জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার পর মনের সংশয় দূর হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা করবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، أَخْبَرَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي سَالِمٌ أَبُو النَّضْرِ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ عَنِ اللُّقَطَةِ فَقَالَ " عَرِّفْهَا سَنَةً فَإِنِ اعْتُرِفَتْ فَأَدِّهَا وَإِلاَّ فَاعْرِفْ وِعَاءَهَا وَعِفَاصَهَا وَوِكَاءَهَا وَعَدَدَهَا ثُمَّ كُلْهَا فَإِذَا جَاءَ صَاحِبُهَا فَأَدِّهَا "
যাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, কোন হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি সনাক্তকারী কোন লোক পাওয়া যায় তাহলে তাকে তা ফিরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখ এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার কর। তারপর মালিক এসে গেলে এটা তাকে ফিরিয়ে দিও।
(ইবনে মা-জাহ (২৫০৭),তিরমিজি ১৩৭৩.)
ঘোষণা দেয়া উত্তম। কারণ সাধারণত সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়। তারপর মানুষের সম্মিলনস্থলে যেমন- বাজার, মসজিদের দরজা; যখন মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হন, তবে মসজিদের ভেতরে ঘোষণা করা বৈধ নয়। কেননা মসজিদ ইবাদতের জন্য তৈরি হয়েছে; কুড়ানো বিষয়ের ঘোষণার জন্য নয়।
এরপর যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় মালিক তা আর খুঁজতে আসবে না, তাহলে তা গরিবদের মাঝে সদকা করে দিবে। নিজে গরিব হলে প্রয়োজনে নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে যদি কোন সময় মালিক এসে খুঁজে তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৬/৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৯/১৯৩ )
উল্লেখ্য, কুড়িয়ে পাওয়া টাকা কোন মসজিদে দান করা যাবে না। তবে মাদ্রাসার গোরাবা ফান্ডে জমা করে দেয়া যাবে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত টাকা তুলে না নিয়ে আসাই উচিত ছিলো।
যেখানের জিনিস,সেখানেই থাকতো।
,
এখন যেহেতু তুলে নিয়ে এসেছে,তাই মালিককে যথাসম্ভব খুজতে হবে।
যদি মালিককে না পাওয়া যায়,তাহলে গরিবকে দান করে দিবে।
মসজিদে দেওয়া যাবেনা।