আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
256 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমি জেনারেল পড়ুয়া।এবার অনার্সে ভর্তি হবো। জেনারেলের পড়া শেষ করতে আরো ৫ বছর। ইন শা আল্লাহ জেনারেল শেষ করে অনলাইন বা সম্ভব হলে অফলাইনে কিতাব বিভাগে পড়বো।জেনারেলের পড়াশুনার পাশাপাশি তাজওইদ টা পরিপূর্ণ ঠিক করার চেষ্টা করছি, আরবি ভাষা শিখা কন্টিনিউ করছি, শর্ট ফরজে আইন কোর্স করবো। এগুলো ২ বছরের মধ্যেই শেষ হবে।বাকি ৩ বছরের মধ্যে পুরো কুরআন হিফজ শেষ করবো। তারপর জেনারেল শেষ করে কিতাববিভাগে পড়বো ইন শা আল্লাহ।

প্রশ্ন হলো হিফজ করা তো ফরজ ওয়াজিব কিছু না। ৩ বছরের প্লানে হিফজ করা ঠিক হবে কি নাকি তাফসীর হাদিসের জ্ঞান অর্জন করবো?
আমার প্লান কি ঠিক আছে?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230407_043433_898.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ” عرضت على اجور امتي حتى القذاة يخرجها الرجل من المسجد وعرضت على ذنوب امتي فلم ار ذنبا اعظم من سورة من القران او اية اوتيها رجل ثم نسيها ”

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের সাওয়াবসমূহ (কাজের বিনিময়গুলো) আমার সামনে পেশ করা হয়েছে, এমনকি কোন ব্যক্তি কর্তৃক মাসজিদ থেকে ময়লা-আবর্জনা দূর করার সাওয়াবও। অপরদিকে আমার উম্মাতের পাপরাশিও আমাকে দেখানো হয়েছে। আমি তাতে কুরআনের কোন সূরাহ বা আয়াত শেখার পর তা ভুলে যাওয়ার চাইতে বড় গুনাহ আর দেখিনি। [সূনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং-৪৬১]

عَن أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَتَعَاهَدُوا هَذَا القُرْآنَ فَوَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتاً مِنَ الإِبِلِ فِي عُقُلِهَا متفقٌ عليه

আবু মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“এই কুরআনের প্রতি যত্ন নাও। (অর্থাৎ নিয়মিত পড়তে থাক ও তার চর্চা অব্যহত রাখ।) কেননা সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক দ্রুত কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে যায়।” (অর্থাৎ কুরআন মুখস্থ করার পর তার প্রতি নিয়মিত যত্ন না নিলে দ্রুত ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।) [বুখারী ৫০৩৩ ও মুসলিম ১৮৮০]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার জন্য পরামর্শ থাকবে, পুরো কুরআন মুখস্তের পিছনে সময় না দিয়ে আমলের সুরা গুলি মুখস্থ করে তাফসীর হাদিসের জ্ঞান অর্জন করা।

আপনার প্ল্যান ঠিক আছে,আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...