আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
০১। আমার মা যদি আমাকে বলে কম্পিউটারে স্টার জলসার সিরিয়াল এনে দিতে বলে তবে আমি কি এনে দিতে বাধ্য? আমার কি এনে দেয়া উচিৎ?

যদি এমন হয় তিনি আমার রুমে বসেই দেখবেন, আমার তার কাছেই থাকতে হবে, তাই মিউজিক আমার কানেও আসবে। তবে? যদি আমি উঠে যাই, বা তাকে এনে না দিই, সাহায্য না করি তবে তিনি আমাকে নানান কথা বলেন, যেমন 'এক বিলের এক মহিস হয়ে থাকবি, মা লাগবে না বাপ লাগবে না, নামাজ রোজা কর খালি, পড়াশুনাও লাগবে না, বাড়ি আসছ এখন তোর কন্ট্রোলে আমি থাকবো?" ইত্যাদি। আরও অনেক অভিশাও দেয়। আজকে এগুলো বলেছে কারন আমি শুধু মন খারাপ করে বসে ছিলাম তাই নাটক দেখার সময়। এমনকি নাটক আমিই এনে দিয়েছিলাম। কী করা উচিৎ, উস্তাদ?

০২। আম্মু যদি জামাত ত্যাগ করার আদেশ দেন তবে কী করা উচিৎ? তিনি ফজর, মাগরিব ও এশার জামাত ত্যাগ করার আদেশ দিচ্ছেন ভয় থেকে, পথে আমার কিছু হয়ে যায় কি না (আমার মতে ভয়টা অমূলক, ইনশা আল্লাহ), আর জোহর ও আসরের জামাত ত্যাগ করার আদেশ দেন সময় নষ্ট হবে তাই, ঐ সময়টা পড়তে বলেন।
৩। আম্মু আমার দাড়ি কেটে দিতে চান। আমি অনেক অনুরোধ করার পর বলেন, আচ্ছা, তাহলে সব দাড়ি সমান রাখবস (আমার এক মুষ্টি হয়নি, কিছু দাড়ি এক কর, বাকিটা তিনকর), আর গালের দাড়ি চেছে ফেলবা, নইলে বুঝব আমাকে তোমার দরকার নেই।  আমার করনীয় কী?


উল্লেখ্য, আমার আম্মু আমাদের জন্মের আগে থেকেই অনেক কষ্ট করছেন। আমার আব্বুর আয় নেই, আম্মু আব্বুর থেকে সহানুভুতিও পাননি। তাকে প্রতিদিন দুই দুই চার ঘন্টা করে মাদ্রাসায় ক্লাস নিতে যেতে হয়। তিনি স্রেফ আমাদের ভালোই চান। কিন্তু আমাদের ভালো কিসে তা বুঝতে পারেন না।

1 Answer

0 votes
by (585,750 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ তারা দিবেন,এতে তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।

সুতরাং যদি সন্তানের কষ্ট লাগবের জন্য তারা আদেশ দিয়ে থাকেন,তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ লিখেন,
ويلزم الإنسان طاعة والديه في غير المعصية وإن كانا فاسقين ، وهو ظاهر إطلاق أحمد ، وهذا فيما فيه منفعة لهما ولا ضرر ، فإن شق عليه ولم يضره : وجب ، وإلا فلا 
গোনাহের কাজ ব্যতীত মুবাহ কাজে,মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা ওয়াজিব।যদি তার ফাসিকও হয়।এটা তখন যখন তাতে মাতাপিতার ফায়দা থাকবে,এবং সন্তানের জন্য ক্ষতিকারক হবে না।যদি সন্তানের উপর কষ্টদায়ক হয় তবে ক্ষতিকারক না হয়, তাহলে তখন মাতাপিতার আদেশ মান্য করা ওয়াজিব।(আল-ফাতাওয়াল কুবরা-৫/৩৮১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মা যদি আপনাকে স্টার জলসার সিরিয়াল এনে দিতে বলে, তবে আপনার জন্য সেই হুকুম পালন করা জায়েয হবে না। বরং উনাকে হেকমতের সাথে হালাল হারামের বিষয়টা বুঝানোর চেষ্টা করবেন। হ্যা, উনাকে ওয়াজ নসিহত এনে দিবেন।বিভিন্ন ইসলামি অনুষ্টান উনাকে দেখাবেন।হামদ নাত এবং কুরআন তিলাওয়াত শুনানোর চেষ্টা করবেন।

(২)
মাতাপিতার বিধিনিষেধ কে মান্য করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।

(৩)
মাদরাসায় ক্লাস নিয়ে এমন কথা কিভাবে বলেন, যাইহোক, আল্লাহ আপনার মাকে হেদায়ত দান করুক,আমীন। আপনি দাড়ি নিয়ে মায়ের বিরূপ মন্তব্যে কান দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (585,750 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...