১. আমার বয়স যখন ১৩/১৪ এইরকম তখন আমার একটা মানসিক সমাজ দেখা দেয় আমি শুধুই ভাবতাম যে আমি হয়তো মারা যাবো, আজ/কাল, এরকম অবস্থা ছিলো। যতোটুকু মনে হচ্ছে এই সমস্যা যখন ধীরে লয়ে শুরুর হচ্ছিলো তখন নিজের মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য একটি হাত দেখার ( জোতিষি ) বই বের করে দেখি আয়ু রেখা কোনটা পরে তা, হাতের সাথে মিলাই, তখন সেই দাগটা অনেক লম্বা দেখে মনে মনে ভেবেছিলাম অনেক দিন বাঁচবো। তাও আমার মানসিক সমস্যা টা কমে নি, আবার এরো আগে (১১+ বছর) একজন আমার হাত দেখে একজন বলেছিলো আমার অনেক টাকা পয়সা৷ হবে অনেক দেশে যাবো, এইসব, এগুলো আবার খুশি হয়ে অনেককে বলেছিলাম তখন। তো, আরেকবার ১৭+ বছর বয়স হবে আনুমানিক একজন বাড়ি বাড়ি এসেছিলো... যে হাত দেখতো, তখন সে আমাকে বলেছিলো যে আমার অনেকদূর পড়াশোনা হবে, ইত্যাদি এই কথা গুলো কিরকম বিশ্বাস করেছিলাম, তা মনে নাই। তবে ভালো কথা শুনে খুশি লাগতো। আনেকবার মাজার থেকে ফকির মহিলা আসতো বাড়িতে সেও অনেক কথা বলতো, এগুলো ভিন্ন বিষয় যতেটুক মনে পরে তখন ভাবতাম কোনো ভাবে আল্লাহ জানান( বয়স ১৪/১৫) সেটা ভিন্ন। এখন আমার কথা হলো এই সুরত হালের ফলে কি আমার কুফর হয়েছিলো?
২. এসব তো অনেক আগের, আমি ১ নং প্রশ্নের ওই মানসিক সমস্যা শুরুর দিকের ঘটনা ছাড়া এইসব নুন্যতম গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বাস করেছি বলে মনে পরছে না, এখনো অবিশ্বাস করি এসব ভান্ডামি আগেও করেছিলাম, তবে এই কিছু ঘটনা মনে পরছে, আমি বিয়ে করেছি ২ বছর হয়, এর পরে এইরকম জিনিস বিশ্বাস বা এর আগেও ওই সব ঘটনা ছাড়া এগুলো বিশ্বাস করেছিলাম এরকম সন্দেহ ও আসছে না মনে।আরেকটা বিষয় তখন বিভিন্ন পত্রিকায় দেখেছিলাম যে মায়া সভ্যতার কেলেন্ডার অনুযায়ী ২০১২ তে পৃথিবী ধ্বংস হবে। তাই এই নিউজটা মনে দাগ কাটে এটা নিয়ে অনেক সংসয়ে থাকতাম ভয়ে থাকতাম বয়স(১৩), তখন কেয়ামত সংক্রান্ত ইসলামী মত নিয়ে কি ভাবতাম পরিষ্কার মনেও পরছে না, তবে আমার মানসিক অনেক সমস্যা হয়েছিলো তখন । আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যাক বার কলিমা তৈয়িবা পড়ি,রাতে ঘুমানোর সময় পড়ি একবার (হয়তো অর্থের দিকে খেয়াল থাকে না,তবে কলিমা তৈয়িবা পড়ি প্রায় ৭/৮ বছর থেকে এটা শিওর)
কলিমা শাহাদাত ও দীর্ঘ দিন থেকে পাঠ করি ডেইলি, মন বলছে তাও ৫/৬ বছর থেকে হবে। কিন্তু তা কবে থেকে শুরু করেছিলাম তা মনে পরছে না, কলিমা তৈয়িবা পড়া শুরুর সময় মনে আছে, এখন ধরে নিলাম না হয় শুধু কলিমা তৈয়িবা ওই পড়ছি ডেইলি এতেদিন থেকে।
এখন আমার এই চলমান বিবাহ কি দুহরাতে হবে?
৩. যদিও এরকম মনে হচ্ছে না, তাও বিবাহের আগের এমন কোনো কথা বা কাজে কুফর প্রকাশ পেয়ে যায়,এমনটা স্মরন হয়, যা বিবাহের পরে বা ওই বিবাহ করার সময়ের আসেপাশে করেছি বলে মনেই হয় না, মনে হয় অনেক আাগে বলেফেলেছিলা বা করে ফেলেছিলাম।
তবে কি আমার বিবাহ দোহরাতে হবে?নাকি কলিমা তৈয়িবা প্রতিদিন পাঠের দরূন না সঠিক হয়ে গেছে ধরে নিবো?
