আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
মেহেরবানি করে একটু দেখুন আমার সমস্যা বড় পেরেশানিতে আছি)

ওযু করে নামাজ পরতে গেলাম, এশা এবং তারাবী ৮ রাকাত পরার পরে মনে মনে উধয় হলো পা ধুয়েছি কি না। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি পা ধুয়েছি, কারণ আমি বাথরুমে গেলেও পা ধুয়ে আসি আর ওযু করবো পা ধুবো না এটা নিজের কাছে অসম্ভব লাগছে। শুধু সেই পা ধোয়ার মুহুর্ত টা স্মরনে আসছিলো না যার ফলে এই সন্দেহের উদ্রেক। আমি প্রথময়ে এই সন্দেহকে পাত্তা দেই নাই, ভাবি পা ধুয়েছি আমি এটা শতভাগ শিওর এসবে পাত্তা দিবো না শেষ মেষ হেরে গেলাম এই ওসওয়াসার কাছে একবার লাইটে দেখলাম যে যদিও পা ধুয়েছি মন বলছে, তাও যদি কোনো পা ধোয়ার নিদর্শন পাই তবে আমার মনের খুতঁকুতি টা দূর হবে, কিন্তু তা পেলাম না, পরে ভাবালাম ওযু করবো না আবার কারণ আমি জানি পা ধুয়েছি আরো দুই রাকাত শেষ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আর পারছি না শয়তানের ওসওয়াসার সাথে গিয়ে পা ধুইলাম, আবার ওযুট মতো করলাম সব ধুইলাম। এসে এশার নামাজ পরলাম (কারণ একটা মাসআলাা জানতাম ইয়াকিন সন্দেহের দারা দূর হয় না, ওযুতে সন্দেহ আসলে পবিত্রতা হয় না) আমি নামাজ পরলাম, তারাবীও নিজে নিজে পরলাম,জামাতে যুক্ত হইনি অনেক কষ্ট লাগছিলো আমার ১৭ দিনে খতমে তারাবাীর অংশ মিছ হলো এই ওসওয়াসা আর সন্দেহের কারণে। পা না ধুলে নি ১০ রাকাত পরে মনে হওয়ার বিষয়? এটা তো তাতক্ষনিক মনে বাজার কথা। এরকম আমার প্রতিনিয়ত হচ্ছে ইদানিং মন বলে, যে ওযু ঠিক হয়েছে, মাথা মাসেহ হয়েছে, তাও মুহুর্ত মনে না পারার ধূরন সন্দেহের ফাদে পরে যাচ্ছি,  মনের শক্ত অবস্থান ও ঠিকছে না। আপনিই বলেন আজকে এশার নামাজে ওযুতে মাথা মাসেহের কোনো মুহূর্ত আপনার মনে আছে কি না? না থাকলে তার মানে তো এইনা আপনি মাহেস করেন ই নি।আমি কি করবো এখন বুঝতেছিনা পরিস্থিতি অনুযায়ী কিছু প্রশ্নের জবাব দিয়ে সাহায্য করলে উপকার হতো

১. এভাবে সন্দেহ আসলে কি করবো, আমার নামাজ গুলো যা পরেছি জামাতের সাথে, তা কি হবে?না ওযুতে সন্দেহের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে?

