আসসালমুআলাইকুম হুজুর, আমি ৪ বছর ধরে ocd রোগের ওষধ খাচ্ছি। আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী।
১. গত কাল কে একটা ছোট ছেলে অজু করছিল , আমাদের গ্রামের একটা লোক ওই বাচ্চা ছেলে টাকে বলছে " কি রে অজু করছিস নাকি ঘুমাচ্ছিস? ভালো করে চোখে মুখে পানি দে" এই কথা বলে ওই লোকটা হাসছিল , তাই দেখে আমি একটু হাসলাম । হুজর আল্লাহ কসম এই খানে আমি অজু কে নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করে হাসিনাই এমনি নরমালি হেসেছিলাম । আমি জানিনা ওই লোকটা কি কারণে হেসেছে। আমি আল্লাহ কসম করে বলছি আমি এমনি হেসেছি। অজু কে নিয়ে কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি আল্লাহ কসম । এক্ষেত্রে কি আমর ঈমান চলে যাবে?
২. আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করছে বলছে , যে শুনছি যে কিয়ামত হবে নাকি কিয়মতের আলামত হবে ফেস বুক, ইউটিউব এ সব বলছে তাই দেখছি। কি ব্যাপার বলো, আমি তখন বলেছি " আমার নবী সাঃ যদি ভবিষ্যত বাণী করে থাকেন তাহলে টা অবশ্যই সত্য হবে।" টা ছাড়া এই বিষয় এ আমর জানা নেই । আমি তাই বলেছি। এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে?
৩. ওয়াসওয়াসা র জন্য তার পর হুজুর মনে মনে নানা রকমের সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছিলো। মনে হচ্ছে আমি নবী সাঃ এর কথার বাইরে চলে যাচ্ছি আস্তাগিরুল্লাহ, আমি কোনো কিছু মানছি না এই রকম শুধু মনে হচ্ছে আমি মুখে একদম উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আর আমি এই গুলো মন থেকে বলছিনা । আল্লাহ কসম আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আমার কি ঈমান চলে যাবে?
৩.১ আপনাদের কে বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
৪. হুজুর আমি আমর স্ত্রী কে খুব খুব খুবই ভালোবাসি এবং সে ও আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমি মানসিক রোগের ওষুধ যাচ্ছি। আর আপনাদের এই খানে না না রকমের প্রশ্ন করার জন্য সে রেগে গিয়েছে , বলছে কতবার প্রশ্ন করো আর এইসব করতে গিয়ে সংসার এর দিক এ কোনো খেয়াল নেই। এই সব নিয়ে একটু মন কষা কষি হয়ে জাই। এবং আমি দুঃখ করে বলেছি আমার জন্য তোমার জীবন টা নষ্ট হয়ে গেলো।আমর ও প্রচন্ড রাগ হয়ে জাই আমার । আমার স্ত্রী বলছে কোনো কাজ হচ্ছে না শুধু প্রশ্ন করাই কাজ ইত্যাদি বলছিলো। আমি রেগে গিয়ে বললাম আমাদের তো একটাই জীবন তাহলে এত সমস্যা কেনো, তখন স্ত্রী বললো আমাদের আলাদা জীবন , আমি বললাম কেনো , স্ত্রী বলছে তুমি আলাদা লাইন এ পড়াসোনা করো , আমি আলাদা লাইন এ পড়াশোনা করি। সেই জন্য বললাম আলাদা জীবন। দিয়ে স্ত্রী বলছে,আমার চাওয়ার কোনো মূল্য নেই। আমার কথার কোনো মূল্য নেই। স্ত্রী যখন চাওয়ার কথা বললো তখন আমর ভয় হয়ে গেলো যে কি চাওয়ার কথা বলছে তালাক এর কথা বলবে না তো। দিয়ে আমি আরো রেগে গিয়েছিলাম দিয়ে মনে মনে ভাবনা হলো যদি চাই তঃ দিয়ে দিবো এমন মনে মনে ভাবনা হচ্ছে, আমি আল্লাহ কসম করে বলছি আমি মুখে কোনো উচ্চরণ করিনি। দিয়ে বলছি বলো তোমার কি চাই বলো । দিয়ে স্ত্রী বলছে আমি চাই তুমি একটা চাকরি করো। আমি একটা চাকরি করতাম ছেড়ে দিয়েছি । তাই স্ত্রী আবার চাইছে আমি যেনো চাকরী করি। । এই কথা শুনে আমার সমস্ত চিন্তা দূর হয়ে গেলো। আর আমার রাগ ও হয়নি। হুজুর এখন সব কিছু ঠিক আছে আমি আমার স্ত্রী র সঙ্গে ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু ঠিক করে নিয়েছি। আমি আমার স্ত্রী কে ছাড়া শেষ হয়ে যাবো । আমি খুব ভালোবাসি।
**হুজুর আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? কোনো তালাক হবে নাকি? বা তালাকের মজলিস হবে নাকি?
*** আমি তো মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম তাহলে কি কোনো তালাক হবে?? খুব ভয় হচ্ছে হুজুর।
৫. আপনাদেরকে সব কিছু ভেঙে বললাম, এবং সেই শব্দ টা ও বোঝানোর ক্ষেত্রে লিখলাম তার জন্য কি আমাদের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে??
