ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
যেমন নিম্নোক্ত হাদীসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি নিজ নাবালিগ সন্তাদিকে তাবিজ লঠকিয়ে দিতেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়-
আমর ইবনে শুয়াইব তার সনদে বর্ণনা করেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ ঘুমে ভয় পায়, তখন সে যেন পড়ে- 'আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ই'ক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ-শায়াতিনি,ওয়া আইয়াহদুরুন' এই দু'আ পড়লে শয়তান কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি, তার সাবালক সন্তানাদিকে তা শিক্ষা দিতেন।এবং নাবালক সন্তাদির গলায় উক্ত দু'আ তাবিজ আকারে লিখে ঝুলিয়ে দিতেন।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৪৭৭)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি উনার নাবালক সন্তানদের গলায় তাবিজ ঝুলিয়ে দিতেন।হাদীসের সনদের উপর মুহাদ্দিসগণের কালাম রয়েছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/226
وفی تکملۃ فتح الملہم: قال الحافظ فی الفتح: (اجمع العلماء، علی جواز الرقی عند اجتماع ثلاثۃ شروط: ان یکون بکلام اﷲ تعالٰی او بأسمائہ وصفاتہ، وباللسان العربی أو بما یعرف معناہ من غیرہ، وان یعتقد ان الرقیۃ لا تؤثر بذاتہا، بل بذات اﷲ تعالٰی) الخ۔ (ج۱۰، ص۱۹۵)-
وأما الحادیث التی ورد فیہا النہی عن الرقی، أو الاحادیث التی اثنٰی فیہا علی الذین لا یسترقون فانہا محمولۃ علی رقی الکفار التی تشتمل علی کلمات الشرک أو الاستمداد بغیر اﷲ تعالٰی أو الرقی التی لا یفہم معناہا فإنہا لا یؤمن أن تودی الی الشرک فمنع منہا احتیاطًا۔ اھـ (ج۴، ص۲۹۵)-
সারমর্মঃ-
তিনটি শর্তের ভিত্তিতে রুকইয়াহ করা জায়েজ হওয়ার উপর উলামায়ে কেরামগন একমত হয়েছেন।
আল্লাহর কালাম অথবা তার নাম অথবা সিফাত এবং আরবী ভাষায় হতে হবে,এবং যার অর্থ বুঝা যায়,এবং এই বিশ্বাস রাখা যে তাবিঝ ঝাড় ফুক মুয়াসসার বিয যাত নয়,বরং একমাত্র আল্লাহই মুয়াসসার বিযযাত,,,।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সে যেহেতু কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ পড়ে ঝাড়া দিবেনা,বরং কুফরি কালামই বলবে,তাই অমুসলিম থেকে ঝাড়া নেয়া জায়েজ হবেনা।
(০২)
ঈমান আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে, এবং ঐ মুসলিম ব্যক্তি সম্পর্কে সু-ধারণা থাকলে, অথবা সে স্বীকার করলে যে, সে কুরআন হাদীসে বর্ণিত দু'আ পড়ে গাছের ডাল দিয়ে পড়ে পড়ে ঝাড়েন,এমনটির রুখসত থাকবে। নতুবা জায়েয হবে না।