আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া
 বারকাতুহ।
মার্চ মাসে আমার মাসিক শেষ হওয়ার পর থেকে আমি এক সমস্যায় পড়েছি।আমি যখন থেকে জানতে
 পারলাম যে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্নদোষের কথা মনে থাকুক কিংবা না থাকুক কাপড়ে যদি বীর্য দেখা যায় (যেটা মেয়েদের ক্ষেত্রে হলুদ রঙ এর এবং গন্ধযুক্ত)
এরকম হলে গোসল ফরজ।এটা জানার পর থেকে
 আমি ঘুমাতে পারিনা।কারণ আমার স্রাব ই হলুদ হয়ে গেছে।আমি জেগে থাকলেও হলুদ গন্ধযুক্ত স্রাব যায়।ঘুম থেকে উঠে দেখলেও হলুদ গন্ধযুক্ত স্রাব যায়।
এটার জন্য ঘুমাতে পারিনা এই ভয়ে যে যদি ঘুমাই আর ফজরের ওয়াক্তে উঠি আর হলুদ দেখি যা বীর্য ধরা হয় তাহলে ফরজ গোসল করতে হবে।
আমি এই কয়দিন আগে ডাক্তার দেখিয়েছি,ডাক্তার
 বলেছেন যদি গন্ধযুক্ত হয় এবং চুলকায় তাহলে সেটা
 ইনফেকশন।কিন্তু আমার চুলকায় না।উনি বলেছেন,নারীদের ক্ষেত্রে এরকম হলুদ স্রাব হয়।ওষুধ দিছেন খাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ। যখন বলছি হলুদ স্রাবে গন্ধ
  তখন বললেন গন্ধ হওয়া ভালো নয়।গন্ধ না হওয়ার
 জন্য কি একটা ওষুধ দিছেন যেটা পেশাবের রাস্তা দিয়ে দিতে হবে। এভাবে ওষুধ কি পেশাবের রাস্তা দিয়ে দিলে গুনাহ হবে? সম্ভবত ফাইভের মতো কিছু দিয়ে দিতে হয়।
এখন আমার হায়েজ চলতেছে। আমার স্রাব যদি হলুদ ই হয় আমি কীভাবে বুঝবো আমার মাসিক শেষ হয়েছে কি না?সাদার জন্য কি ১০ দিন অপেক্ষা করবো?আমার যদি ১০ দিন শেষ হবার পরও হলুদ স্রাব হয় তাহলে কি করবো?
আগের বার ও অনেক দ্বিধায় ছিলাম।প্লিজ বলেন এটা।
আর আমি যদি ঘুম থেকে উঠে হলুদ গন্ধযুক্ত স্রাব দেখি আমার কি প্রতিবারই ফরজ গোসল করতে হবে?আমার সন্দেহের সমস্যা ও আছে তাই আমার এই ভয় হয় যে
 অন্য সময় সাদা ও একটু দেখা যায় তাইলে ঘুম থেকে উঠার টা বীর্য হতে পারে কিন্তু হলুদ স্রাব টা সচরাচর ই দেখি এখন।কি করবো আমি?
আমার সাদাস্রাব ও লাগতো কিন্তু এই কয়দিন টিস্যু দিয়ে দেখতাম যখন তখন হলুদ দেখতাম।
হলুদ গন্ধযুক্ত স্রাব বীর্য হলে আমাকে তো এভাবে ঘুম থেকে উঠে ফরজ গোসল করতে হবে।  প্রতিদিন এভাবে করবো?

স্রাব টিসুতে হলুদ ই লাগে স্পষ্ট।
  হায়েজের আগে হলুদ স্রাব হলে কি হায়েজ?
হায়েজের আগে থেকে মানে লাল রক্ত দেখার আগে থেকে আমার তো হলুদ স্রাব হচ্ছে অনেক দিন যাবত। কিন্তু যেদিন লাল রঙ এর রক্ত বের হইছে এদিন থেকেই আমি হায়েজ ধরে নিছি।তার আগে হলুদ স্রাবের সময় আমি নামাজ রোজা করেছি।
আমার হায়েজের তারিখ ছিলো ৮ তারিখ কিন্তু এই মাসে ৫ তারিখ সন্ধ্যার দিকে লাল দেখেছি আর এদিন থেকেই হায়েজ ধরেছি।
হলুদ দেখলেও কি হায়েজ শুরু হয়ে যায়?অনেক চিন্তায় আছি।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পূর্বের মাসে যতদিন হায়েয হতো,ততদিনকে হায়েয গণ্য করবেন। যদি পূর্বের মাসের হায়েযের দিনতারিখ স্বরণ না থাকে, তাহলে ১০ দিন হায়েয গণনা করে, অবশিষ্ট দিনগুলোকে ইস্তেহাযা গণনা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...