ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিজে নফসের গোলাম না হয়ে নফসকে নিজের গোলাম বানাতে হবে।
খাবার কম খেতে হবে,পানি পান করতে হবে। তারপরেও ঘুম আসলে ২/৪ টি কালো মরিচ চিবিয়ে নিতে হবে।
শাইখুল হাদীস আল্লামা যাকারিয়া রহঃ এর আপবীতী ও ফাজায়েলে সাদাকাত বেশি বেশি পাঠ করবেন।
প্রত্যেক কমপক্ষে আধাঘন্টা পড়বেন।
প্রত্যেক নামাজের পর এই দোয়া তিনবার করে পড়বেন।
اللہم إني أعوذ بک من عین لا تشبع
তারপরেও যখন প্রবল ঘুম আসে,তখন অল্প কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিবেন।
চিনি ও তৈলাক্ত,চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করে চলার চেষ্টা করবেন।
,
পুষ্টি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি সালাদ, মসুর ডাল এবং প্রচুর ফল ও শাকসব্জি সমৃদ্ধ একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা তৈরি করুন। সাধারণত যে খাবারে মেদ বেশি থাকে তা আমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে ফেলে।
সকালে ফজরের পর কোনোভাবেই ঘুমানো যাবেনা,
দিনের মাঝামাঝি সময়ে এক ঘন্টার মতো ঘুমিয়ে নিবেন।
ফজরের পরের সময় টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়।
এই সময় ঘুমানো ঠিক নয়।
রাসুল সাঃ এই সময়ে উম্মতের জন্য বরকতের দূয়া করেছেন,সুতরাং এই সময়ে কেহ ঘুমাইলে সে বরকত থেকে বঞ্চিত হবে।
রাসুল সাঃ দোয়া করতেন, তিনি বলতেনঃ
اللَّهُمَّ بَارِكْ لأُمَّتِي فِي بُكُورِهَا
‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ জন্যই রাসুল (সা.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। আর সাখর (রা.) ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনিও তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয় এবং তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন।’ [আবু দাউদ : ২৬০৬]
ছাহাবায়ে কেরাম,তাবেয়ীন ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করেতেন। উরওয়া ইবনু যুবাইর (রহ.) বলেন, যুবাইর (রা.) তাঁর সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন,
إِنِّي لَأَسْمَعُ بِالرَّجُلِ يَتَصَبَّحُ فَأَزْهَدُ فِيهِ
‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ [মুসান্নাফ ইবনু আবি শাইবা, ৫/২২২]
আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রা.) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন,
أتنام في الساعة التي تُقسَّم فيها الأرزاق؟
‘ওঠো, তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ [যাদুল মাআ’দ : ৪/২৪১
★যখনই ঘুম পাচ্ছে তখনই মুখ ধুয়ে নেওয়া। এটি অন্যতম পরীক্ষিত পদ্ধতি
একটানা অনেকক্ষন একই কাজ করবেননা।
,
আপনার কখন ঘুম থেকে ওঠা জরুরি তার উপর ভিত্তি করে ১-২টি অ্যালার্ম ঠিক করে রাখুন। প্রতিদিন একই সময় ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
অ্যালার্ম ঘড়িটি হাতের থেকে দূরে রাখুন। এতে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য হলেও আপনাকে বিছানা ছেড়ে ওঠা লাগবে।
যখন অ্যালার্ম বাজবে তখনই উঠে পড়বেন।