মেহেরবানি করে একটু দেখুন আমার সমস্যা বড় পেরেশানিতে আছি)
ওযু করে নামাজ পরতে গেলাম, এশা এবং তারাবী ৮ রাকাত পরার পরে মনে মনে উধয় হলো পা ধুয়েছি কি না। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি পা ধুয়েছি, কারণ আমি বাথরুমে গেলেও পা ধুয়ে আসি আর ওযু করবো পা ধুবো না এটা নিজের কাছে অসম্ভব লাগছে। শুধু সেই পা ধোয়ার মুহুর্ত টা স্মরনে আসছিলো না যার ফলে এই সন্দেহের উদ্রেক। আমি প্রথময়ে এই সন্দেহকে পাত্তা দেই নাই, ভাবি পা ধুয়েছি আমি এটা শতভাগ শিওর এসবে পাত্তা দিবো না শেষ মেষ হেরে গেলাম এই ওসওয়াসার কাছে একবার লাইটে দেখলাম যে যদিও পা ধুয়েছি মন বলছে, তাও যদি কোনো পা ধোয়ার নিদর্শন পাই তবে আমার মনের খুতঁকুতি টা দূর হবে, কিন্তু তা পেলাম না, পরে ভাবালাম ওযু করবো না আবার কারণ আমি জানি পা ধুয়েছি আরো দুই রাকাত শেষ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আর পারছি না শয়তানের ওসওয়াসার সাথে গিয়ে পা ধুইলাম, আবার ওযুট মতো করলাম সব ধুইলাম। এসে এশার নামাজ পরলাম (কারণ একটা মাসআলাা জানতাম ইয়াকিন সন্দেহের দারা দূর হয় না, ওযুতে সন্দেহ আসলে পবিত্রতা হয় না) আমি নামাজ পরলাম, তারাবীও নিজে নিজে পরলাম,জামাতে যুক্ত হইনি অনেক কষ্ট লাগছিলো আমার ১৭ দিনে খতমে তারাবাীর অংশ মিছ হলো এই ওসওয়াসা আর সন্দেহের কারণে। পা না ধুলে নি ১০ রাকাত পরে মনে হওয়ার বিষয়? এটা তো তাতক্ষনিক মনে বাজার কথা। এরকম আমার প্রতিনিয়ত হচ্ছে ইদানিং মন বলে, যে ওযু ঠিক হয়েছে, মাথা মাসেহ হয়েছে, তাও মুহুর্ত মনে না পারার ধূরন সন্দেহের ফাদে পরে যাচ্ছি, মনের শক্ত অবস্থান ও ঠিকছে না। আপনিই বলেন আজকে এশার নামাজে ওযুতে মাথা মাসেহের কোনো মুহূর্ত আপনার মনে আছে কি না? না থাকলে তার মানে তো এইনা আপনি মাহেস করেন ই নি।আমি কি করবো এখন বুঝতেছিনা পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়ে সাহায্য করলে উপকার হতো
১. এভাবে সন্দেহ আসলে কি করবো, আমার নামাজ গুলো যা পরেছি জামাতের সাথে, তা কি হবে?না ওযুতে সন্দেহের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে?
২. আজকে সন্দেহ আসার পর ও মন শক্ত ছিলো যে পা ধুয়েছি আমি মনে মনে বলেছিও শতভাগ শিওর আমি। এই অবস্থায় নামাজ ও পরেছি। আমি জানতাম "বিনা ওযুতে নামাজ পরা কুফরি কাজ হলেও কেও যদি এটা মনে করে যে বিনা ওযুতে নামাজ পরাই বিধান তবে কাফের হবে" আমি জানি বিনা ওযুতে নামাজ হবে না, পরিত্র হয়েই নামাজ পরতে হবে। সন্দেহ আসার পর ও আমি সন্দেহ কে পাত্তা না দিয়ে নামাজ জারি রেখেছি, এটাও জানতাম যে ওযুতে সন্দেহ থাকলে পবিত্রতা হবে না। তা ও আমি পা ধুয়েছি এটা ভেবে মন শক্ত করে নামাজ পরতেছিলাম(যেহেতু এই সমস্যা প্রায় ই হয় তাই চাচ্ছিলাম এটাকে গুরুত্ব না দিতে) তাও নামাজ পরতেছিলাম। শেষে পা দেখে আসার পরেও সন্দেহ পাত্তা না দিয়ে নামাজ পরার সময় আর পারি নি, দশম রাকাতে নামাজ পরা বাদ দিয়ে দিলাম মনে মনে জামাতে আছি হিসাবে তাদের সাথে সিজদা রুকু করলাম, নামাজ পরে ওযু করলাম আইসা আবার নিজ নিজে প্রথম থেকে নামাজ পরলাম
এই সব ঘটনার কারণে কি কুনু ভাবে আমার কুফর হবে?আমি ওযুতে সন্দেহের কারণে পবিত্রতা অর্জন হয়না জেনেও সন্দেহ পাত্তা না দিয়ে নামাজ জারি রেখেছিলাম।আর অন্য কারন গুলো একটু দেখবেন,বড় ভয় হচ্ছে।
৩. এশার নামাজ পরে তারাবী গুলো পরতে গেলে ভাবলাম দশ রাকাত পরে ফেলি, দশ তো ইমামের সাথে পরেছি, কিন্তু পরে নিজ থেকে ওযু করে আশা বিবেচনা করলে।ওই নামাজ তো অপবিত্র অবস্থায় পরেছিলাম, এটা তো এই হিসাবে হবে না। অপবিত্র অবস্থায় নামাজ হবে না এটা তো জানি, কিন্তু এই ভাবনার সময় মাথায় ছিলো কিনা খেয়াল আসছে না,আসার তো কথা না কারণ মনে হচ্ছে পরে মনে পরেছে, যার ফলে নিজে নিজে ২০ রাকাত পরার ফয়সালা নিলাম এর ফলে কি কুফর হবে?
