থাকে,সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 

আপনি বিগত আট বছরের প্রত্যেক বছরের হিসাব করে যাকাত দিবেন। প্রথম বছরের শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দেয়ার পর পরের বছরের হিসাবের ক্ষেত্রে অবশিষ্ট সম্পদের শতকরা আড়াই পার্সেন্ট যাকাত দিবেন।
এভাবে প্রত্যেক বছরে অবশিষ্ট সম্পদ হতে যাকাত দিবেন।

গরিব আত্মীয়-স্বজন,যারা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন, তারা সোনার কানের দুল চাইলে যাকাতের টাকা দিয়ে এটা বানিয়ে দিলে, যাকাত আদায় হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...