আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর, বিশেষ অনুরোধ করছি আমার বিষয় টা একটু মন দিয়ে পরবেন। ৩ নম্বর প্রশ্ন বিশেষ করে
আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। বিশাল পরিমাণে আমার ওয়াসওয়াসা।
আসলে আমি টেবিল , বেঞ্চ এ  হাত দিয়ে  আওয়াজ দিয়ে বাজনা তুলতে পারি।
তার মধ্যে হলো হিন্দুদের পূজোর সময় যে বাজনা বাজে সেইটাও পারি।  মাঝে মাঝে বাজনা তুলতাম।  স্কুলে বা টিউশন এ। এমনি নরমালি হাত দিয়ে বাজনা তুলতাম। কোনো উদ্দেশ্য না এমনি বাজাতাম।
এখন মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছি । আমি খুবই ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আল্লাহ কসম আমার ধারণা ছিলনা যে এইগুলো পাপ হবে। হুজুর আল্লাহ কসম করে বলছি। আমি যদি জানতাম এই গুলো খুব ক্ষতিকর আমি কখনই এমন করতাম না। আল্লাহ কসম না জেনে না বুঝে এমন হয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
হুজুর আল্লাহর কসম করে বলছি আমার জ্ঞান ছিল না । বুদ্ধি থাকলে আর যদি জানতাম এইটা খারাপ আমি কখনই করতাম না। হুজুর না জেনে ভুল হয়েছে।  আল্লাহ কসম করে বলছি , এত কিছু না ভেবে এমনি বাজাতাম। আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে । আল্লাহ কসম না জেনে ভুল হয়েছে। আমি আর এমন করবো না।
১..হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?

২. কেউ যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শিরিক করতে দেখে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?

৩. আমি বিশাল ওয়াসওয়াসা রুগী। হুজুর আমি আজ ঘুমিয়ে ছিলাম , দিয়ে হালকা ঘুম ভেঙেছে, দিয়ে মনে মনে হিন্দু দের পূজো নিয়ে মনে না না রকমের কথা মনে হচ্ছে হিন্দু দের এটা ভালো ও টা ভালো এই সব পূজো করা ভালো , তার পর মনে হচ্ছে , পূজো করা ভালো,মনে মনে এমন হচ্ছে আমি হয়ত পছন্দ করি। কিন্তু আমি অন্তর থেকে মূর্তি পূজা ঘৃনা করি।কিন্তু শয়তানের চক্করে পড়ে মনে হচ্ছে আমি এইসব পছন্দ করি ভালোবাসি।এইরকম মনে হচ্ছিল। কিন্তু আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি মূর্তি পূজা। হিন্দুদের সব কিছুই ঘৃনা করি। ওয়াস্বাসর জন্য মনে হচ্ছে আমি পছন্দ করি ভালোবাসি। এই রকম একটা জায়গাতে লেখা দেখলাম ওমনি আমার মনে মনে এমন হতে লাগলো। যে মনে করবে পূজো করা তাদের ,আমাদের ধর্মের থেকে তাদের ধর্ম উত্তম এইরকম মনে করলে ঈমান চলে যাবে , এই টা লেখা দেখেছিলাম  সঙ্গে সঙ্গে আমার এই রকম ভাবনা হয়ে যাচ্ছে। আস্তাফিরুল্লাহ । মনে মনে এমন হচ্ছে এইটাই ভালো ধর্ম। আস্তাফিরুল্লাহ । কিন্তু আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি মূর্তি পূজা। এখন এই সব ভাবনা ওয়াসওয়াসা র জন্য হচ্ছে আল্লাহ কসম। জানি এইসব ওয়াসওয়াসা র জন্য হচ্ছে। হুজুর আমি এইসব ঘৃনা করি। কিন্তু শয়তানের ওয়াসওয়াসা র আমার এই রকম ভাবনা হচ্ছে। আমি কিন্তু এইগুলো অন্তর থেকে মানিনা। জাস্ট মনে হচ্চে , যত কিছু ভাবনা হচ্ছে যতই খারাপ ভাবনা হউক না কেনো , আল্লাহ কসম আমার এমনি এমনি ভাবনা চলে আসছে । আর এইগুলো আমি অন্তর থেকে ঘৃনা করি, এইসব খারাপ ভাবনা গুলো কে। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হচ্ছে।। আমি এইগুলো কে ঘৃনা করি।
হুজুর এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?

আমি কি করবো বলেন হুজুর আমি শেষ হয়ে যাচ্ছি।

।৩.১ আস্তাগিরুল্লাহ  , আমার ঘুম ও ভাঙেনি আবার পরিপূর্ণ জেগে ও নেই। এমন অবস্থায় আমার এমন সব কুফরী কথা মনে হচ্ছে আমি আল্লাহ কসম করে বলতে পারি আমি মুখে উচ্চরণ করিনি। কিন্তু আমার যেহেতু হালকা ঘুমের মধ্যের ঘটনা তাই মনে পড়ছে না । দিয়ে আমার মনে হচ্ছে আমি কি কিছু উচ্চরণ করে ফেলেছি, হালকা ঘুমের ঘোরে, । কিন্তু আল্লাহ কসম করে বলছি আমার মনে নেই, আমি উচ্চরণ করেছি কিনা। আমি বলতে পারি যে আমি মনে হয় উচ্চরণ করিনি। কিন্তু এটা মনে আছে আমি মন কে অনেক কন্ট্রোল করছিলাম আর বোঝাচ্ছিলাম যে মুখে উচ্চরণ করা যাবে না।   আমি মনের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলাম। কিন্তু আমার পরিপূর্ণ বিশ্বাস যে আমি উচ্চরণ করিনি। কিন্তু ওয়াসওয়াসা র জন্য আর ঘুমের জন্য মনে হচ্ছে হয়ত উচ্চরণ করেছি। কিন্তু আমার বিশ্বাস উচ্চরণ করিনি। ওয়াসওয়াসা র জন্য আর ঘুমের ঘরে এর কথা উচ্চরণ করেছি কিনা মনে নেই। ১০০% বিশ্বাস যে উচ্চরণ করিনি।
হুজুর এক্ষেত্রে কি ঈমান চলে যাবে,?

