ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ফরজ গোসল করার সময় যদি শরীরে সাবান মাখার সময় ঐ সাবানের ফেনা যদি বালতিতে পরে আর ঐ বালতির পানি দিয়ে যদি ফরজ গোসল করা হয় এবং পরবর্তীতে আর সাধারণ পানি শরীরে ঢালা না হয়, তাহলেও ফরজ গোসল আদায় হবে।
ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
"وَفِي إِجْمَاعِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ النَّدَى الْبَاقِي عَلَى أَعْضَاءِ الْمُتَوَضِّئِ وَالْمُغْتَسِلِ وَمَا قَطَرَ مِنْهُ عَلَى ثِيَابِهِمَا طَاهِرٌ : دَلِيلٌ عَلَى طَهَارَةِ الْمَاءِ الْمُسْتَعْمَلَِ"
অজু কারী এবং গোসল কারীর শরীরে যে পানি বাকী থাকে এবং যা টপকে টপকে কাপড়ে পড়ে,সেটা পবিত্র হওয়ার ব্যপারে সমস্ত উলামায়ে কেরামের ইজমা রয়েছে।এটা প্রমাণ করে যে ব্যবহৃত পানি পবিত্র। সুতরাং সেটা পবিত্রতাকে বিনষ্ট করবে না।(আল-আউসাত ফিস-সুনানি ওয়াল ইজমায়ি ওয়াল-ইখতেলাফি-১/২৮৮)
(২) ফরজ গোসলের সময় যদি মনে হয় শরীরের কোনো অঙ্গ ভিজে নাই (পানি লাগে নাই ) কিন্তু শরীরে সাবান মেখে গোসল করা হয়েছে, তাহলে ধরে নিবেন যে, সাবান ভাসানোর জন্য শরীরে যে পানি ঢালা হয়েছে তাতেই শরীরের ঐ অঙ্গ ভিজে গেছে।
(*) ফরজ গোসলের পর প্রায় মনে হয় হয়তো পায়ে সাবান লাগানো হয় নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি। এ রকম চিন্তাকে পরিহার করুন। এরকম ওয়াসওয়াসাকে মন থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন।
(৩) ছুলে গেলে বা চুলকালে ত্বকের উপর যে শক্ত আবরণ পরে কালো রঙের ঐ টা পানি প্রতিবন্ধক নয়। এতে ফরজ গোসলে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)
(৫) পরিমান বীর্য বের হলেই কেবল গোসল ফরয হবে।
(৬)
(৮) ফরজ গোসল করার পর শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো হলে আবার সাথে সাথে সেই অঙ্গ ভিজালেই হবে, ৩/৪ ঘন্টা পর ভিজালে হবে না।
(৯) এটা ওয়াসওয়াসা।সুতরাং এটাকে কোনো পাত্তাই দিবেন না।