ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমার হাসবেন্ড আমাকে পানি ছাড়তে বলে। তারপর নিম্নোক্ত কথোপকথন হয়ঃ
আমিঃ আপনি তখন আমাকে পানি ছাড়তে বললেন। আমি কি উত্তর দিছি শুনছেন?
স্বামীঃ না, কি বলছো?
আমিঃ যেটা বলছি ঐটা নিয়ে আবার টেনশন হচ্ছে।
স্বামীঃ ছাড়ছি। এটা বলছো?
আমিঃ হ্যা
আরেকদিন তাকে বলি,
আমিঃ শুনেন আল্লাহ না করুক যদি ভবিষ্যতে কখনো এমন কোন ঘটনা ঘটে,(তালাক ইংগিত করছি) আপনি আমার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করবেন। আমি একদিন আপনার কাছেই ফিরে আসবো। আমাকে প্রমিস করেন। আমার জন্য ওয়েট করবেন।
স্বামীঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আরেকটা কথোপকথনঃ
আমিঃ জানেন কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে বলে তুমি অমুক কাজ করলে তোমাকে তালাক দিবো। তাহলে অমুক কাজ করলেও তালাক হবে না। কিন্তু যদি বলে অমুক কাজ করলে তালাক হয়ে যাবে। তাহলে ঐ কাজ করলে তালাক পতিত হবে।
আমি এই জিনিসটা বুঝি না।
স্বামীঃ হ্যা। না বুঝার কি আছে। এটা তো এক কথায় শেষ।
আমিঃ দিবো আর যাবে দুইটাই তো ভবিষ্যৎ বাচক শব্দ। তারপরও দুইটার হুকুম আলাদা কেনো।
স্বামীঃ আমি তোমাকে বললাম, তুমি যদি আই ফতোয়াতে ঢুকো মোবাইল নষ্ট হয়ে যাবে। আবার বললাম যদি ঢুকো তোমার মোবাইল আমি নষ্ট করবো। এটা আমি আমার মুখ থেকে ছাইড়া দিছি৷
(১) উপরোক্ত কথোপকথনের দ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।
নিচের লিংকের প্রশ্নটির প্রথম ও শেষের সবুজ কালার করা অংশটুকু দেখুন --
এখানের উপরের ঘটনার ব্যাপরটি নিয়ে আমি তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনি দিবো পর্যন্ত বলছিলেন তো? আবার অর্ধেক বলে থেমে জান নাই তো? কিন্তু আমি তাকে প্রশ্নটা ঠিকমত বুঝাতে পারছিলাম না।
স্বামীঃ কি বলতাছো। বুঝিনাই।
আমিঃ আবরার বলার ট্রাই করি। পরে বলি আমি বুঝাইতে পারতেছি না।
স্বামীঃ এটা বলছি আর কিছু বলি নাই। এটাইতো?।( এটা বলতে, তালাক বলছি আর কিছু বলি নাই। এটাইতো?)
আমি ঃ হ্যা
আর শেষের অংশের ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনি তো ঐটা আগের ঘটনা বুঝানোর জন্য বলছিলেন তাই না?
স্বামীঃ ত এর বিষয়টি পুরাটা বলছি?
আমি ঃ হ্যা
স্বামীঃ ঐটা তো তোমাকে বুঝানোর জন্য বলছি।
(২) আমার স্বামীর উপরোক্তভাবে প্রশ্ন করার কারণে কোনো সমস্যা হবে না।