২.  আজকে সন্দেহ আসার পর ও মন শক্ত ছিলো যে পা ধুয়েছি আমি মনে মনে বলেছিও শতভাগ শিওর আমি। এই অবস্থায় নামাজ ও পরেছি। আমি জানতাম "বিনা ওযুতে নামাজ পরা কুফরি কাজ হলেও কেও যদি এটা মনে করে যে বিনা ওযুতে নামাজ পরাই বিধান তবে কাফের হবে" আমি জানি বিনা ওযুতে নামাজ হবে না, পরিত্র হয়েই নামাজ পরতে হবে। সন্দেহ আসার পর ও আমি সন্দেহ কে পাত্তা না দিয়ে নামাজ জারি রেখেছি, এটাও জানতাম যে ওযুতে সন্দেহ থাকলে পবিত্রতা হবে না। তা ও আমি পা ধুয়েছি এটা ভেবে মন শক্ত করে নামাজ পরতেছিলাম(যেহেতু এই সমস্যা প্রায় ই হয় তাই চাচ্ছিলাম এটাকে গুরুত্ব না দিতে)  তাও নামাজ পরতেছিলাম। শেষে পা দেখে আসার পরেও সন্দেহ পাত্তা না দিয়ে নামাজ পরার সময় আর পারি নি, দশম রাকাতে নামাজ পরা বাদ  দিয়ে দিলাম মনে মনে জামাতে আছি হিসাবে তাদের সাথে সিজদা রুকু করলাম, নামাজ পরে ওযু করলাম আইসা আবার নিজ নিজে প্রথম থেকে নামাজ পরলাম
এই সব ঘটনার কারণে কি কুনু ভাবে আমার কুফর হবে?আমি ওযুতে সন্দেহের কারণে পবিত্রতা অর্জন হয়না জেনেও সন্দেহ পাত্তা না দিয়ে নামাজ জারি রেখেছিলাম।আর অন্য কারন গুলো একটু দেখবেন,বড় ভয় হচ্ছে।
৩. এশার নামাজ পরে তারাবী গুলো পরতে গেলে ভাবলাম দশ রাকাত পরে ফেলি, দশ তো ইমামের সাথে পরেছি, কিন্তু পরে নিজ থেকে ওযু করে আশা বিবেচনা করলে।ওই নামাজ তো অপবিত্র অবস্থায় পরেছিলাম, এটা তো এই হিসাবে হবে না। অপবিত্র অবস্থায় নামাজ হবে না এটা তো জানি, কিন্তু এই ভাবনার সময় মাথায় ছিলো কিনা খেয়াল আসছে না,আসার তো কথা না কারণ মনে হচ্ছে পরে মনে পরেছে, যার ফলে নিজে নিজে ২০ রাকাত পরার ফয়সালা নিলাম এর ফলে কি কুফর হবে?

৪. আমার এই সাব কাজে কুফরের সন্দেহ হচ্ছিলো আর তারাবী নিজে নিজো পরতেছিলাম তখন মনে হলো দ্রুত কলিমা কেনো পরছি না, আমি ভাবছিলাম আমি তে শিওর না কুফরি হয়েছে তাই নামাজ না ভেঙ্গে নিয়ত করি কলিমা শাহাদাৎ  পরলে এই দুই রাকাত পরে পরবো।  এতে কি কুফরের প্রতি সন্তুষ্ট বুঝায়?কুফর হবে? আমি নিশ্চিত হলে তো এক মুহুর্ত ও দেরী করতাম না,  (আল্লাহ এই রকম সিন না দেখাক)
৫. কেও যদি কোনো চিন্তা ভাবতে ভাবতে মনে হঠাৎ কোনো কুফরি বিশ্বাস জন্ম নেয় ও তা কিছু সেকেন্ড স্থায়ী হয়, পরে সে বুঝলো  তার এই ভাবনা তো কুফর হলো, কিন্তু তাতক্ষনিক কোনো কারনে তওবা না৷ করে,পরে করলো। (কুফর হয়েছে কিনা শিওর না হওয়ায় সাথে সাথে  করে নি) তে কি তার কুফর হবে?

৬. কেও একটা প্রশ্ন দেখলো " কোরআনের সামনে সিজদা করলে গুনাহ হবে কি না" এটা দেখে সে যদি ভাবে " কোরআন তো আল্লাহর কালাম, উনার সিফত,উনার অংশ মনে হয় এতে।গুনাহ হবে না" পরে জবাবা দেখে মাথায় আসলো আরে এটা তো শিরকি ভাবনা হয়ে গেছে,খানিকের জন্য পরে তার ভুল বুঝতে পেরে এই ভাবনার জন্য পেরেশানিতে আছে, জানে আল্লাহ ছাড়া কাওকে সিদজা জায়েজ না। আপনার থেকে জেনেছিলোও  আল্লাহর সিফত আল্লাহর  অংশ না।  তার এই ক্ষনিকের ভাবনার ফলে সে কি কাফের হয়ে যাবে?

