আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
188 views
in পবিত্রতা (Purity) by (9 points)
আস্সালামু'আলাইকুম ওয়া র'হমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ,

শাইখ,

(১) ফরজ গোসল করার সময় যদি শরীরে সাবান মাখার সময় ঐ সাবানের ফেনা যদি বালতিতে পরে আর ঐ বালতির পানি দিয়ে যদি ফরজ গোসল করা হয় এবং পরবর্তীতে আর সাধারণ পানি শরীরে ঢালা না হয় তাহলে কি ফরজ গোসল আদায় হবে?(শরীরে কোনো নাপাকি ছিল না মনে হয়, sure না আমি )

(২) ফরজ গোসলের সময় যদি মনে হয় শরীরের কোনো অঙ্গ ভিজে নাই (পানি লাগে নাই ) কিন্তু শরীরে সাবান মেখে গোসল করা হয়েছে, তাহলে কি ধরে নিবো যে সাবান ভাসানোর জন্য শরীরে যে পানি ঢালা হয়েছে তাতেই শরীরের ঐ অঙ্গ ভিজে গেছে?

 (*) ফরজ গোসলের পর আমার প্রায় মনে হয় হয়তো পায়ে সাবান লাগানো হয় নাই বা পানি পৌঁছায় নাই বা হাতের বগলে পানি পোঁছে নাই (সাবান দিয়ে গোসল করার পরও )

(৩) ছুলে গেলে বা চুলকালে ত্বকের উপর যে শক্ত আবরণ পরে কালো রঙের ঐটা কি পানি প্রতিবন্ধক,মানে এতে কি ফরজ গোসল আদায় হবে না? (আমার কান চুলকানোর কারণে হয়তো কানের বাহিরের অংশে এমনটা হয়েছে এতে ফরজ গোসল আদায় হবে )

(৪) আমার খালি মনে হয় আমার উপর গোসল ফরজ হইসে। যেমন ঘুমানোর পর ঘুম থেকে উঠলে লজ্জাস্থান হালকা ভেজা ভেজা লাগে। আবার মনে হয় লজ্জাস্থানের আশেপাশে পায়ের ত্বকে লেগেছে কিছু। কিন্তু তা বীর্যের মতো না। হালকা পানি পানি এর মতো। আমি স্বপ্নে direct সহবাস করা দেখি না। কেমন যেন খুব কাছাকাছি অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখি পুরুষের সাথে। এতে কি আমার উপর গোসল ফরজ হবে?

(৫) কি পরিমান বীর্য বের হলে বা কোন ধরণের বীর্য/পানি /সাদাস্রাব বের হলে একজন মেয়ের উপর গোসল ফরজ হয়।

(*) পুরা প্রকারভেদ দেয়ার দরকার নেই শাইখ ঐগুলো আমি অন্য fatwa থেকে দেখেছি। আপনি খালি কি পরিমান আর কোন ধরণের বীর্য /পানি /সাদাস্রাব বের হলে একজন মেয়ের উপর গোসল ফরজ হয় তা উল্লেখ করলে মুনাসিব হতো।

(৬) স্বপ্নে শুধু সহবাস দেখে বীর্যপাত হলে কি গোসল ফরজ হয়? সহবাস দেখলো কিন্তু পানি পানি টাইপ কিছু বের হলো তাহলেও কি গোসল ফরজ হবে?

(৭) সহবাস দেখা ছাড়া বা অন্তরঙ্গ কিছু দেখলে বা কিছু না দেখলে যদি বীর্যপাত হয় বা পানি পানি টাইপ কিছু বের হয় তাহলে কি গোসল ফরজ হয়?

(৮) ফরজ গোসল করার পর শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো হলে আবার সাথে সাথে সেই অঙ্গ ভিজালেই হবে? ৩/৪ ঘন্টা পর ভিজালে হবে না? নাকি পুনরায় ফরজ গোসল আদায় করতে হবে?

