আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
486 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,
https://ifatwa.info/43540/ এই লিংকে ৩ নম্বর প্রশ্ন এ বলা হয়েছে যেহেতু আমি নিশ্চিন্ত নয় তাই হুরমত হবে না।

হুজুর আমি মানসিক রোগের ওষধ যাচ্ছি তাই সমস্ত ঘটনা ভুলে যাচ্চি। ১ বছর হয়ে গেল  হুজুর আমার এখন মনে হচ্ছে ,
যখন আমার ঘুম ভাঙ্গলো তখন আমি খুবই উত্তেজিত ছিলাম , উত্তেজিত হয়ে স্পর্শ করেছি কিন্তু লিঙ্গ খাড়া হয়নি, , স্পর্শ করার আগে লিঙ্গ খাড়া ছিল কি ছিল না মনে পড়ছে না । হয়ত লিঙ্গ একটু খাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু স্পর্শ করার পর লিঙ্গ খাড়া হয়নি। , আবার এখন মনে হচ্ছে লিঙ্গ খাড়াই হয়নি। যা হয়েছে  স্পর্শ করার আগেই হয়েছে। স্পর্শ করে নতুন করে আর খাড়া হয়নি। বা উত্তেজনা বৃদ্ধি পাইনি।
১. এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে?

২. আমার আব্বু মার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৩. মানসিক রোগী আমি ওষধ খাচ্ছি , ওষধ এর সাইড এফেক্ট এর ফলে সব কিছু ভুলে যাচ্ছি। সঠিক মনে পড়ছে না ।
সঠিক মনে না পড়লে কি হুরমত হবে? এই প্রশ্ন টা অনেক দিন আগের তখনও সঠিক কিছু মনে পড়েনি।  এখনো সঠিক কিছু মনে পড়ছে না । আমি ওয়াসওয়াসা র জন্য  না না রকমের সন্দেহ হচ্ছে , মনে মনে নতুন নতুন ভাবনা হচ্ছে যা হয়ত বাস্তবে হয়নি। হুজুর আমার তহ সঠিক মনে পড়ছে না এতদিন হয়ে গেলো এখনও সঠিক টা মনে পড়ছে না । তাহলে কি হুরমত হবে??
৩.১ আমি মানসিক রুগী আমাকে অনেক ওষধ খেতে হয়, তার সাইড ইফেক্ট অনেক তার মধ্যে ভুলে যাওয়া একটা সাইড এফেক্ট। অনেক কিছু ই ভুলে জাই।  হুরমত এর অনেক কথা মনে পড়েনা  । হুজুর ওষধ এর জন্য যদি ভুলে যাই তাহলে কি হুরমত হবে,?? আল্লাহ কসম হুজুর আমি অনেক মনে করার চেষ্টা করেছি। ১ বছর আগে তখন তো মনে পড়েনি আর এখন তো পড়ছে না। এর জন্য কি হুরমত হবে,?? চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।
৩.২  হুজুর আগেই বললাম আমাকে প্রচুর পরিমাণে ওষধ খেতে হয়, মানসিক রোগের, হুজুর এই ঘটনা টা যখন ঘটে তখন আমি একটা ওষধ খেতাম জার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো লিঙ্গ সহজে খাড়া হবে না। আমি জানিনা মনে পড়ছে না আমার লিঙ্গ খাড়া হয়েছে কি হয়নি, হুজুর যদি আমার মানসিক রোগের ওষধ খাবার জন্য লিঙ্গ খাড়া না হয়, তাহলে কি সে ক্ষেত্রে হুরমত হবে?  আমাকে তো ওষধ খেতেই হচ্ছিলো না হলে সুস্থ হতাম না। এখনো ওষধ খাই তবে এই ওষধ এ সাইড ইফেক্ট কম। হুজুর আমার মানসিক রোগের ওষধ খাবার জন্য যদি লিঙ্গ সহজে খাড়া না হয় তাহলে কি এক্ষেত্রে হুরমত হবে? আমি বড়ো অসহায়। হুজর খুব চিন্তা হচ্চে। https://ifatwa.info/54661/ এই লিঙ্কে প্রথম প্রশ্ন ছিল আপনি বলেছেন হুরমত হবে না । ওষুধের সাইড এফেক্ট এর জন্য।
ওয়াসওয়াসা রুগী আমি ।  এক্ষেত্রে কি হুরমত হবে?

