আসসালমুআলাইকুম হুজুর, বিশেষ অনুরোধ করছি আমার বিষয় টা একটু মন দিয়ে পরবেন। ৩ নম্বর প্রশ্ন বিশেষ করে
আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। বিশাল পরিমাণে আমার ওয়াসওয়াসা।
আসলে আমি টেবিল , বেঞ্চ এ হাত দিয়ে আওয়াজ দিয়ে বাজনা তুলতে পারি।
তার মধ্যে হলো হিন্দুদের পূজোর সময় যে বাজনা বাজে সেইটাও পারি। মাঝে মাঝে বাজনা তুলতাম। স্কুলে বা টিউশন এ। এমনি নরমালি হাত দিয়ে বাজনা তুলতাম। কোনো উদ্দেশ্য না এমনি বাজাতাম।
এখন মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছি । আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আল্লাহ কসম আমার ধারণা ছিলনা যে এইগুলো পাপ হবে। হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি। আমি যদি জানতাম এই গুলো খুব ক্ষতিকর আমি কখনই এমন করতাম না। আল্লাহ কসম না জেনে না বুঝে এমন হয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
হুজুর আল্লাহর কসম করে বলছি আমার জ্ঞান ছিল না । বুদ্ধি থাকলে আর যদি জানতাম এইটা খারাপ আমি কখনই করতাম না। হুজুর না জেনে ভুল হয়েছে। আল্লাহ কসম করে বলছি , এত কিছু না ভেবে এমনি বাজাতাম। আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে । আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে। আমি আর এমন করবো না।
১..হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?
২. কেউ যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শিরিক করতে দেখে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?
৩. আমি বিশাল ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আমি আজ ঘুমিয়ে ছিলাম , দিয়ে হালকা ঘুম ভেঙেছে, দিয়ে মনে মনে হিন্দু দের পূজো নিয়ে মনে না না রকমের কথা মনে হচ্ছে হিন্দু দের এটা ভালো ও টা ভালো এই সব পূজো করা ভালো , তার পর মনে হচ্ছে , পূজো করা ভালো,মনে মনে এমন হচ্ছে আমি হয়ত পছন্দ করি। কিন্তু আমি অন্তর থেকে মূর্তি পূজা ঘৃনা করি।কিন্তু শয়তানের চক্করে পড়ে মনে হচ্ছে আমি এইসব পছন্দ করি ভালোবাসি।এইরকম মনে হচ্ছিল। কিন্তু আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি মূর্তি পূজা। হিন্দুদের সব কিছুই ঘৃনা করি। ওয়াস্বাসর জন্য মনে হচ্ছে আমি পছন্দ করি ভালোবাসি। এই রকম একটা জায়গাতে লেখা দেখলাম ওমনি আমার মনে মনে এমন হতে লাগলো। যে মনে করবে পূজো করা তাদের ,আমাদের ধর্মের থেকে তাদের ধর্ম উত্তম এইরকম মনে করলে ঈমান চলে যাবে , এই টা লেখা দেখেছিলাম সঙ্গে সঙ্গে আমার এই রকম ভাবনা হয়ে যাচ্ছে। আস্তাফিরুল্লাহ । মনে মনে এমন হচ্ছে এইটাই ভালো ধর্ম। আস্তাফিরুল্লাহ । কিন্তু আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি মূর্তি পূজা। এখন এই সব ভাবনা ওয়াসওয়াসা র জন্য হচ্ছে আল্লাহ কসম। জানি এইসব ওয়াসওয়াসা র জন্য হচ্ছে। হুজুর আমি এইসব ঘৃনা করি। কিন্তু শয়তানের ওয়াসওয়াসা র আমার এই রকম ভাবনা হচ্ছে। আমি কিন্তু এইগুলো অন্তর থেকে মানিনা। জাস্ট মনে হচ্চে , যত কিছু ভাবনা হচ্ছে যতই খারাপ ভাবনা হউক না কেনো , আল্লাহ কসম আমার এমনি এমনি ভাবনা চলে আসছে । আর এইগুলো আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি, এইসব খারাপ ভাবনা গুলো কে। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হচ্ছে।। আমি এইগুলো কে ঘৃনা করি।
হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
আমি কি করবো বলেন হুজুর আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।
