শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তারাবিহ নামাজ বিশ রাকাত পড়া সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
কেহ যদি বিনা ওযরে বিশ রাকাত না পড়ে,বা ওযর বশত বিশ রাকাত না পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
,
এবং শেষে তিন রাকাত বিতর পড়া ওয়াজিব।
,
ইমাম বুখারীসহ সিহাহ সিত্তার সকল গ্রন্থকারের উস্তাদের ২৬ খন্ডে রচিত কিতাব ‘মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ’( ২/১৬৪)-তে সহিহ সনদে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﷺ ﻛَﺎﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮَ
রাসূল ﷺ রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবী ও বিতির আদায় করতেন।
হাদিসটি এই হাদিসগ্রন্থগুলোতেও বর্ণিত হয়েছে– সুনানুল কোবরা লিল-বায়হাকী: ২/৬৯৮, আল-মুনতাখিব: ৬৫৩, আল-মু’জামুল কাবীর: ১১/৩৯৩, আল-মু’জামুল আওসাত: ১/২৪৩।
ইয়াজিদ বিন রূমান বলেন,
كان الناس يقومون في زمان عمر بن الخطاب في رمضان بثلاث وعشرين ركعة
লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) ওমর রাযি. এর শাসনামলে বিশ রাকাত তারাবী এবং তিন রাকাত বিতির রমযান মাসে আদায় করতো। (মারিফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-১৪৪৩, মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৩৮০, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪৩৯৪)
সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন,
كـانوا يقـومـون عهد عمر بن الخطاب رضى الله عنه فى شهر رمضان بعشرين ركعة وكانوا يقومون بالمأتين وكانو يتوكؤن على عصيتهم فى عهد عثمان من شدة القيام
ওমর রাযি. এর শাসনামলে লোকেরা (সাহাবী ও তাবেয়িগণ) বিশ রাকাত তারাবী পড়তেন। আর উসমান রাযি. এর শাসনামলে লম্বা কেরাতের কারণে লাঠির উপর ভর দিতেন। (বায়হাকী-৪/২৯৬)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এক্ষেত্রে অন্যান্য নফল সুন্নাত নামাজের মতোই এ নামাজ আদায় করতে হবে।
এর জন্য আলাদা কোনো নিয়ম বা দোয়া নেই।
মনে মনে এভাবে নিয়ত করবেন যে "আমি দুই রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করছি"
আর জামায়াতে কাহারো ইক্তেদা করে নামাজ পড়লে এভাবে নিয়ত করবেন "আমি এই ইমামের পিছনে দুই রাকাত তারাবিহ নামাজ আদায় করছি"
(০২)
এক্ষেত্রে রোযা হবে।
তবে বিনা ওযরে এমন কিছু জিহবায় নেয়া মাকরুহ।
(০৩)
২ রাকাত করে তারাবীহ নামাজ পড়া ও ৪রাকাত করে নামাজ আদায়কারীর সওয়াব সমান নয়।
২ রাকাত করে তারাবীহ নামাজ পড়ার ছওয়াব একটু বেশি।
(০৪)
এসব সন্দেহের ক্ষেত্রে প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।
সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু দিতে হবেনা।
আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে যেই রুকন নিয়ে সন্দেহ হয়েছে,সেই রুকন পুনরায় আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন।
নামাজে পূর্ণ মনোযোগ না থাকার কারনেই এমনটি হচ্ছে।
তাই নামাজে মনোযোগী হতে হবে।
নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ-
(০৫)
সব সময় স্রাব বের না হলে আপনি মা'যুর নন,সেক্ষেত্রে নামাজের মধ্যে বা অযুর পর সাদা স্রাব বের হলে আপনার ঐ নামাজ হবেনা।
বের হওয়া বুঝতে পারলে নামাজ চালিয়ে যাওয়া যাবেনা।
সাথে সাথেই পবিত্র হওয়ার জন্য নামাজ ছেড়ে দিতে হবে, নতুবা গুনাহ হবে।
হ্যাঁ যদি নামাজের মধ্যে বিষয়টি বুঝা না যায়,সেক্ষেত্রে নামাজ চালিয়ে গেলে গুনাহ হবেনা।
এক্ষেত্রে আপনি প্রতি নামাজের পরেই চেক করবেন।
সাদা স্রাব পাওয়া গেলে পবিত্র হয়ে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করবেন।
(০৬)
দেরীতে পড়ার কারনে সওয়াব থেকে মাহরুম হচ্ছেননা।
(০৭)
ওযর বশত ও নিয়মিত না হওয়ায় গুনাহ হবেনা।