আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
ইত্তেকাফ কি টানা ১০ দিন নিতে হবে নাকি ১-৩-৫-৭ এমন সংখ্যাও নেয়া যাবে?
মহিলারা ইত্তেকাফে বসলে রান্না করতে পারবেনা কিন্তু ঘরে ক্যাবল আমি আর আমার জাওজ থাকি রান্না আমাকেই করতে হবে রান্না ঘরে গিয়ে সেই ক্ষেত্রে কি করতে পারি তাহলে কি ইত্তেকাফ হবেনা?
স্বামি প্রথমে ইত্তেকাফের অনুমতি দেয় এরপর যদি রাগের মাথায় মানা করে দেয় আমি কি ইত্তেকাফ নিতে পারবোনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
«وَيَنْقَسِمُ إلَى وَاجِبٍ، وَهُوَ الْمَنْذُورُ تَنْجِيزًا أَوْ تَعْلِيقًا، وَإِلَى سُنَّةٍ مُؤَكَّدَةٍ، وَهُوَ فِي الْعَشْرِ الْأَخِيرِ مِنْ رَمَضَانَ، وَإِلَى مُسْتَحَبٍّ، وَهُوَ مَا سِوَاهُمَا هَكَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.»
- «الفتاوى الهندية» (1/ 211)
ইতিকাফ তিন প্রকার যথা- (১) ওয়াজিব ইতিকাফ, যা নযর বা মান্নতের জন্য কারো উপর ওয়াজিব হয়েছে। (২) সুন্নতে মুআক্কাদা ইতিকাফ, তা হল রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ।(৯) মুস্তাহব ইতিকাফ, এছাড়া সকল ইতিকাফকে মুস্তাহব ইতিকাফ বলা হয়।

ইতিকাফ হলো দুনিয়াবি সকল প্রকার বাজে চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে মসজিদে অবস্থান করা।
ইতিকাফ তিন প্রকার।যথা :
১. ওয়াজিব,
২. সুন্নাত,
৩. মুস্তাহাব।

ইতিকাফের হুকুম সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং তাঁর উদ্দেশ্য হলো দুনিয়াবি সকল প্রকার ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল হওয়া এবং লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করা।

ইতিকাফের শর্ত ২ টি। যথা
ক. নিয়ত করা।
খ. মসজিদে অবস্থান করা।

ইতিকাফের শর্ত পূরণের জন্য আবশ্যকীয় হলো,
ক. মুসলমান হওয়া
খ. জ্ঞান থাকা
গ. বড় নাপাকী থেকে পবিত্র থাকা, গোসল ফরয হলে গোসল করে নেয়া।
ঘ. মসজিদে ই‘তিকাফ করা।

ইতিকাফ যে সকল কারণে ভঙ্গ হয়ে যায় তা হলো :
১. স্বেচ্ছায় বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হলে।
২. কোন শিরক বা কুফরী কাজ করলে।
৩. পাগল বা বেঁহুশ হয়ে গেলে।
৪. নারীদের হায়েয-নিফাস শুরু হয়ে গেলে।
৫. স্ত্রীসহবাস বা যে কোন প্রকার যৌনসম্ভোগ করলে।

ইতিকাফ শুরু করতে হবে রমজানের শেষ দশকে। কারন নবী কারীম (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (বুখারী ২০২০, মুসলিম ২৬৭০)
নবী কারীম (সাঃ) প্রতি রমজানেই দশদিন ইতিকাফ করেছেন কিন্তু জীবনের শেষ রমজানে তিনি ই‘তিকাফ করেছিলেন ২০ দিন। (বুখারী ২০৪৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/17520

ইতিকাফ স্থলে খাবার বানাতে পারবেন।তবে ইতিকাফ স্থল থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন না।ইতিকাফ স্থল থেকে বের হলেই ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1322

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি নফল ইতিকাফ করতে পারবেন। নফল ইতিকাফের নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। বরং ১ মুহূর্তের জন্যও করা যায়।তবে সুন্নত ইতিকাফ ১০ দিনের কম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 618 views
...