ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ »
রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)
যাকাত যারা খেতে পারবে ফিতরা ও তারা খেতে পারবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৯/৬১৯)
ঈদের নামাযে যাওয়ার পূর্বে সদকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব।ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতে দুই বৎসর পূর্বেও ফিতরাকে আদায় করা যায়।ঈদের নামাযের পূর্বে কেউ আদায় করতে না পারলে ঈদের নামাযের পরে অবশ্যই আদায় করে নেবেন।পরে কতদিন পর্যন্ত? মূত্যুর পূর্বে যেকোনো সময় আদায় করতে পারবেন।তবে তারাতারি আদায় করাই মুস্তাহাব।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৩৫৩)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1511
ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?
وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.
ভাবার্থ- নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)
★নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
এখানে বছর পূর্ণ হওয়া আবশ্যক নয়।
ঈদের দিন এই পরিমান সম্পদের মালিক হলেই সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রোযা রাখা আর সদকাতুল ফিতর আদায় করা উভয়টিই আলাদা স্বতন্ত্র ইবাদত।
সুতরাং যে রোযা রাখেনা,সেও যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,সেক্ষেত্রে তার উপরেও সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।
(০২)
বাবা যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়,সেক্ষেত্রে সেই তার নাবালেগ শিশুরো ফিতরাহ আদায় করবে।
ফিতরাহ আদায় না করলে গুনাহ হবে।
এটি গরিবের হক।
,
এমনকি ঈদের দিন সকালেও যদি সন্তান জন্মগ্রহণ জরে,সেক্ষেত্রে তারও ফিতরাহ তার বাবার ( যে বাবা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক) আদায় করতে হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, সেটা রোজা হিসেবে গন্য হবে।
এক্ষেত্রে অর্ধ দিনের পূর্বেই রোযা রাখার নিয়ত করতে হবে।
(০৪)
আপনি এটির মালিক হবেননা।
আপনি পাখিটিকে উড়ে দিবেন।
আর পশুর ক্ষেত্রে আপনি যথাসাধ্য তার মালিক খোজ করবেন,অনেক দিন খোজাখুজির পরেও মালিক পাওয়া না গেলে অথবা মালিক পাওয়া একেবারেই অসম্ভব হলে সেক্ষেত্রে কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিবেন। অথবা সেটি নিজের কাছে রেখে তার সমপরিমাণ টাকা গরিব মিসকিনকে দিবেন।
উল্লেখ্য যে পাখিটির অবস্থা দেখে যদি আপনার প্রবল ধারনা হয় এবং লোকেরাও এটিই বলে যে এগুলো জঙ্গল থেকে আসা পাখি,অথবা মালিকানাহীন পাখি,সাধারণত এসব পাখি মানুষ লালন পালন করেনা,সেক্ষেত্রে আপনি এটি নিজের কাছে রেখে দিতে পারবেন। সমস্যা নেই।
(০৫)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-