৪.আপনাদের কে প্রশ্ন করে, প্রশ্ন টা সঠিক ভাবে  করা হলো কিনা সেইটা দেখার জন্য যদি পড়তে গিয়ে উচ্চরণ হয় এর  জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?( মানে মন থেকে উচ্চরণ করছিনা জাস্ট নরমালি ,এই লেখা টা পড়তে গিয়ে যদি উচ্চরণ হয় তাহলে কি সমস্যা হবে ঈমানের)
খুব ভয় হচ্ছে হুজুর ঈমান নিয়ে ।

৫. আপনাদের কে বলার জন্য কি কোনো সমস্যা হবে?
৬. কিছু মাস হলো বিয়ে করেছি। হুজুর আমার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তো?

৭.হুজুর আমি খুবই ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত মানুষ। ও মানসিক রোগের ওষধ খাচ্ছি।

হুজুর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম , হটাৎ মনে হচ্ছে মন্দির এ সেজদা করছি। আস্তাফিরুল্লাহ, সঙ্গে সঙ্গে মন কে অন্য দিক এ সরিয়ে নামাজ টা পরলাম। হুজুর ওয়াসওয়াসা আর শয়তানের চক্করে অনেক দিনের ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন মনে হয়েছিল। আস্তাফিরুল্লাহ । কোনো কিছুতে শান্তি পাচ্ছিনা ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে। হুজুর আমি ঈমান ছাড়া বাঁচবো না। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হলে কি আমার ঈমান চলে যাবে? হুজুর শয়তানের এমন ওয়াসওয়াসা র জন্য হইছে। অন্তর  থেকে তো এই সব মানি না । মনে মনে এমন হয়েছে। আমি মুখে কিছু উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম মনে মনে এমন হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মন ক ঠিক করে নিয়েছি। ওয়াসওয়াসা র জন্য এমন হয়েছে।
হুজুর আমার ঈমান চলে গেলে বাঁচবো না ।

হুজুর আমার ঈমান চলে যাবে না তো?

৮. হুজুর আমার শাশুড়ী ঈদের বাজার করছিল। দিয়ে বাড়িতে এসে বলছে ৭ বছর আগে যে রকম ছিলাম এখনও সেইরকম ই আছি। বলছিলো আমার ব্লাউজ এখনও ৩৪ এ হয়ে জাই। জামা ও হয়ে জাই। ইত্যাদি কথা বলছিলো আমার শশুর বলছিলো তোমার শরীর আর মামের শরীর( শশুর এর মেয়ে) অনেক তফাৎ। তাই বলছিলো। আমি কিছু বলিনি। আর শশুর ও কোনো অঙ্গের সঙ্গে তুলনা করেনি। আর আমি তো চুপ ছিলাম

হুজুর আজ সকাল এ ঘুম থেকে উঠে এই সব কথা গুলো মনে পড়ছিল। আমি দাঁতের সঙ্গে জিব নাড়াচ্ছিলাম আর ওই কথা মনে পড়েছে। আর ওই কথা গুলো মনে পড়ছিল। হুজুর আমি আমার স্ত্রীর  শরীর এর  সঙ্গে কোনো  তুলনা করিনি। আল্লাহ কসম করে বলছি আমি কোনো তুলনা করিনি। জিব টা এমনি নাড়াচ্ছিলাম আমি কোনো উচ্চরণ করিনি আল্লাহ কসম । এর জন্য কি যীহার হবে? আল্লাহ কসম আমি উচ্চরণ করিনি।আর শরীর এর তুলনা ও করিনি।

৯.আপনাদের কে বলার জন্য কোনো সমস্যা হবে না তো

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমান চলে যাবে না।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَبْلُغَ وَعَنِ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يعقل

‘আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যক্তি (কিয়ামত দিবসে) দায়-দায়িত্বমুক্ত। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে না ওঠা পর্যন্ত, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালেগ না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বোধ ব্যক্তি (বুদ্ধি-বিবেচনার) জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত।
(সহীহ : তিরমিযী ১৪২৩, আবূ দাঊদ ৪৪০৩।)

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا, عَنْ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ, وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبُرَ, وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ, أَوْ يَفِيقَ».

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়।

(আবূ দাউদ ৪৩৯৮, নাসায়ী ৩৪৩২, ইবনু মাজাহ ২০৪১, আহমাদ ২৪১৭৩, ২৪১৮২, দারেমী ২২৯৬।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কেউ যদি ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে শিরক করতে দেখে তাহলে তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৩)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 
আপনি নিশ্চিন্ত মনে থাকুন।

(৩.১)
এক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৪)
তাহলে ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০৫)
আমাদেরকে বলার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, আপনার বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(০৭)
আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৮)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে কোনক যিহার হবেনা।
কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৯)
আমাদেরকে বলার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...