আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

১)আমি প্রায় প্রতিদিন ই স্বপ্ন দেখি। সেই স্বপ্ন গুলোর সারমর্ম আমার কাছে একই মনে হয়।সব স্বপ্নই পানি রিলেটেড।যেমন আমি কোথাও গিয়েছি সেখানে যাওয়ার পথে আবার ফেরার পথে নদী,।আর নদীতে অনেক পানি। কোনো ব্রিজ আছে সেই ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে।তো সেখান থেকে কিভাবে যেন আবার ফিরে আসি। বা অনেক সময় কোনো নন মাহরাম ও আমার সাথে বিপদে পড়ে। তখন সবাই এক সাথে কিভাবে যেন ফিরে আসি। ২/৩ দিন আগে দেখলাম তো গাড়ি থেকে নামার পর একটা জায়গা আছে অনেক পানি, সেই পানি সাতরে হোটেলে যেতে হবে।কিন্তু আমি সাতার না জানায় ক্লাসের এক ছেলের হাত ধরে পানি পার হয়েছি।

আজ দেখেছি আমি কোনো এক দোকানে কি যেন একটা কাজের জন্য কিছু টাকা(প্রায় ৬ লাখ) advance দেই।কিন্তু পাড়ার কিছু বখাটে এসে বলে আগে তাদের টাকা নিতে হবে এরপর আমার টা নিতে পারবে।এক পর্যায়ে দোকান দারের সাথে তাদের মারামারি লেগে যায়।রক্তারক্তি অবস্থা।ওখান থেকে ফিরে আসার সময় দেখি যে পানি অনেক।আমি সেই পানি পার হয়ে আসি।

মানে মোট কথা হলো আমার যত স্বপ্ন সব এই পানি রিলেটেড বা বিপদে পড়া রিলেটেড। মাঝে মাঝে অনেক ভয় ও পেয়ে যাই।এই রমজানেই একদিন আম্মুর কাছে শুয়েছি হঠাৎ করে রাত ১/১:৩০ টার দিকে অনেক ভয়ংকর স্বপ্ন দেখি।কি স্বপ্ন তা মনে নেই।তবে অনেক ভয় পেয়ে যাই।আর ঘুম থেকে উঠে কম্বল খুঁজি।আম্মুকে বলি এই কম্বল গায়ে দিও না।এটা মৃত কম্বল।

আগে মাঝে মাঝে বিয়ের স্বপ্ন ও দেখতাম।আমার বিয়ে হচ্ছে হুট করে।কিন্তু আমি জানি না। কিন্তু ৩/৪ মাসের বেশি হবে এই পানি, নদী আর বিপদে পড়ার স্বপ্নই দেখি।তব্র পানির কালার কেমন তা মনে থাকে না।

প্রায় সময় কিছু পরিচিত জায়গা দেখি। বন জঙ্গল + বাড়ি টাইপের।

আর ৭/৮ মাস আগে ফজরের পর প্রায় প্রতিদিন ই মনে হত যে আমার সাথে কেউ খারাপ কিছু করার ট্রাই করছে।সেটা রুকইয়াহ করার পর আর এখন নেই আলহামদুলিল্লাহ।

২)আমার বাবার ছোট খাটো একটা হোটেল আছে + মুদির দোকান টাইপের একটা দোকান। আমাদের ব্যাংক থেকে কিছু টাকা লোন নেওয়া আছে।কিস্তি শোধের পর এখন মনে হয় ২/২.৫ লাখ হবে।২.৫/৩ ভরি স্বর্ণ আছে। কিন্তু সেগুলো স্বর্ণকারের কাছে বন্ধক রাখা।বাসায় রেগুলার ইউজের জন্য ১ ভরির কম স্বর্ণ আছে।আমাদের কিছু গরু কিনে দেওয়া আছে গ্রামে।অন্য মানুষ রা সেগুলো দেখাশোনা করে। বাচ্চা হলে আমাদের দিবে।গ্রামে ৪/৫ বিঘার মত চাষের জমি আছে কিন্তু সেগুলো অন্য মানুষ চাষ করে।আমাদেরকে প্রতি সিজনে ২০/৩০ টাকা করে টাকা দেয়।

এখন আমার প্রশ্ন হলো আমাদের উপর কি যাকাত ফরজ হবে?আর যদি ফরজ হয় তাহলে কি পরিমাণ যাকাত দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (713,160 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার স্বপ্নগুলোর কিছু মনের কল্পনা মনে হচ্ছে। আর নদী জাতীয় স্বপ্নের ব্যখ্যা হল, যিনি স্বপ্ন দেখেছেন, তার কাছে অনেক মাল আসবে। তবে ব্রীজ ভাঙ্গা, একথার অর্থ হল, এই নিয়ামত অর্জনে কিছুটা সমস্যাও আসবে।

(২)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-

শুধু স্বর্ণ থাকলে স্বর্ণের নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।আর শুধু রূপা থাকলে রূপার নেসাব পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত আসবে।টাকা থাকলে রূপার নেসাব সমপরিমাণ হলে যাকাত আসবে।
কিছু স্বর্ণ এবং কিছু রূপা থাকলে স্বর্ণ এবং রূপাকে মিলিত করে উভয়টির মূল্য যদি রূপার নেসাব সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে যাকাত আসবে।
(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/২৭৭)
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৬/৮৭)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1203

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার মুদি দোকানের মাল বর্তমান মাল যদি ৫২.৫ ভড়ি রূপা বা তার চেয়ে বেশী হয়, তাহলে আপনার বাবার উপর যাকাত আসবে।নতুবা আপনার বাবার উপর যাকাত ফরয হবে না।তবে কুরবানি এবং সদকায়ে ফিতির ওয়াজিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...