আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
আসসালামুআলাইকুম

আমার আম্মুর বিয়ের স্বর্ণ আম্মু আমাদের বোনদের ভাগ করে দিয়েছেন কিন্তু এখনও আম্মুর কাছে গচ্ছিত আছে। বিক্রয় যোগ্য মূল্য ১লক্ষ ১৬হাজার। আর আম্মুর নিজস্ব স্বর্ণের মূল্য ১২হাজার। ব্যাবসায়িক খাতে আছে ৫৩হাজার টাকা ২ বছর সময় ধরে।

আর ১বছর হয়নি এমন টাকা আছে ১৮হাজার।

আম্মু গৃহিণী। আয়ের কোনো উৎস নেই।যাকাত এই টাকা ভেঙে দিতে হবে।

এখন বিয়ের স্বর্ণের ওপর কি যাকাত আসবে আম্মুর?

আর যদি আসে তাহলে যাকাত কত দিতে হবে আর না আসলে কিভাবে হিসাব করব‌‌?

সময়টা সঠিক জানে না। আগে যাকাত দেয়নি।২ বছর বা কাছাকাছি সময় হবে।

একটু যাকাত হিসাব করে দেন।

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বর্ণের ক্ষেত্রে যাকাতের নিসাব হল বিশ মিসকাল। -সুনানে আবু দাউদ ১/২২১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক  হাদীস ৭০৭৭, ৭০৮২
আধুনিক হিসাবে সাড়ে সাত ভরি।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى قَالَا حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى أَنْبَأَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْخُذُ مِنْ كُلِّ عِشْرِينَ دِينَارًا فَصَاعِدًا نِصْفَ دِينَارٍ وَمِنْ الْأَرْبَعِينَ دِينَارًا دِينَارًا

ইবনু ‘উমার ও ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বিশ দিনার বা তার চেয়ে কিছু বেশি হলে অর্ধ দিনার এবং চল্লিশ দিনারে এক দিনার (যাকাত) গ্রহণ করতেন।

ইবনে মাজাহ ১৭৯১ ইরওয়াহ ৮১৩।
দারাকুতনী ১৮৭৯, ১৮৯২।

সাড়ে ৫২ ভরি রুপা হলে তার উপর যাকাত ফরজ। 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».  
[صحيح] - [متفق عليه]

আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)

শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ  নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)

আরো জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার আম্মু যেই স্বর্ণ আপনাদেরকে ভাগ করে দিয়েছেন,এটা কি আপনাদের হাতে দিয়ে দিয়েছিলেন? নাকি শুধু মুখে মুখেই বলে রেখেছেন,আপনাদের হাতে এখনো তুলে দেয়নি?

বিষয়টি যদি এমন হয় যে এটি আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছিলো,কিন্তু আপনারা আপনার মায়ের কাছেই গচ্ছিত রেখেছেন,সেক্ষেত্রে এটির যাকাত আপনার মায়ের দিতে হবেনা

সেক্ষেত্রে আপনার মায়ের মালিকানায় মোট থাকে ১২০০০+৫৩০০০=৬৫০০০ টাকা।
এটি নেসাব পরিমান সম্পদ নয়।
নেসাব হলো ৭৩৫০০ টাকা (এলাকা ভেদে কিছু  কমবেশি হতে পারে।)
তাই এ টাকার যাকাত দিতে হবেনা।
,
★আর যদি আপনার মা উক্ত স্বর্ণ আপনাদের হাতে তুলে না দিয়ে থাকে,শুধু মুখে মুখেই বলে রেখে থাকে,সেক্ষেত্রে এটির যাকাত আপনার মায়ের দিতে হবে।

এক্ষেত্রে মোট ১১৬০০০+১২০০০+৫৩০০০=১৮১০০০ টাকা হয়।
যার শতকরা আড়াই পার্সেন্ট হয় ৪৫২৫ টাকা। 
এই ৪৫২৫ টাকা আপনার মাকে এখন এই বছরের যাকাত দিতে হবে।
যাকাত এই টাকা ভেঙ্গে হলেও দিতে হবে বা অন্যত্র হতে করজ নিয়ে হলেও যাকাত দিতে হবে।

এক্ষেত্রে যেহেতু দুই বছর ধরে যাকাত দেননি,তাই আগের বছরের যাকাতও তখন কার সম্পদের হিসাব করে শতকরা আড়াই পার্সেন্ত যাকাত দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 140 views
...