৭. রাজাদের দেখলে যে ঝুকে,পিছ ঝুকিয়ে,  সালাম দেওয়া হতো এতে কি এরা সবাই কাফের হয়ে যেতো?

৮. আমি কালকে দুইজনের দেখা অভিনয় কল্পনা করছিলাম তারা একটা কথা বলার সময় অভিনয়ে মাথা নিচু করে সালাম দিতো, আমিয়ো তা ভাবার সময় বসে বসেই মাথা নিচু করে দেখে খানিক,অল্প মাথা দুলানোর মতো,  পরে খেয়ালে আসে এতে কি কুফর হয়ে গেলো? বড় চিন্তা হচ্ছিলো? এতে কি ইমান চলে যাওয়ার মতো কিছু হলো?

৯. কেও যদি তার বউকে তালা* দেওয়ার কথা ভাবে,আর জিহ্বা অন্য কারণে নড়ে তবে কি তার বউ তালা* হয়ে যাবে? না কি শব্দ করে বলা ছাড়া যতোই জিহ্বা নড়ুক তালা* হবে না

১০. আমার বাড়ি থেকে কলেজ প্রায় ১৫০ কিমি এর মতো দূরে যেতে কমবেশ চার ঘন্টা লাগে,যেদিন যাবো ওই দিন পথে কি আমার রোজা ভাঙ্গার অনুমতি থাকবে? থাকলে না বাড়ির কতো কাছে পর্যন্ত যাওয়ার আগে আর এই স্থান ত্যাগের কতো দূর যওয়ার পর শুরু হবে?

১১.  আমাদের সৃষ্টিকর্তা কি, এরা জবাব লিখতে গিয়ে আ লেখার পরে সাজেশন আসে "আমলা " শব্দটি আমি কি বুঝে যেনো এটার উপর চাপ মেরে দেই। এতে জবাবের খানে এই লেখা চলে আসে, আমিতে আল্লাহকেই সৃষ্টিকর্তা মানি, এটা নিজে জেনে বুঝে এর জাবাবে এমনলেখার তো প্রশ্নই আসে না, এতে কি কুফর হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ
ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ
ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।
হাদীসটি এই, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/293

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এগুলো আপনার নিছক সন্দেহ মাত্র। বাস্তবতার সাথে এর কোনো মিল নেই।

আপনি যে নামাজ গুলি জামাতের সাথে পড়েছেন,তাহা আদায় হবে।
ওযুতে সন্দেহের কারণে নষ্ট হয়ে যাবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে কুফরি হবেনা। 

(০৩)
এর ফলে কুফর হবেনা। 

(০৪)
এতে কুফরের প্রতি সন্তুষ্ট বুঝায়না। এত কুফর হবেনা।

(০৫)
এতে তার কুফর হবেনা।

(০৬)
তার এই ক্ষনিকের ভাবনার ফলে সে কাফের হয়ে যাবেনা।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তারা কাফের হয়ে যেতোনা।

(০৮)
এতে কুফর হয়নি।
ঈমান চলে যাওয়ার মতো কিছু হয়নি।

(০৯)
এতে তালাক হবেনা। 
শব্দ করে বলা ছাড়া যতোই জিহ্বা নড়াচড়া করতে থাক, তালাক হবে না।

(১০)
হ্যাঁ, সেদিন আপনার রোযা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি থাকবে।

এক্ষেত্রে নিজ শহর/থানা/উপজেলা অতিক্রম করার পর রোযা হবে ফেলতে পারবেন।

(১১)
এতে কুফর হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...