আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।   আমার ফুটবল খেলা দেখার খুব নেশা।   আমি নিয়মিত ক্লাব ফুটবল খেলা দেখি।    আমি শায়েখ আহমদুল্লাহ এর একটি ভিডিও তে দেখলাম যে   ফুটবল খেলা দেখা হারাম।    ফুটবল খেলা দেখা ঈমানের জন্য খতিকর। কারন এখানে কাফেরদেরকে সাপোর্ট করা হয়। এজন্য ফুটবল খেলা দেখা ঈমানের জন্য খতিকর।এখন আমার প্রশ্ন হল-

১. আমি রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবের সাপোর্টার।    সেখানে ফ্রান্সের কিছু খেলোয়াড় খেলে থাকে।  সেদিন একটি ভিডিও তে দেখলাম যে ফ্রান্সের পুলিশ মুসলমানদের কে মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং নির্যাতন করছে।  এখন আমি যদি রিয়াল মাদ্রিদ সাপোর্ট করি এবং রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখি তাহলে কি ফ্রান্সকে সাপোর্ট করা হবে?  যদিও আমি ফ্রান্সকে সাপোর্ট করি না। রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখার কারনে কি আমার ঈমান ভংগ হবে?  এর কারনে কি আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?   (রিয়াল মাদ্রিদ হচ্ছে স্পেন এর একটি ফুটবল ক্লাব)।

২.আমি যদি মাঝে মাঝে রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখি তাহলে কি এর কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  এর কারনে কি আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?

৩. কোন মুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের সাথে কোন অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের খেলা হলে কেউ যদি অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবকে সাপোর্ট করে তাহলে কি ঈমান ভংগ হবে?

৪.কোন মুসলিম দেশের সাথে কোন অমুসলিম দেশের খেলা হলে কেউ যদি অমুসলিম দেশকে সাপোর্ট করে তাহলে কি তার ঈমান ভংগ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
ইসলাম এ বিষয়ে জোর দেয় যে,মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত এমন কাজে ব্যয় করবে যাতে দুনিয়া ও আখেরাতের নিশ্চিত কল্যাণ রয়েছে।কমপক্ষে যেন দুনিয়া ও আখেরাতের কোনো ক্ষতি না হয়।এ জন্যই কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত,
(মু'মিনুন-৩) 

اللغو: وهو كل سقط من قول او فعل فيدخل فيه الغناء واللهو و غير ذلك مما قاربه
অর্থাৎ- লাগু ঐ সকল অনর্থক কথাবার্তা ও কাজ-কর্ম যাতে গান-বাদ্য রং তামাশা ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
(কুরতুবি:১৩/৮০)


উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস সমূহ থেকে বুঝা গেল যে, ইসলামী শরীয়তে সময়ের প্রতি যত্নশীল হওয়া ও লক্ষস্থির জীবন গঠনের নির্দেশ হয়েছে।
খেলাধুলা ও রং তামাশা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।কিন্তু বিনোদন নয়;বরং বললে ভুল হবে না যে,যেই বিনোদনের অর্থ হলো আনন্দ ও খুশি লাভ করা। শরয়ী আনন্দ সম্ভলিত সেই বিনোদন ইসলামে কেবল অনুমোদিতই নয়;বরং এক পর্যায়ে প্রশংসনীয় ও বটে।যাতে করে শারিরিক অলসতা ও অবসাদ কেটে যায় এবং মনোবল ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় আর মানুষ প্রফুল্লতার সাথে জীবনের শ্রেষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে মনোযোগী হতে পারে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/673



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখার কারনে আপনার ঈমান ভংগ হবে না।  এর কারনে আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবে না। তবে এসব খেলাধুলাকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করবেন।এসব দেখা গোনাহ।

(২)রিয়াল মাদ্রিদ এর খেলা দেখার কারণে আপনার ঈমানে কোন সমস্যা হবে না।  এর কারনে  আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবে না।

(৩)কোন মুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের সাথে কোন অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবের খেলা হলে, কেউ যদি অমুসলিম দেশের ফুটবল ক্লাবকে সাপোর্ট করে, তাহলে ঈমান ভংগ হবে না। তবে এসব খেলা দেখা সম্পূর্ণ পরিহার করতে হবে।মুসলিম বা অমুসলিম কারো খেলা দেখা কখনো জায়েয হবে না।সমর্থন করাও জায়েয হবে না।

(৪) কোন মুসলিম দেশের সাথে কোন অমুসলিম দেশের খেলা হলে কেউ যদি অমুসলিম দেশকে সাপোর্ট করে, তাহলেও তার ঈমান ভংগ হবে না।তবে এসব খেলা দেখা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...