আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর, আমি ৪ বছর ধরে ocd রোগের ওষধ খাচ্ছি। আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী।
১. গত কাল কে একটা ছোট ছেলে অজু করছিল , আমাদের গ্রামের একটা লোক ওই বাচ্চা ছেলে টাকে বলছে " কি রে অজু করছিস নাকি ঘুমাচ্ছিস?  ভালো করে চোখে মুখে পানি দে" এই কথা বলে ওই লোকটা হাসছিল , তাই দেখে আমি একটু হাসলাম । হুজর আল্লাহ কসম এই খানে আমি অজু কে নিয়ে কোনো ঠাট্টা বা তামাশা করে হাসিনাই এমনি নরমালি হেসেছিলাম । আমি জানিনা ওই লোকটা কি কারণে হেসেছে। আমি আল্লাহ কসম করে বলছি আমি এমনি হেসেছি। অজু কে নিয়ে কোনো ঠাট্টা তামাশা করিনি আল্লাহ কসম । এক্ষেত্রে কি আমর ঈমান চলে যাবে?
২. আমাকে একজন জিজ্ঞাসা করছে বলছে , যে শুনছি যে কিয়ামত হবে নাকি কিয়মতের আলামত হবে ফেস বুক, ইউটিউব এ  সব বলছে তাই দেখছি। কি ব্যাপার বলো, আমি তখন বলেছি " আমার নবী সাঃ যদি ভবিষ্যত বাণী করে থাকেন তাহলে টা অবশ্যই সত্য হবে।" টা ছাড়া এই বিষয় এ আমর জানা নেই । আমি তাই বলেছি। এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে?
৩. ওয়াসওয়াসা র জন্য   তার পর হুজুর মনে মনে নানা রকমের সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছিলো। মনে হচ্ছে  আমি নবী সাঃ এর কথার বাইরে চলে যাচ্ছি আস্তাগিরুল্লাহ, আমি কোনো কিছু মানছি না এই রকম শুধু মনে হচ্ছে আমি মুখে একদম উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?? আর আমি এই গুলো মন থেকে বলছিনা । আল্লাহ কসম আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। আমার কি ঈমান চলে যাবে?
৩.১ আপনাদের কে বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
৪. হুজুর আমি আমর স্ত্রী কে খুব খুব খুবই ভালোবাসি এবং সে ও আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমি মানসিক রোগের ওষুধ যাচ্ছি। আর আপনাদের এই খানে না না রকমের প্রশ্ন করার জন্য সে রেগে গিয়েছে ,  বলছে কতবার প্রশ্ন করো আর এইসব করতে গিয়ে সংসার এর দিক এ কোনো খেয়াল নেই। এই সব নিয়ে একটু মন কষা কষি হয়ে জাই।  এবং আমি দুঃখ করে বলেছি আমার জন্য তোমার জীবন টা নষ্ট হয়ে গেলো।আমর ও প্রচন্ড রাগ হয়ে জাই আমার । আমার স্ত্রী বলছে কোনো কাজ হচ্ছে না শুধু প্রশ্ন করাই কাজ ইত্যাদি বলছিলো। আমি রেগে গিয়ে বললাম আমাদের তো একটাই জীবন তাহলে এত সমস্যা কেনো, তখন স্ত্রী বললো আমাদের আলাদা জীবন , আমি বললাম কেনো , স্ত্রী বলছে তুমি আলাদা লাইন এ পড়াসোনা করো , আমি আলাদা লাইন এ পড়াশোনা করি। সেই জন্য বললাম আলাদা জীবন। দিয়ে স্ত্রী বলছে,আমার চাওয়ার কোনো মূল্য নেই। আমার কথার কোনো মূল্য নেই।   স্ত্রী যখন চাওয়ার কথা বললো তখন আমর ভয় হয়ে গেলো যে কি চাওয়ার কথা বলছে তালাক এর কথা বলবে না তো। দিয়ে আমি আরো রেগে গিয়েছিলাম দিয়ে মনে মনে ভাবনা হলো যদি চাই তঃ দিয়ে দিবো এমন মনে মনে ভাবনা হচ্ছে, আমি আল্লাহ কসম করে বলছি আমি মুখে কোনো উচ্চরণ করিনি। দিয়ে বলছি বলো তোমার কি চাই বলো । দিয়ে স্ত্রী বলছে আমি চাই তুমি একটা চাকরি করো। আমি একটা চাকরি করতাম ছেড়ে দিয়েছি । তাই স্ত্রী আবার চাইছে আমি যেনো চাকরী করি। । এই কথা শুনে আমার সমস্ত চিন্তা দূর হয়ে গেলো। আর আমার রাগ ও হয়নি। হুজুর  এখন সব কিছু ঠিক আছে আমি আমার স্ত্রী র সঙ্গে ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু ঠিক করে নিয়েছি। আমি আমার স্ত্রী কে ছাড়া শেষ হয়ে যাবো । আমি খুব ভালোবাসি।
**হুজুর আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো? কোনো তালাক হবে নাকি? বা তালাকের মজলিস হবে নাকি?

