কোকাকোলা সম্পর্কে হালাল হারাম বিধান নিম্নোক্ত তিনটি কারণের যেকোনো কারণে হতে পারে। যথাঃ-
(ক) এলকোহলঃ সকল প্রকার এলকোহল সম্পর্কে হারামের বিধান জারি করা যাবে না,যতক্ষণ না তাতে হারামের বিধান সুস্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/165
(খ) শূকরের চর্বিঃ শূকরের চর্বি হারাম।কম হোক বা বেশী হোক।তবে যদি সেটা ভিন্নরূপ ধারণ করে নেয়,তবে তাতে রূখসত চলে আসে।যদিও ব্যবহার না করাই উত্তম ও তাকওয়ার নিকটবর্তী।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/425
(গ) কাফিরদের সাহায্য করা, কাফিরদের সাহায্য করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
প্রথম ও দ্বিতীয় কারণে হিসেবে বলা যায় যে,কোকাকোলা না খাওয়াই উত্তম।
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
আর তৃতীয় কারণ হিসেবে বলা হবে যে,কোকাকোলা ক্রয় করা ও খাওয়া হারাম।কেননা এদ্ধারা কাফিরদের কে সাহায্য করা হচ্ছে।এই কারণ উল্লেখপূর্বক দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে যে,কোকাকোলা, পেপসি, সেভেনআপ ও ইউনিলিভার সহ যাবতীয় অমুসলিম মুসলিম বিদ্বেষীদের যাবতীয় পণ্য ক্রয় করা হারাম।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!