ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
নামাজের উদ্দেশ্যে অযু করার পর থেকে নিয়ে নামাজের শেষ পর্যন্ত আঙ্গুল ফুটানা থেকে রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ الأَنْبَارِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عَمْرٍو، حَدَّثَهُمْ عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو ثُمَامَةَ الْحَنَّاطُ، أَنَّ كَعْبَ بْنَ عُجْرَةَ، أَدْرَكَهُ وَهُوَ يُرِيدُ الْمَسْجِدَ أَدْرَكَ أَحَدُهُمَا صَاحِبَهُ قَالَ فَوَجَدَنِي وَأَنَا مُشَبِّكٌ بِيَدَىَّ فَنَهَانِي عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ إِنَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الْمَسْجِدِ فَلَا يُشَبِّكَنَّ يَدَيْهِ فَإِنَّهُ فِي صَلَاةٍ " .
আবূ সুমামাহ আল-হান্নাত সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি মাসজিদে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কা’ব ইবনু ‘উজরাহর (রাঃ) সাথে তার সাক্ষাত হয়। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি আমাকে আমার দু’ হাতের আঙ্গুলসমূহ পরস্পরের মধ্যে ঢুকিয়ে মটকাতে দেখতে পেয়ে আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন। তিনি আরো বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ উত্তমরূপে অযু করে মাসজিদের উদ্দেশে বের হলে সে যেন তার দু’ হাতের আঙ্গুল না মটকায়। কেননা সে তখন সলাতের মধ্যেই থাকে (অর্থাৎ ঐ অবস্থায় তাকে সলাত আদায়কারী হিসেবেই গণ্য করা হয়)।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, হাঃ ৩৮৬), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত, ক্বায়িম, অনুঃ সালাতে যা করা অপছন্দনীয়, হাঃ ৯৬৭), দারিমী (১৪০৪), আহমাদ (৪/৩৪১, ৩৪২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হাতের আঙুল ফুটানো গুণাহের কাজ নয়।
তবে মসজিদে থাকা অবস্থায়, নামাজ রত অবস্থায়,এবং নামাজের উদ্দেশ্যে অযু করার পর থেকে নিয়ে নামাজের শেষ পর্যন্ত আঙ্গুল ফুটানো থেকে রাসুলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেছেন।
(০২)
এটাকে ঈসালে ছওয়াব বলে।
এটি জায়েজ,এটি কুরআন হাদীস সমর্থিত।
সুতরাং মৃত ব্যক্তির জন্য আমরা খতম দিতে পারি।
এতে মৃত ব্যক্তি কুরআন খতমের ছওয়াব পাবেন।
শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)
(০৩)
এরকম করা জায়েজ আছে।
তবে এক্ষেত্রে কোনো টাকা পয়সা বিনিময় হিসেবে দেয়া ও নেয়া জায়েজ হবেনা।
এটি হারাম।
(০৪)
মুখে উচ্চারণ করে বাংলায় দোয়া করলে হানাফি মাযহাব মতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
তবে মনে মনে বাংলায় দোয়া করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অন্যান্য কিছু স্কলারদের মতে এটির অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং তাদের অনুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।