ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নফল নামাযের সেজদা বা অন্যান্য তাসবীহাতের রুকুনে কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত দু'আ অথবা তার সমার্থক আরবী দু'আ করা যাবে। আখেরাতের জন্য দু'আ করতে হবে। যেমনঃ-হে আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও। দুনিয়াবি দু'আ করা যাবেনা।যেমনঃ- হে আল্লাহ আমাকে এক লক্ষ টাকা দাও।অর্থ্যাৎ নফল নামাযে অতিরিক্ত দু'আ পড়া যাবে এতে কোনো সমস্যা নাই।এবং তা সুন্নাতে মুআক্কাদার খেলাফ হবে না।তবে ফরয নামাযে অতিরিক্ত দু'আ না পড়াই উত্তম।বরং এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দু'আ -ই পড়া সুন্নাতে মুআক্কাদা। যদিও অন্যান্য/অতিরিক্ত দু'আ সুন্নাত,তবে সুন্নাতে যায়েদা,সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।অর্থ্যাৎ সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত কিন্তু সুন্নাতে মুআক্কাদা নয়।
যেহেতু ফরয নামায জামাতে পড়াটাই আসল এবং ওয়াজিব।তাই এক্ষেত্রে যদি নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত অন্যান্য দু'আ সমূহ পড়া হয়,তাহলে নামায বেশ দীর্ঘ হয়ে যাবে,এজন্য দু'আ না পড়াই উত্তম। তবে নফল নামাযি ব্যক্তি (জামাত ব্যতীত) বা মুনফারিদ (একলা নামাযি)এর জন্য নির্দিষ্ট তাসবীহাত ব্যতীত কোরআন-হাদীসে বর্ণিত পরকালীন দু'আ করতে পারবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/185
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)নফল নামাজে(৫ ওয়াক্তের সুন্নত,তাহিয়্যাতুল মাসজিদ,সলাতুল হাজত,তারবীহ,তাহাজ্জুদ) সিজদায় বাংলায় মনে মনে দু'আ করার রুখসত রয়েছে। সিজদায় তাসবীহ পাঠ করা অবস্থায় মনে মনে দু'আর করার রুখসত থাকবে। তবে ফরয নামাযে দু'আ করা যাবে না।
(২)এ সকল নফল নামাজে বাংলায় শব্দ করে দু'আ করার রুখসত থাকলেও দু'আ না করাই উত্তম।
(৩) নফল নামাজে রুকুতে দু'আ করার রুখসত রয়েছে।
(৪)ফরজ নামাজের সিজদায় আরবিতে দু'আ করা যাবে। (কুরআন হাদিসে বর্নিত দু'আ ছাড়া এমনি দুনিয়াবি দু'আ আরবিতে করা যাবে না)
(৫)জাযাকাল্লাহু খইরন এর বিপরীতে পুরুষদেরকে জাযাকাল্লাহ বা বারাকাল্লাহ এবং মহিলাদেরকে জাযাকিল্লাহ বা বারাকিল্লাহ কিংবা বহুবচন শব্দ ব্যবহার করে জাযাকুমুল্লাহ কিংবা বারাকুমুল্লাহ বলা যাবে।
(৬)
রমজানে বিতর জামা'আতে পড়ে আবার বাসায় তাহাজ্জুদের পর বিতির দ্বিতীয়বার পড়ার প্রয়োজনিয়তা নাই।
(৭)একই নামাজে একাধিক নিয়ত করা যাবে না।
(৮)কোনো নফল নামাজে(তাহাজ্জুদ/হাজত/নফল) হাত তুলে দু'আ স্বশব্দে দু'আ করার সুযোগ নাই।
(৯)কোনো নন-মাহরাম (আপাত দৃষ্টিতে যথেষ্ট তাকওয়াবান এবং দ্বীনদার) কে পারিবারিকভাবে বিয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহর কাছে চাওয়া যাবে। এবং বিয়ের পর যেন পরষ্পর পরষ্পরের নিকট এবং পরষ্পর পরষ্পরের পরিবারের নিকট যেন উভয়কে চক্ষুশীতলকারী বানিয়ে দেয়, এমন দু'আও করা যাবে।
(১০)কোনো নন মাহরামের (পরিচিত) দুনিয়াবি কল্যানের জন্য দু'আ করা যাবে। এবং আখিরাতের কল্যানের জন্য দু'আ করা যাবে।