আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমাদের শরীরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আল্লাহপাক অনেক ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন।
এরপরেও অনেক সময় জ্বীন আছর করে।
প্রশ্ন: শরীরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অনেক ফেরেশতা নিযুক্ত থাকার পরেও জ্বীন কীভাবে আছর করে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم 

আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন।

সুরা রাদ এর ১১ নংং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
  
 لَہٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَ مِنۡ خَلۡفِہٖ یَحۡفَظُوۡنَہٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُغَیِّرُ مَا بِقَوۡمٍ حَتّٰی یُغَیِّرُوۡا مَا بِاَنۡفُسِہِمۡ ؕ وَ اِذَاۤ اَرَادَ اللّٰہُ بِقَوۡمٍ سُوۡٓءًا فَلَا مَرَدَّ لَہٗ ۚ وَ مَا لَہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِہٖ مِنۡ وَّالٍ ﴿۱۱﴾

মানুষের জন্য তার সম্মুখে ও পশ্চাতে একের পর এক প্রহরী থাকে, তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। আল্লাহ অবশ্যই কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজের অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোনো জাতি সম্পর্কে আল্লাহ যদি অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন, তাহলে তা রদ হওয়ার নয়। তিনি ছাড়া তাদের কোনো অভিভাবক নেই।
 [সুরা : রাদ, আয়াত : ১১ 

আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও ইবাদত-বন্দেগি সংরক্ষণ করার জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন।

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
 وَ اِنَّ عَلَیۡکُمۡ لَحٰفِظِیۡنَ ﴿ۙ۱۰﴾
 کِرَامًا کَاتِبِیۡنَ ﴿ۙ۱۱﴾
 یَعۡلَمُوۡنَ مَا تَفۡعَلُوۡنَ ﴿۱۲﴾

 ‘তোমাদের ওপর নিযুক্ত রয়েছে সংরক্ষক ফেরেশতাগণ, সম্মানিত লেখকগণ, যাঁরা তোমাদের সব কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত আছেন।’ (সুরা : ইনফিতার, আয়াত : ১০-১২)

এই আয়াত গুলোর তাফসিরে বলা হয়েছে যে এই মূল কথা হলো, মহান আল্লাহ প্রত্যেক মানুষের জন্য ফেরেশতা নিয়োজিত করেছেন। এই ফেরেশতারা মানুষকে নানা বিপদ-আপদ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু কোনো জাতি যখন আল্লাহর নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা ও তাঁর আনুগত্য ত্যাগ করে অন্যায় ও অবাধ্যতার পথ বেছে নেয়, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিরক্ষামূলক পাহারা উঠিয়ে নেন।

হাদীসে এসেছেঃ ফিরিশতাদের দুটি দল হেফাযতের জন্য নিযুক্ত রয়েছে। একদল রাত্রির জন্য এবং একদল দিনের জন্য। উভয় দল ফজর ও আসরের সালাতের সময় একত্রিত হন। ফজরের সালাতের পর রাতের পাহারাদার দল বিদায় নেন এবং দিনের পাহারাদাররা কাজ বুঝে নেন। আসরের সালাতের পর তারা বিদায় হয়ে যান এবং রাতের ফিরিশতারা দায়িত্ব নিয়ে চলে আসেন। [বুখারীঃ ৭৪২৯, মুসলিমঃ ৬৩২]

অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথেই একজন ফিরিশতা এবং একজন শয়তান জুড়ে দেয়া আছে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেনঃ আপনার সাথেও? তিনি উত্তরে বললেনঃ হ্যাঁ, তবে আল্লাহ আমাকে তার উপর সহযোগিতা করেছেন, ফলে সে আত্মসমৰ্পন করেছে, বা আমি নিরাপদ হয়ে গেছি, সে আমাকে ভাল কাজ ছাড়া আর কোন কিছুর নির্দেশ দেয় না। [মুসলিমঃ ২৮১৪]।

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে আয়াতের আরেকটি অর্থ বর্ণিত আছে, তা হচ্ছে, আল্লাহর নির্দেশ থেকে তাকে হেফাযত করে
তারপর যখন তার তাকদীর অনুসারে কোন কিছু ঘটার জন্য আল্লাহর নির্দেশ আসে তখন ফিরিশতাগণ সরে পড়ে।
 [ইবন কাসীর]
,
★ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেনঃ তবে কোন মানুষের তাকদীর লিখিত বিপদাপদে জড়িত হওয়ার সময় ফিরিশতারা সেখান থেকে সরে যায়। [ইবনে হাজারঃ ফাতহুল বারী ৮/৩৭২] 
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,  
 যদিও আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের রক্ষণাবেক্ষণ এর জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন।
তবে উক্ত ব্যাক্তির তাকদীর অনুসারে যখন কোন কিছু ঘটার জন্য আল্লাহর নির্দেশ আসে তখন ফিরিশতাগণ সরে পড়ে।
 
সেই ভিত্তিতে কিছু মানুষের শরীরে জিন আছর করে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...