ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
(মু'মিনুন-৩)
اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
(কুরতুবি:১৩/৮০)
উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখার কারনে আপনার ঈমান ভংগ হবে না। এর কারনে আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবে না। তবে এসব খেলাধুলাকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করবেন।এসব দেখা গোনাহ।
(২)রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখার কারণে আপনার ঈমানে কোন সমস্যা হবে না। এর কারনে আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবে না।
(৩)কোন মুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের সাথে কোন অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের খেলা হলে, কেউ যদি অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবকে সাপোর্ট করে, তাহলে ঈমান ভংগ হবে না। তবে এসব খেলা দেখা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।মুসলিম বা অমুসলিম কারো খেলা দেখা কখনো জায়েয হবে না।সমর্থন করাও জায়েয হবে না।
(৪) কোন মুসলিম দেশের সাথে কোন অমুসলিম দেশের খেলা হলে কেউ যদি অমুসলিম দেশকে সাপোর্ট করে, তাহলেও তার ঈমান ভংগ হবে না।তবে এসব খেলা দেখা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।