৬. হুজুর শর্ত তালাক দেয়ার পর যদি সেই কথা মনে না পড়ে, ভুলেই জাই তাহলে কি তালাক হবে বা স্ত্রী সেই কাজ করলো কিন্তু আমার কোনো কথাই মনে নেই, আর মনে পড়ছে ও না ?? মনেই পরে না কি বলেছি না বলেছি আল্লাহ কসম ।তাহলে কি শর্ত তালাক হবে। মনেই পড়েনা। সন্দেহ হয়। কিন্তু মনেই পড়ে না ।
৭. হুজুর আমর স্ত্রী বলছে তুমি ওয়াসওয়াসা রুগী তোমার কিছু হবে না। তুমি প্রশ্ন করোনা। আমি আমার মন কে বোঝাতে পারিনি তাই প্রশ্ন করে দিয়েছি, হুজর । দিয়ে স্ত্রী বলছে তুমি হাদীস বিরোধী কাজ করছ। কারণ তোমার তহ কিছু হবে তাহলে প্রশ্ন কেনো করছ আমার স্ত্রী র কথা এটা। আমাকে যখন বলেছে তুমি প্রশ্ন করে হাদীস বিরোধী কাজ করছ। এই কথা শুনে আমি স্ত্রীকে ২ থাপ্পর মেরেছি। হুজর আমি আর প্রশ্ন করবনা ।
আল্লাহ কসম করে বলছি আমি এত কিছু না ভেবে প্রশ্ন করে ফেলেছি। হুজুর জাই হউক ভুল হয়েছে । আমাদের বোঝা বুঝি তে ভুল হয়েছে । হুজুর এর জন্য কি আমাদের ঈমান চলে যাবে?
***আর যদি কোনো দিন দরকার এ প্রশ্ন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে??
৮. হুজুর আমি জানি আল্লাহ কসম ছাড়া আর কারো কসম করা যায়না। হুজুর আমার ভুল বশত মাইরি (মানে মা এর কসম) বলে ফেলেছি। আল্লাহ কসম ভুল বশত মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তৌবা করে নিয়েছি। একদম ভুল বশত হয়ে গিয়েছে । আল্লাহ কসম মুখ থেকে ভুল বসত বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
***আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
৯. হুজুর আমাদের একটা ঘর এ কোরআন শরীফ আছে। সেই ঘর এ সহবাস করলে বা উলঙ্গো হয়ে পোশাক পরিবর্তন করলে কি ঈমান চলে যাবে? এতদিন না জেনে বুঝে করেছি , হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? এইভাবে ড্রেস চেঞ্জ করা যাবে?
১০. একটা ছেলে ও একটা মেয়ের ৩ বছর এর সম্পর্ক ছিল। তারা যেনা করেছে। তার পর তারা ভাবে এইসব করে পাপ করার থেকে বিয়ে করা অনেক ভালো , আল্লাহর প্রতি ভয় হয়েছে, দিয়ে দুজন দুজন এর বাড়িতে বলে এবং বাড়ি থেকে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দেয়। এবং তারা এখন ভালো আছে আলহামদুিল্লাহ। হুজুর এই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে??
তারা যেনা করার পর বিয়ে করেছে এই জন্য বিবাহের কোনো সমস্যা হবে নাকি??
১১. কাফের কে কাফের না বললে নিজে কাফের হয়ে যাবে?? একটা জায়গাতে লেখা ছিল তাই দেখে আমার ওয়াসওয়াসা হয়েছে। মনে হচ্ছে আমি কাফের কে কাফের বলছিনা ইত্যাদি।
হুজুর কাফের কে কাফের না বললে কি নিজে কাফের হয়ে যাবে??( এইটা একটু বুঝিয়ে বলবেন) আর আমি নবী সাঃ এর সমস্ত কথা র ওপর বিশ্বাস করি। ও আল্লাহ ও আখেরাত এ বিশ্বাস করি।
আমার কি ঈমানের কোনো সমস্যা হবে??