৪.আমি কি নিশ্চিন্ত ভাবে থাকতে পারি। এই সব কথা ন না মনে করে আমি কি আর ৫ জনের মত করে চিন্তা হীন ভাবে থাকতে পারি??

৫। মনে মনে জাই চিন্তা আসুক না কেনো  সন্দেহর ভিত্তিতে বা মনে না পড়ার কারণে কি হুরমত হবে?  হুজুর ওয়াসওয়াসা র জন্য নানা রকম কথা মনে হচ্ছে যেগুলো হয়ত বাস্তবে কিছুই হয়নি ওয়াসওয়াসা র আমার রোগের জন্য এমন মনে হচ্ছে, মনে হচ্ছে লিঙ্গ খাড়া ছিল। এটা মনে হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে লিঙ্গ খাড়া ছিল কিনা জানিনা। ওয়াসাসার জন্য না না ধরনের কথা মনে হচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কি হয়েছে। মনে নেই। ওয়াসাশার জন্য এই নানা রকমের কথা মনে হলে কি হুরমত হবে?

৬. আমার তো সঠিক মনে পড়ছে না অনেক দিনই হয়ে গেলো। বার বার মাথায় প্রেসার দিয়ে মনে করার দরকার আছে নাকি হুজুর?? শেষ হয়ে যাচ্চি।

***** হুজুর আমার খুব ভয় হচ্ছে , ওয়াসাওয়ার জন্য , আমি ফোনে কাবা শরীফ এর ছবি দেখছি মনে হচ্ছে লাইক না করলে হয়তো ঈমান চলে যাবে, আবার কিছু একটা ইসলামের বাণী লেখা আছে ভয় হচ্ছে কি লেখা আছে আরবী তহ পড়তে পারিনা,  তার পর দেখছি যখন নবী সা: বলেছেন তাহলে লাইক করতেই হবে। ভয় হচ্ছে হয়ত এমন কিছু লেখা আছে লাইক করলে ঈমান চলে যাবে, এই সব হচ্ছে মনে মনে দিয়ে আবার ভাবছি আমার এই রকম ভাবনা হলে হয়তো ঈমান চলে যাবে সেই জন্য আবার লাইক করে দিচ্ছি। আমার ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হচ্ছে খুব কষ্ট হচ্ছে হুজুর, এই রকম  হলে কি ঈমান চলে যাবে?? খুব ভয় হচ্ছে।

*** হুজর আমি ভাবছিলাম মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এর কাজ করবো । দিয়ে একটা বন্ধু বলছে ওই কাজ করিস না । মনে হয় যেনো সবার গোলাম। সবাই যা বলবে তাই করতে হবে। মনে হয় যেনো সবার গোলাম। আমি বললাম হ্যাঁ ঠিক বলেছো। দিয়ে আমি বলছি আমি করবো না। হুজুর সবার গোলাম বললো আমি হ্যা বলেছি নরমালি এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি নরমালি  কথা হচ্ছিলো দিয়ে এমন টা বলা হয়েছে চাকরী টা কে , গোলাম বলার জন্য কি ঈমান চলে যাবে? আমি হ্যাঁ বললাম এর জন্য কি ঈমান চলে যাবার? আল্লাহ কসম হুজুর এমনি বলেছি কথার কথা । এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

**** মনে মনে অনেক কুফরী কথা মনে হচ্ছে কিন্তু মুখে উচ্চরণ করছিনা ।এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে? মনে যদি হাজারো কুফরী কথা মনে মনে হয় কিন্তু মুখে উচ্চরণ না করি তাহলে ঈমান চলে যাবে না তো??

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ


হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

ই'লাউস সুনান ১১/১৩১

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

৩-
স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। 
আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা। 

১. এক্ষেত্রে হুরমত হবেনা।

২. আপনার আব্বু আম্মুর বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক

(৩- ৩.১- ৩.২)
এক্ষেত্রে হুরমত হবেনা।

(০৪)
আপনি আর ৫ জনের মত করে চিন্তাহীন ভাবে থাকতে পারেন।

(৫.৬)
এক্ষেত্রে হুরমত হবেনা।

আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোনো সমস্যা নেই।

★প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার ঈমান চলে যায়নি।
আপনার ঈমান পূর্বের ন্যায় বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...