।৩.১ আস্তাগিরুল্লাহ , আমার ঘুম ও ভাঙেনি আবার পরিপূর্ণ জেগে ও নেই। এমন অবস্থায় আমার এমন সব কুফরী কথা মনে হচ্ছে আমি আল্লাহ কসম করে বলতে পারি আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। কিন্তু আমার যেহেতু হালকা ঘুমের মধ্যের ঘটনা তাই মনে পড়ছে না । দিয়ে আমার মনে হচ্ছে আমি কি কিছু উচ্চরণ করে ফেলেছি, হালকা ঘুমের ঘোরে, । কিন্তু আল্লাহ কসম করে বলছি আমার মনে নেই, আমি উচ্চরণ করেছি কিনা। আমি বলতে পারি যে আমি মনে হয় উচ্চরণ করিনি। কিন্তু এটা মনে আছে আমি মন কে অনেক কন্ট্রোল করছিলাম আর বোঝাচ্ছিলাম যে মুখে উচ্চরণ করা যাবে না। আমি মনের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলাম। কিন্তু আমার পরিপূর্ণ বিশ্বাস যে আমি উচ্চরণ করিনি। কিন্তু ওয়াসওয়াসা র জন্য আর ঘুমের জন্য মনে হচ্ছে হয়ত উচ্চরণ করেছি। কিন্তু আমার বিশ্বাস উচ্চরণ করিনি। ওয়াসওয়াসা র জন্য আর ঘুমের ঘরে এর কথা উচ্চরণ করেছি কিনা মনে নেই। ১০০% বিশ্বাস যে উচ্চরণ করিনি।
হুজুর এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে,?
৪.আপনাদের কে প্রশ্ন করে, প্রশ্ন টা সঠিক ভাবে করা হলো কিনা সেইটা দেখার জন্য যদি পড়তে গিয়ে উচ্চরণ হয় এর জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?( মানে মন থেকে উচ্চরণ করছিনা জাস্ট নরমালি ,এই লেখা টা পড়তে গিয়ে যদি উচ্চরণ হয় তাহলে কি সমস্যা হবে ঈমানের)
খুব ভয় হচ্ছে হুজুর ঈমান নিয়ে ।
৫. আপনাদের কে বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
৬. কিছু মাস হলো বিয়ে করেছি। হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?
৭.হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। ও মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি।
হুজুর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম , হটাৎ মনে হচ্ছে মন্দির এ সেজদা করছি। আস্তাফিরুল্লাহ, সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য দিক এ সরিয়ে নামাজ টা পরলাম। হুজুর ওয়াসওয়াসা আর শয়তানের চক্করে অনেক দিনের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হয়েছিল। আস্তাফিরুল্লাহ । কোনো কিছুতে শান্তি পাচ্ছিনা ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে। হুজুর আমি ঈমান ছাড়া বাঁচবো না। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হলে কি আমার ঈমান চলে যাবে? হুজুর শয়তানের এমন ওয়াসওয়াসা র জন্য হইছে। অন্তর থেকে তো এই সব মানি না । মনে মনে এমন হয়েছে। আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম মনে মনে এমন হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মন ক ঠিক করে নিয়েছি। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হয়েছে।
হুজুর আমার ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না ।
হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?
৮. হুজুর আমার শাশুড়ী ঈদের বাজার করছিল। দিয়ে বাড়িতে এসে বলছে ৭ বছর আগে যে রকম ছিলাম এখনও সেইরকম ই আছি। বলছিলো আমার ব্লাউজ এখনও ৩৪ এ হয়ে জাই। জামা ও হয়ে জাই। ইত্যাদি কথা বলছিলো আমার শশুর বলছিলো তোমার শরীর আর মামের শরীর( শশুর এর মেয়ে) অনেক তফাৎ। তাই বলছিলো। আমি কিছু বলিনি। আর শশুর ও কোনো অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করেনি। আর আমি তো চুপ ছিলাম
হুজুর আজ সকাল এ ঘুম থেকে উঠে এই সব কথা গুলো মনে পড়ছিল। আমি দাঁতের সঙ্গে জিব নাড়াচ্ছিলাম আর ওই কথা মনে পড়েছে। আর ওই কথা গুলো মনে পড়ছিল। হুজুর আমি আমার স্ত্রীর শরীর এর সঙ্গে কোনো তুলনা করিনি। আল্লাহ কসম করে বলছি আমি কোনো তুলনা করিনি। জিব টা এমনি নাড়াচ্ছিলাম আমি কোনো উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম । এর জন্য কি যীহার হবে? আল্লাহ কসম আমি উচ্চরণ করিনি।আর শরীর এর তুলনা ও করিনি।
৯.আপনাদের কে বলার জন্য কোনো সমস্যা হবে না তো