(৯) শরীরের কোনো অঙ্গ ভিজলো কিনা তা sure না (সন্দেহের মধ্যে আছি )হলে কি করবো আবার সেই অঙ্গ ভিজাবো নাকি ফরজ গোসল করবো? নাকি কিছুই করবো না, কারণ আমি তো sure না শুকনা আছে বলে মনে হচ্ছে। আর শরীর মুছার পর কাপড় পরিধানের ফলে আর বোঝার উপায় নাই সেই স্থান শুকনা নাকি ভিজা কারণ বাতাসে শুকিয়ে গেছে।

আমার এই বারবার গোসল ফরজ হয়েছে মনে হওয়া কি ওয়াসওয়াসা? আমার প্রায় মনে হয় আমার ফরজ গোসল পরিপূর্ণ হয় নাই। ফলে নামাজে মন বসে না। অনেক সময় (১.৫ ঘন্টা )নিয়ে সব বিষয় মাথায় নিয়ে গোসল করলেও কিছু না কিছু ভুল হয়ই। মনে হয় এই অঙ্গ ভিজে নাই ঐ অঙ্গ ভিজে নাই, এই পাশ শুকনা থেকে গেলো, ঐ পাশ শুকনা থেকে গেলো।

এইবার হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর ৪ বার ফরজ গোসল করেছি, এখন মনে হচ্ছে হাতের বগল ভিজে নাই যদিও বগলে সাবান দিসিলাম এইটা মনে আছে। কিন্তু মনে হচ্ছে সাবান দেয়ার পর কাঁধের উপর দিয়ে হাতে পানি ঢেলেছি। কিন্তু সাবান মাখার পর বগল আলাদা করে পানি দিয়ে ধুয়েছি কিনা বাকাঁধের উপর পানি ঢালার পর পানি বগলে পৌছালো কিনা তা জানি না।আমাকে কি আবার ফরজ গোসল করতে হোবে?

*** আমার জন্য খাস করে তাহাজ্জুদ এ দু'আ করার দরখাস্ত রইলো শাইখ। আল্লাহ যেন আমার ওয়াসওয়াসা এর সমস্যা(গোসলে, ওযুতে, নামাজে, ইসতেঞ্জাতে) যে ওয়াসওয়াসা আছে তা দূর করে দেন।( আমিন )***

জাযাকাল্লাহ খইর।

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ফরজ গোসল করার সময় যদি শরীরে সাবান মাখার সময় ঐ সাবানের ফেনা যদি বালতিতে পরে আর ঐ বালতির পানি দিয়ে যদি ফরজ গোসল করা হয় এবং পরবর্তীতে আর সাধারণ পানি শরীরে ঢালা না হয়, তাহলেও ফরজ গোসল আদায় হবে।

ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
"وَفِي إِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّدَى الْبَاقِي عَلَى أَعْضَاءِ الْمُتَوَضِّئِ وَالْمُغْتَسِلِ وَمَا قَطَرَ مِنْهُ عَلَى ثِيَابِهِمَا طَاهِرٌ : دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْمَاءِ الْمُسْتَعْمَلَِ"
অজু কারী এবং গোসল কারীর শরীরে যে পানি বাকী থাকে এবং যা টপকে টপকে কাপড়ে পড়ে,সেটা পবিত্র হওয়ার ব্যপারে সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।এটা প্রমাণ করে যে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। সুতরাং সেটা পবিত্রতাকে বিনষ্ট করবে না।(আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমায়ি ওয়াল-ইখতেলাফি-১/২৮৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4195

(২) ফরজ গোসলের সময় যদি মনে হয় শরীরের কোনো অঙ্গ ভিজে নাই (পানি লাগে নাই ) কিন্তু শরীরে সাবান মেখে গোসল করা হয়েছে, তাহলে ধরে নিবেন যে, সাবান ভাসানোর জন্য শরীরে যে পানি ঢালা হয়েছে তাতেই শরীরের ঐ অঙ্গ ভিজে গেছে।

 (*) ফরজ গোসলের পর প্রায় মনে হয় হয়তো পায়ে সাবান লাগানো হয় নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ রকম চিন্তাকে পরিহার করুন। এরকম ওয়াসওয়াসাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।

(৩) ছুলে গেলে বা চুলকালে ত্বকের উপর যে শক্ত আবরণ পরে কালো রঙের ঐ টা পানি প্রতিবন্ধক নয়। এতে ফরজ গোসলে কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11414


(৫) পরিমান বীর্য বের হলেই কেবল গোসল ফরয হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1689

(৬) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11414

(৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/11414

(৮) ফরজ গোসল করার পর শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো হলে আবার সাথে সাথে সেই অঙ্গ ভিজালেই হবে, ৩/৪ ঘন্টা পর ভিজালে হবে না।

(৯) এটা ওয়াসওয়াসা।সুতরাং এটাকে কোনো পাত্তাই দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...