৪. আমার এই সাব কাজে কুফরের সন্দেহ হচ্ছিলো আর তারাবী নিজে নিজো পরতেছিলাম তখন মনে হলো দ্রুত কলিমা কেনো পরছি না, আমি ভাবছিলাম আমি তে শিওর না কুফরি হয়েছে তাই নামাজ না ভেঙ্গে নিয়ত করি কলিমা শাহাদাৎ পরলে এই দুই রাকাত পরে পরবো। এতে কি কুফরের প্রতি সন্তুষ্ট বুঝায়?কুফর হবে? আমি নিশ্চিত হলে তো এক মুহুর্ত ও দেরী করতাম না, (আল্লাহ এই রকম সিন না দেখাক)
৫. কেও যদি কোনো চিন্তা ভাবতে ভাবতে মনে হঠাৎ কোনো কুফরি বিশ্বাস জন্ম নেয় ও তা কিছু সেকেন্ড স্থায়ী হয়, পরে সে বুঝলো তার এই ভাবনা তো কুফর হলো, কিন্তু তাতক্ষনিক কোনো কারনে তওবা না৷ করে,পরে করলো। (কুফর হয়েছে কিনা শিওর না হওয়ায় সাথে সাথে করে নি) তে কি তার কুফর হবে?
৬. কেও একটা প্রশ্ন দেখলো " কোরআনের সামনে সিজদা করলে গুনাহ হবে কি না" এটা দেখে সে যদি ভাবে " কোরআন তো আল্লাহর কালাম, উনার সিফত,উনার অংশ মনে হয় এতে।গুনাহ হবে না" পরে জবাবা দেখে মাথায় আসলো আরে এটা তো শিরকি ভাবনা হয়ে গেছে,খানিকের জন্য পরে তার ভুল বুঝতে পেরে এই ভাবনার জন্য পেরেশানিতে আছে, জানে আল্লাহ ছাড়া কাওকে সিদজা জায়েজ না। আপনার থেকে জেনেছিলোও আল্লাহর সিফত আল্লাহর অংশ না। তার এই ক্ষনিকের ভাবনার ফলে সে কি কাফের হয়ে যাবে?
৭. রাজাদের দেখলে যে ঝুকে,পিছ ঝুকিয়ে, সালাম দেওয়া হতো এতে কি এরা সবাই কাফের হয়ে যেতো?
৮. আমি কালকে দুইজনের দেখা অভিনয় কল্পনা করছিলাম তারা একটা কথা বলার সময় অভিনয়ে মাথা নিচু করে সালাম দিতো, আমিয়ো তা ভাবার সময় বসে বসেই মাথা নিচু করে দেখে খানিক,অল্প মাথা দুলানোর মতো, পরে খেয়ালে আসে এতে কি কুফর হয়ে গেলো? বড় চিন্তা হচ্ছিলো? এতে কি ইমান চলে যাওয়ার মতো কিছু হলো?
৯. কেও যদি তার বউকে তালা* দেওয়ার কথা ভাবে,আর জিহ্বা অন্য কারণে নড়ে তবে কি তার বউ তালা* হয়ে যাবে? না কি শব্দ করে বলা ছাড়া যতোই জিহ্বা নড়ুক তালা* হবে না
১০. আমার বাড়ি থেকে কলেজ প্রায় ১৫০ কিমি এর মতো দূরে যেতে কমবেশ চার ঘন্টা লাগে,যেদিন যাবো ওই দিন পথে কি আমার রোজা ভাঙ্গার অনুমতি থাকবে? থাকলে না বাড়ির কতো কাছে পর্যন্ত যাওয়ার আগে আর এই স্থান ত্যাগের কতো দূর যওয়ার পর শুরু হবে?
১১. আমাদের সৃষ্টিকর্তা কি, এরা জবাব লিখতে গিয়ে আ লেখার পরে সাজেশন আসে "আমলা " শব্দটি আমি কি বুঝে যেনো এটার উপর চাপ মেরে দেই। এতে জবাবের খানে এই লেখা চলে আসে, আমিতে আল্লাহকেই সৃষ্টিকর্তা মানি, এটা নিজে জেনে বুঝে এর জাবাবে এমনলেখার তো প্রশ্নই আসে না, এতে কি কুফর হবে?