ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(ক)
ইতিকাফ স্থলকে পরিত্যাগ করে অন্য জায়গায় বিনারতে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যায়। চায় এই অবস্থানটা এক মূহুর্তের জন্যই হোক না কেন। সুতরাং
ইতেকাফরত অবস্থায় কেউ যদি কটাক্ষ করে কথা বলে, অথবা পাশের রুমের কাউকে জোরে ডাকে, তাহলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না,যদি এগুলো রোযাবস্থায় করা মাকরুহ।
(খ)
ইতেকাফে বসা অবস্থায় রুকইয়াহ এর পানি পড়ে দেয়া যাবে। এবং কাউকে রুকইয়াহ এর পানি ব্যবহারের নিয়ম বুঝিয়ে বলা যাবে। তবে বিশেষ জরুরত না হলে এগুলো না করাই উত্তম।
(গ)
অজুর প্রয়োজনিয়তা না হলে, তথা সামনে ফরয কোনো ইবাদত না হলে বাহিরের বাথরুমে অজু করা যাবে না।
(ঘ)
সাহরীর সময় সবাই উঠার আগে অন্যঘর থেকে খাবার নিয়ে ইতেকাফের ঘরে বসে খাওয়ানো যাবে।তবে খাবার নিয়ে এসে দেয়ার থাকলে তখন ইতিকাফ স্থলের বাহিরে যাওয়া জায়েয হবে না।
(ঙ)
বাথরুম বাহিরে হওয়ায় ওজু করার সময় বের হলে, কেউ যদি কিছু জিজ্ঞেস করে, তাহলে দাড়িয়ে জবাব দেওয়া যাবে না। দাড়িয়ে কথাবার্তা শুরু করে দিলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। ওজু করে আসার সময় ফ্রিজ থেকে কিছু নিয়ে আসা যাবে।(ফ্রিজ বাথরুমের কাছাকাছি)