আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম।
আমি অনলাইনে একটা প্লাটফর্ম থেকে কুরআন শিখেছি। দুই পারার মত। কিন্ত আমার ওস্তাদ বলেছিলেন আমি যা শিখেছি উনাকে যেন ২ পারা পড়ে শুনাই। নাহলে উনি কেয়ামতের দিন শুনবে। এটা নাকি উনার দাবি। এখন আমি দেড় পারার মত পড়ে উনাকে শুনিয়েছিলাম। এর পরে আর শুনাতে পারি নি। একটু বাকি ছিল। উনি আমাকে পড়িয়েছে আর আমি উনাকে দেড় পারার মত শুনিয়ে উনার হক আদায় করেছি।  এখন আমার ওস্তাদ এটা কি আমার পড়তেই হবে এই জন্য এমনি হাসির ছলে বলেছিলেন কি না আমি জানি না। যদি হাসির ছলে না বলে থাকে তাহলে আমাকে কি এই "দাবি বা হক"  হাশরে আমার বহন করতে হবে? যদি বহন করতে হয় এখানে তো আমি আমার ওস্তাদের কোনো ক্ষতি করিনি। তাহলে কেন বহন করতে হবে?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কুরআন শিক্ষা করা ফরায।
কুরআন শিক্ষা করার পর ভুলে যাওয়া মু'মিনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে।কেননা কুরআন শিক্ষার পর কুরআনকে না ভূলতে হাদীসে বলা হচ্ছে- 
عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «تَعَاهَدُوا الْقُرْآنَ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهْوَ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنَ الْإِبِلِ فِي عُقُلِهَا» " مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ.
আবূ মূসা আল আশ্‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সবসময় কুরআনের প্রতি লক্ষ্য রাখবে। যাঁর হাতে আমার জীবন নিহিত, তাঁর শপথ, নিশ্চয় কুরআন সিনা হতে এত তাড়াতাড়ি বের হয়ে যায় যে, উটও তত তাড়াতাড়ি নিজের রশি ছিঁড়ে বের হয়ে যেতে পারে না। (বুখারী, মুসলিম)(মিরকাত-২১৮৭)

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «بِئْسَ مَا لِأَحَدِهِمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ نُسِّيَ، وَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَشَدُّ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنَ النَّعَمِ» ". مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ، وَزَادَ مُسْلِمٌ: بِعُقُلِهَا.
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির জন্য এ কথা বলা খুবই খারাপ যে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি। বরং সে যেন বলে, তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তোমরা বার বার কুরআন পড়তে থাকবে। কারণ কুরআন মানুষের মন হতে চতুষ্পদ জন্তু হতেও দ্রুত পালিয়ে যায়। (বুখারী, মুসলিম। ইমাম মুসলিম, ‘রশিতে বাঁধা চার পা জন্তু’ বাড়িয়ে বলেছেন।)(মিরকাত-২১৮৮)




عن أبي مالك الأشعري، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((الطهور شطر الإيمان، والحمد لله تملأ الميزان، وسبحان الله والحمد لله تملآن- أو تملأ- ما بين السماوات والأرض، والصلاة والنور،والصدقة برهان، والصبر ضياء، والقرآن حجة لك أو عليك. كل الناس يغدو: فبائع نفسه فمعتقها أو موبقها)). رواه مسلم. [٢٨١]
আবূ মালিক আল আশ্‘আরী (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাক-পবিত্রতা হলো ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহামদু লিল্লা-হ’ মানুষের ‘আমলের পাল্লাকে ভরে দেয় এবং ‘সুবহানাল্লাহ-হি ওয়াল হাম্দু লিল্লা-হ’ সাওয়াবে পরিপূর্ণ করে দেয় অথবা বলেছেন, আকাশমণ্ডলী ও জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে তা পরিপূর্ণ করে দেয়। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) হলো নূর বা আলো। দান-খয়রাত (দানকারীর পক্ষে) দলীল। সবর বা ধৈর্য হলো জ্যোতি। কুরআন হলো তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলীল। প্রত্যেক মানুষ ভোরে ঘুম হতে উঠে নিজের আত্মাকে তাদের কাজে ক্রয়-বিক্রয় করে- হয় তাকে সে আযাদ করে দেয় অথবা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। (মুসলিম)(মিরকাত-২৮১)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উস্তাদ কিয়ামতের দিন শুনবেন,এটা হাসির ছলেই বলেছিলেন।সতর্কতামূলক তাকিদ প্রদান করতেই মূলত আপনার উস্তাদ এমনটা বলেছেন।নতুবা কিয়ামতের দিন যে কেউ শুনবে বা শুনতে পারবে,এমন কোনো নিয়ম পদ্ধতি শরীয়তে নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...