*** আমি তো মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম তাহলে কি কোনো তালাক হবে?? খুব ভয় হচ্ছে হুজুর।
৫. আপনাদেরকে সব কিছু ভেঙে বললাম, এবং সেই শব্দ টা ও বোঝানোর ক্ষেত্রে লিখলাম  তার জন্য কি আমাদের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবে??

৬. হুজুর শর্ত তালাক দেয়ার পর যদি সেই কথা মনে না পড়ে, ভুলেই জাই  তাহলে কি তালাক হবে বা স্ত্রী সেই কাজ করলো কিন্তু আমার কোনো কথাই মনে নেই, আর মনে পড়ছে ও না ?? মনেই পরে না কি বলেছি না বলেছি আল্লাহ কসম ।তাহলে কি শর্ত তালাক হবে। মনেই পড়েনা। সন্দেহ হয়। কিন্তু মনেই পড়ে না ।
৭. হুজুর আমর স্ত্রী বলছে তুমি ওয়াসওয়াসা রুগী তোমার কিছু হবে না। তুমি প্রশ্ন করোনা। আমি আমার মন কে বোঝাতে পারিনি তাই প্রশ্ন করে দিয়েছি, হুজর । দিয়ে স্ত্রী বলছে তুমি হাদীস বিরোধী কাজ করছ। কারণ তোমার তহ কিছু হবে তাহলে প্রশ্ন কেনো করছ আমার স্ত্রী র কথা এটা। আমাকে যখন বলেছে তুমি প্রশ্ন করে হাদীস বিরোধী কাজ করছ। এই কথা শুনে আমি স্ত্রীকে ২ থাপ্পর মেরেছি। হুজর আমি আর প্রশ্ন করবনা ।
আল্লাহ কসম করে বলছি আমি এত কিছু না ভেবে প্রশ্ন করে ফেলেছি। হুজুর জাই হউক ভুল হয়েছে । আমাদের বোঝা বুঝি তে ভুল হয়েছে । হুজুর এর জন্য কি আমাদের ঈমান চলে যাবে?

***আর যদি কোনো দিন দরকার এ প্রশ্ন করি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে??

৮. হুজুর আমি জানি আল্লাহ কসম ছাড়া আর কারো কসম করা যায়না। হুজুর আমার ভুল বশত মাইরি (মানে মা এর কসম) বলে ফেলেছি। আল্লাহ কসম ভুল বশত মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তৌবা করে নিয়েছি। একদম ভুল বশত হয়ে গিয়েছে । আল্লাহ কসম মুখ থেকে ভুল বসত বেরিয়ে গিয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
***আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৯. হুজুর আমাদের একটা ঘর এ কোরআন শরীফ আছে। সেই ঘর এ সহবাস করলে বা উলঙ্গো হয়ে পোশাক পরিবর্তন করলে কি ঈমান চলে যাবে? এতদিন না জেনে বুঝে করেছি , হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? এইভাবে ড্রেস চেঞ্জ করা যাবে?

১০. একটা ছেলে ও একটা মেয়ের ৩ বছর এর সম্পর্ক ছিল। তারা যেনা করেছে। তার পর তারা ভাবে এইসব করে পাপ করার থেকে বিয়ে করা অনেক ভালো , আল্লাহর প্রতি ভয় হয়েছে, দিয়ে দুজন দুজন এর বাড়িতে বলে এবং বাড়ি থেকে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দেয়।  এবং তারা এখন ভালো আছে আলহামদুিল্লাহ। হুজুর এই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে??
তারা যেনা করার পর বিয়ে করেছে এই জন্য বিবাহের কোনো সমস্যা হবে নাকি??

১১. কাফের কে কাফের না বললে নিজে কাফের হয়ে যাবে?? একটা জায়গাতে লেখা ছিল তাই দেখে আমার ওয়াসওয়াসা হয়েছে। মনে হচ্ছে আমি কাফের কে কাফের বলছিনা ইত্যাদি।

হুজুর কাফের কে কাফের না বললে কি নিজে কাফের হয়ে যাবে??( এইটা একটু বুঝিয়ে বলবেন) আর আমি নবী সাঃ এর সমস্ত কথা র ওপর বিশ্বাস করি। ও আল্লাহ ও আখেরাত এ বিশ্বাস করি।
আমার কি ঈমানের কোনো সমস্যা হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(১,২,৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(৩.১)
আমাদেরকে বলার কারনে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে,এখানে কোনো তালাকের মজলিস হবেনা, কোনো তালাক হবেনা। 

(০৫)
এর জন্য আপনাদের বৈবাহিক জীবনে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
এতে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।

(০৭)
এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
এরপরেও প্রশ্ন করলে ঈমান চলে যাবেনা।

(০৮)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে

(০৯)
সেই ঘর এ সহবাস করলে বা উলঙ্গ হয়ে পোশাক পরিবর্তন করলে ঈমান চলে যাবেনা।

এইভাবে ড্রেস চেঞ্জ করা যাবেনা।

(১০)
এই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে।
তারা যেনা করার পর বিয়ে করেছে, এই জন্য বিবাহের কোনো সমস্যা হবে না।

(১১)
আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...