জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন-তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর(রা.) তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন-
يجوز أن يكتب للمصاب وغيره من المرضى شيئا من كتاب الله وذكره بالمداد المباح ويغسل ويسقى كما نص على ذلك أحمد وغيره
বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ লোকদের জন্য কারি দ্বারা আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর জিকর লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করা জায়েয।
তারপর এ আলোচনার শেষদিকে তিনি তাবিজাত বৈধ হওয়ার পক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)এর একটি আছার পেশ করেন। ইবনে আব্বাস (রা.) কাগজের টুকরায় তাবিজ লিখে দিতেন,তা সন্তানসম্ভবা নারীদের বাহুতে বেঁধে দেয়া হত। (ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-১৯/৬৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যপদি আয়াতে শিফা কম্পিউটারে লিখে সেটা কাগজে প্রিন্ট করে সেই কাগজ পানিতে ধুয়ে সেই পানি পান করেন, তাহলেও কাজ হবে,ইনশাআল্লাহ।
তবে এক্ষেত্রে আকীদা বিশুদ্ধ রাখবেন,সেই পানিকেই মুয়াসসার বিয যাত মনে করা যাবেনা।
সুস্থতা প্রদানের মালিক একমাত্র আল্লাহকেই মনে করতে হবে।