(অনেক পুরাতন ঘটনা মনে হয় তাই জেনে নিলে অন্তত পুরাতন ঘটনা নিয়ে আর টেনশন হবে না)
৪. এরুপ বক্তব্য বা লিখা "বিবাহের আগে আমার দ্বারা কুফরি প্রকাশ পেয়ে যায়" এটুক লিখলে কি কাফের হয়ে যাবে?
৫. আপাদের সাইটে দেখলাম চোখে ড্রপ দিলে রোজা যায় না, এটা দেখে আমার মনে মনে বলে ফেলি, "হুজুরের কথা বিশ্বাস কইরা লাভ নাই/করি না" (এরকমই একটা কথা), কারণ আগে একজনের থেকে জেনেছিলাম নাকে পানি মাথায় গেলে রোজা যায় না পরে অনেকে বললেন কাজা করতে হবে। তাই এই কথা মনে মনে বলে ফেলি। তার পরে টেনশনে আছি এর ফলে কি আমার কুফর হবে?
৬.উচ্চারণ ছাড়া কোনো ভাবে কি কোনো রকম, তালাক সম্ভব? যেমন শর্তযুক্ত, সরিহ,কেনায়া . তালাকের কথা বা শর্তের কথা ভাবার সময় বা বলায় সময় মাথা নাড়ালে কি সম্ভব? না কি মুখে উচ্চারণ ছাড়া তালাক কোনো ভাবে সম্ভব না..(স্বাভাবিক মানুষের জন্য,যে কথা বলতে পারে না তার জন্য না)
৭. নবী (সাঃ) কে আল্লাহ যতটুকু জানিয়েছেন তিনি ততোটুকুই জানেন, আমরা জানি কিছু জিনিস আল্লাহ জানিয়েছেন। এই নিয়তে কেও যদি বলে, "নবী (সা:) গায়েব জানতেন" তবে কি তা কুফর হবে?
৮. ৭ নং প্রশ্নের নিয়তে গতকাল এই কথাটি আমি মনে মনে স্বেচ্ছায় ২/৩ বার বলে ফেলি। তার পর থেকে টেনশনে আছি, এতে কি আমার কুফর হবে?
৯. সুরা, কলিমা, ইত্যাদি পড়ার সময় আমার শুধু সন্দেহ হয়, যে পড়া ঠিক হলো কিনা মনযোগ ছিলো কি না ইত্যাদি। তাই বেশি অংশ তা পড়ার সময় বিভিন্ন জিনিস মনে মনে আকি, মনে মনে দাগ অংকন করি,তীর আকি বা বিভিন্ন জিনিস আকি,যাতে পরে সন্দেহ হলে মনে হয় এইটা পড়ার সময় এই জিনিস একেছি। এতে কি গুনাহ বা কুফর হবে?
১০. একটা পশতু বা ওই জাতীয় একটা গানের লাইনের ভাষা না বুঝে, একজন নিজের আন্তাজে গাইতে শুরু করলো "ইমান দিলে আইবেক, ইমান গেলে গাইবেক " এরকম তার যা মাথায় আসছিলো এই লাইনের মতো বলছে এরুপ কোনো উদ্দেশ্যে বলে নি, বলার সময় ইমান দেওয়া নেওয়া এসব কথা বলা হচ্ছে এই ভাবনা ভেবেছিলো কিনা খেয়াল নাই, এসব কথার তো অর্থ ও দাড়াচ্ছে না,তার কি কুফর হবে?
১১. ইদানীং মারাত্মক কুফরের ওসওয়াসা হচ্ছে বিভিন্ন জিনিস ভাবলে, বললে শুধু কুফরের সন্দেহ হচ্ছে মাঝে মাঝে ভাবনায় ও কিছু কথা চলে আসে পরে খেয়ালে আসে যা ভাবনায় বললাম বা সিদ্ধান্ত নিলাম তা কি কুফর হলো?এমন আরকি, মানে অনেক চিন্তার মাঝে আছি কিভাবে বাচবো এর থেকে? উল্লেখ করা পদ্ধতিতে ভাবনার দ্বারা কি কুফর হতে পারে?
১২। এই চিন্তা থেকে বেঁচে স্বাভাবিক জীবনের জন্য কি করবো? প্রতি দিন কমপক্ষে ১০+ প্রশ্ন মাথা আসছে যে এতে কুফর হলো কি এটা হলো।কি না, কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি?